প্রায় আড়াই দশক পর দেশের ফুটবলে জোয়ার এসেছে। পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানগুলো দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছে ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে)। অনেক প্রতিষ্ঠানই যুক্ত হতে চাইছে বাফুফের সঙ্গে। ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লীগে খেলা এক হামজা চৌধুরীতেই যেন পাল্টে যাচ্ছে দেশের ফুটবল। আসলে ইংল্যান্ড প্রবাসী এই ডিফেন্ডার আমাদের ফুটবলে আশির্বাদ হয়ে এসেছেন। খাদের কিনারায় থাকা ফুটবলের এই উন্নতি দেখে খুশি সাবেক তারকা ফুটবলার জাহেদ পারভেজ চৌধুরী। তার কথা, ‘দীর্ঘ দিন পর মৃতপ্রায় ফুটবল জেগে ওঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। হামজা চৌধুরীর কল্যাণেই আজ ফুটবলে জোয়ার এসেছে। সে আমাদের আশির্বাদ।’
জাতীয় ফুটবল দলে ২০০৪-১১ সাল পর্যন্ত খেলেছেন জাহেদ পারভেজ। ঘরোয়া ফুটবলে ঢাকা আবাহনী, শেখ রাসেল, শেখ জামাল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের মতো ক্লাবে যেমন খেলেছেন, তেমনি এশিয়ান গেমস, এএফসি কোয়ালিফাইং, এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ, এসএ গেমস এবং মারদেকা কাপের মতো আন্তর্জাতিক আসরেও খেলেছেন জাহেদ পারভেজ। দেশের ফুটবলে হামজার আগমন নিয়ে ২০১০ ঢাকা এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী ফুটবল দলের সদস্য মিডফিল্ডার জাহেদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লীগের খ্যাতি বিশ্বব্যাপী। সেই লীগের লেস্টার সিটিতে খেলা হামজা আমাদের ফুটবলের জন্য আশির্বাদ। যে ফুটবলের কফিনে কেবল পেরেক ঠুকা বাকি ছিল, সেই ফুটবল আজ কফিন ভেঙ্গে বেড়িয়ে আসতে শুরু“ করেছে। উপলক্ষ্য ইংল্যান্ড প্রবাসী হামজা চৌধুরী।’ ধারে শেফিল্ডে খেলা হামজার লাল সবুজের হয়ে খেলা নিয়ে ঢাকা আবাহনীর সাবেক এই ডিফেন্ডারের কথা, ‘প্রতিপক্ষের ফরোয়াড্রের তীব্র আক্রমণে গোলার মতো ছুটে আসা বল গোলবারের সামনে থেকে ফিরিয়ে দিতে জুড়ি নেই হামজার। এমন ফুটবলারই তো চেয়েছি আমরা।’ সাবেক এই তারকা ফুটবলার যোগ করেন, ‘হামজার সঙ্গে কানাডিয়ান সামিত সোমের রসায়ন দেশের ফুটবলকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলেই আমি আশাকরি। কারণ এই দুই ফুটবলারের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে স্থানীয় ফুটবলাররা। সেই সঙ্গে দেশের জেলা, ক্লাব এবং বিভিন্ন মাধ্যমে বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করে স্থানীয় প্রতিভাবান ফুটবলার তৈরী করে জাতীয় দলের পাইপলাইন শক্তিশালী করতে হবে। এতে আমাদের ফুটবলেও আবার শুরু হবে জাগরণের গান।’ হামজার মতো আরও বিদেশি ফুটবলার জাতীয় দলে প্রত্যাশা করে জাহেদ পারভেজ বলেন, ‘বাফুফের উচিত ডিফেন্স, মিডফিল্ড এবং ফরোয়ার্ডে আরও কিছু ভাল মানের প্রবাসি ফুটবলার আনতে পারলে ভারসাম্যপূর্ণ একটি দলে পরিণত হবে বাংলাদেশ। শক্তিশালী হবে, প্রতিপক্ষ দলগুলো সমীহ করবে। দেশের ফুটবলে নতুন ঘ্রানে মাতোয়ারা হউন ফুটবলপ্রেমিরা, সেই প্রত্যাশাই করি।’
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
প্রায় আড়াই দশক পর দেশের ফুটবলে জোয়ার এসেছে। পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানগুলো দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছে ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে)। অনেক প্রতিষ্ঠানই যুক্ত হতে চাইছে বাফুফের সঙ্গে। ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লীগে খেলা এক হামজা চৌধুরীতেই যেন পাল্টে যাচ্ছে দেশের ফুটবল। আসলে ইংল্যান্ড প্রবাসী এই ডিফেন্ডার আমাদের ফুটবলে আশির্বাদ হয়ে এসেছেন। খাদের কিনারায় থাকা ফুটবলের এই উন্নতি দেখে খুশি সাবেক তারকা ফুটবলার জাহেদ পারভেজ চৌধুরী। তার কথা, ‘দীর্ঘ দিন পর মৃতপ্রায় ফুটবল জেগে ওঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। হামজা চৌধুরীর কল্যাণেই আজ ফুটবলে জোয়ার এসেছে। সে আমাদের আশির্বাদ।’
জাতীয় ফুটবল দলