alt

খেলা

২০৬ রানের লক্ষ্য পেয়েও জয়ের বিশ্বাস ছিল: ওয়াসিম

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক : মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

আরব আমিরাতের অধিনায়ক ওয়াসিম

আউট হয়ে ফেরার পর ডাগ আউটে ফিরে নির্বাক হয়ে বসেছিলেন মুহাম্মাদ ওয়াসিম। হতাশায় তোয়ালেতে মুখ লুকালেন এক পর্যায়ে। পরে লোয়ার অর্ডারদের বীরত্বে ম্যাচে যখন টানটান উত্তেজনা, তাকে দেখা গেল দু’হাত তুলে স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করতে। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ম্যাচ জয়ের পর সেই মুখেই দেখা গেল চওড়া হাসি। ম্যাচের পর রোমাঞ্চে হাবুডুবু খেয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অধিনায়ক বললেন, আনন্দ প্রকাশের ভাষা পাচ্ছেন না তিনি।

বাংলাদেশের বিপক্ষে গতকাল সোমবার সম্ভাবনা জাগিয়েও সেঞ্চুরি করতে পারেননি ওয়াসিম। তবে এত বড় রান তাড়ায় যেভাবে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, তার ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসগুলোর একটি এটি নিঃসন্দেহে।

ম্যাচের পর তার উচ্ছ্বাসও ছিল তেমনই। ২০৬ রানের লক্ষ্য পেলেও জয়ের বিশ্বাস তার ছিল বলে জানান ৩১ বছর বয়সী ওয়াসিম ।

‘ভাষায় বোঝতে পারবো না (কেমন লাগছে)। খুব ভালো লাগছে বাংলাদেশকে হারাতে পেরে। দলের পারফরম্যান্সে খুবই আনন্দিত আমি।’

‘সবাইকে আশা দেখাচ্ছিলাম যে আমরা এই রান তাড়া করতে পারি। কারণ, আমরা এখানে সব সময় খেলে থাকি এবং কন্ডিশন আমাদের জানা। আমাদের আশা ছিল যে আমরা রান তাড়া করতে পারবো। আমি চেষ্টা করেছি আমার সহজাত ব্যাটিং করতে।’

তিনি আউট হওয়ার পরও অবশ্য বেশ কিছুটা পথ পাড়ি দেয়া চ্যালেঞ্জ ছিল দলের। তখনও ৩১ বলে প্রয়োজন ৫৮ রানের। পরের দিকের ব্যাটাররা সবাই একটু একটু করে অবদান রেখে দলকে পৌঁছে দেন লক্ষ্যে। নিজে আউট হয়ে গেলেও সতীর্থদের ওপর বিশ্বাসটা ছিল তার।

‘আমরা আশা ছাড়িনি। বিশ্বাস রেখে গেছি। শেষ দিকে ধ্রুব (পারাশার) ছক্কা মেরেছে একটি, হায়দারও একটি মেরেছে। আশা ছিল যে পারবো।’

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেবার একটি ম্যাচ জিতলেও তিন ম্যাচের সিরিজ জেতা হয়নি আমিরাতের। এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই সাফল্যের দেখা চান ওয়াসিম।

‘আমরা নিজেদের শক্তিমত্তা অনুযায়ী খেলবো এবং ২-১ বানানোর চেষ্টা করবো।’

২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডকে একটি টি-টোয়েন্টিতে হারিয়েছিল আরব আমিরাত। সেই ম্যাচে ২৯ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ওয়াসিম। আমিরাতের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় সম্ভবত সেটিই। এবার ওয়াসিমের ব্যাটে রচিত হলো তেমনই গৌরবময় আরেকটি বিজয়গাঁথা। ২০৬ রান তাড়ায় নাটকীয়তার নানা পথ বেয়ে যেভাবে বাংলাদেশকে হারিয়েছে তারা, আমিরাতের স্মরণীয়তম জয় এটিকে বললে খুব বেশি ভুল হয়তো হবে না। ৪২ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলে এবারও নায়ক ওয়াসিমই।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমিরাতের সফলতম ব্যাটার তিনি। টি-টোয়েন্টিতে দেশের সফলতম অধিনায়কও। অথচ কয়েক বছর আগেও এই দেশ ছিল তার জন্য ‘বিদেশ’!

১৯৯৪ সালে তার জন্ম পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মিয়াঁ চান্নু নামক শহরে। গম, তুলা, আম উৎপাদন আর খুশি বারফি নামক মিষ্টান্নের জন্য বিখ্যাত শহরে ক্রিকেটের সংস্কৃতি তেমন একটা নেই। ওয়াসিম নিজেই যখন শহরের রাস্তাঘাটে টেপ টেনিস ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন, বয়স ততদিনে ১৬ হয়ে গেছে!

ছবি

মেসির গোলে প্রথম জয় মায়ামির, হেরেছে পিএসজি

ছবি

ইংল্যান্ড-ভারত টেস্ট সিরিজে অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি

ছবি

সেরে ওঠেননি বাভুমা, জিম্বাবুয়ে সিরিজে অধিনায়ক মহারাজ

ইউসিবি বাফুফে অ-১৫ ফুটবল লীগ

ছবি

বিদেশের মাটিতে প্রথমবারেই নাঈম বাজিমাত

ছবি

চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশ ৪৯৫ ও ১৭৭/৩ : শ্রীলঙ্কা ৪৮৫

ছবি

টেস্ট মর্যাদাপ্রাপ্তির রজতজয়ন্তী উদ্যাপন করবে বিসিবি

ছবি

এশিয়া কাপ আর্চারিতে আলিফের স্বর্ণপদক

ছবি

মেসির জাদুকরী গোলে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে ইন্টার মায়ামির প্রথম জয়

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

অনূর্ধ্ব-১৭ গোল্ডকাপ ফুটবলে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ চ্যাম্পিয়ন

ছবি

ক্লাব বিশ্বকাপে রেয়ালের ড্র, জিতেছে জুভেন্টাস, ম্যানসিটি

ফের বিগ ব্যাশে রিশাদ

ছবি

ইংল্যান্ড সিরিজ দিয়ে রোহিত-কোহলিবিহীন টেস্ট যুগ শুরু করছে ভারত

রাজশাহী অঞ্চলের খেলা শুরু

ছবি

নিশাঙ্কার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে বাংলাদেশের হতাশার দিন

ছবি

বাংলাদেশের ৪৯৫ রানের জবাবে শক্ত প্রতিরোধ লঙ্কানদের

ছবি

ভালভের্দের পেনাল্টি মিসে আল-হিলালের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগ রেয়াল মাদ্রিদের

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

ইংল্যান্ডে কোহলির অভাব টের পাবে ভারত: স্টোকস

ছবি

ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে উচ্ছ্বাস শুধু ব্রাজিল আর আফ্রিকার

ছবি

হাতেম সরকার স্পোর্টিং ক্লাবের ঈদ আনন্দ মেলা

রাজশাহী অঞ্চলের খেলা আজ শুরু

ছবি

অলিম্পিক পদক জয়ের লক্ষ্যে ফেডারেশনের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার বিকেএসপির

ছবি

শান্ত-মুশির জুটিতে রেকর্ড হলো না ২ রানের জন্য

দুই পদক হাতছাড়া বাংলাদেশের

গিলক্রিস্টের রেকর্ড ভেঙে শীর্ষে মুশফিক

ছবি

অনূর্ধ্ব-১৭ গোল্ডকাপ ফুটবল ফাইনাল বৃহস্পতিবার

ছবি

বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৪৮৪

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

আমেরিকার ক্লাবকে হারিয়েছে চেলসি

ছবি

বিগ ব্যাশের ড্রাফটে ১১ বাংলাদেশি ক্রিকেটার

ছবি

বাংলাদেশে খেলতে মুখিয়ে কিউবা

সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ: মুশফিক

ছবি

দর্শকশূন্য গ্যালারি, হতাশ চেলসি কোচ

অ-১৭ গোল্ডকাপ ফুটবল সেমিতে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট এবং রাজশাহী বিভাগ

tab

খেলা

২০৬ রানের লক্ষ্য পেয়েও জয়ের বিশ্বাস ছিল: ওয়াসিম

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

আরব আমিরাতের অধিনায়ক ওয়াসিম

মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

আউট হয়ে ফেরার পর ডাগ আউটে ফিরে নির্বাক হয়ে বসেছিলেন মুহাম্মাদ ওয়াসিম। হতাশায় তোয়ালেতে মুখ লুকালেন এক পর্যায়ে। পরে লোয়ার অর্ডারদের বীরত্বে ম্যাচে যখন টানটান উত্তেজনা, তাকে দেখা গেল দু’হাত তুলে স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করতে। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ম্যাচ জয়ের পর সেই মুখেই দেখা গেল চওড়া হাসি। ম্যাচের পর রোমাঞ্চে হাবুডুবু খেয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অধিনায়ক বললেন, আনন্দ প্রকাশের ভাষা পাচ্ছেন না তিনি।

বাংলাদেশের বিপক্ষে গতকাল সোমবার সম্ভাবনা জাগিয়েও সেঞ্চুরি করতে পারেননি ওয়াসিম। তবে এত বড় রান তাড়ায় যেভাবে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, তার ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসগুলোর একটি এটি নিঃসন্দেহে।

ম্যাচের পর তার উচ্ছ্বাসও ছিল তেমনই। ২০৬ রানের লক্ষ্য পেলেও জয়ের বিশ্বাস তার ছিল বলে জানান ৩১ বছর বয়সী ওয়াসিম ।

‘ভাষায় বোঝতে পারবো না (কেমন লাগছে)। খুব ভালো লাগছে বাংলাদেশকে হারাতে পেরে। দলের পারফরম্যান্সে খুবই আনন্দিত আমি।’

‘সবাইকে আশা দেখাচ্ছিলাম যে আমরা এই রান তাড়া করতে পারি। কারণ, আমরা এখানে সব সময় খেলে থাকি এবং কন্ডিশন আমাদের জানা। আমাদের আশা ছিল যে আমরা রান তাড়া করতে পারবো। আমি চেষ্টা করেছি আমার সহজাত ব্যাটিং করতে।’

তিনি আউট হওয়ার পরও অবশ্য বেশ কিছুটা পথ পাড়ি দেয়া চ্যালেঞ্জ ছিল দলের। তখনও ৩১ বলে প্রয়োজন ৫৮ রানের। পরের দিকের ব্যাটাররা সবাই একটু একটু করে অবদান রেখে দলকে পৌঁছে দেন লক্ষ্যে। নিজে আউট হয়ে গেলেও সতীর্থদের ওপর বিশ্বাসটা ছিল তার।

‘আমরা আশা ছাড়িনি। বিশ্বাস রেখে গেছি। শেষ দিকে ধ্রুব (পারাশার) ছক্কা মেরেছে একটি, হায়দারও একটি মেরেছে। আশা ছিল যে পারবো।’

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেবার একটি ম্যাচ জিতলেও তিন ম্যাচের সিরিজ জেতা হয়নি আমিরাতের। এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই সাফল্যের দেখা চান ওয়াসিম।

‘আমরা নিজেদের শক্তিমত্তা অনুযায়ী খেলবো এবং ২-১ বানানোর চেষ্টা করবো।’

২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডকে একটি টি-টোয়েন্টিতে হারিয়েছিল আরব আমিরাত। সেই ম্যাচে ২৯ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ওয়াসিম। আমিরাতের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় সম্ভবত সেটিই। এবার ওয়াসিমের ব্যাটে রচিত হলো তেমনই গৌরবময় আরেকটি বিজয়গাঁথা। ২০৬ রান তাড়ায় নাটকীয়তার নানা পথ বেয়ে যেভাবে বাংলাদেশকে হারিয়েছে তারা, আমিরাতের স্মরণীয়তম জয় এটিকে বললে খুব বেশি ভুল হয়তো হবে না। ৪২ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলে এবারও নায়ক ওয়াসিমই।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমিরাতের সফলতম ব্যাটার তিনি। টি-টোয়েন্টিতে দেশের সফলতম অধিনায়কও। অথচ কয়েক বছর আগেও এই দেশ ছিল তার জন্য ‘বিদেশ’!

১৯৯৪ সালে তার জন্ম পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মিয়াঁ চান্নু নামক শহরে। গম, তুলা, আম উৎপাদন আর খুশি বারফি নামক মিষ্টান্নের জন্য বিখ্যাত শহরে ক্রিকেটের সংস্কৃতি তেমন একটা নেই। ওয়াসিম নিজেই যখন শহরের রাস্তাঘাটে টেপ টেনিস ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন, বয়স ততদিনে ১৬ হয়ে গেছে!

back to top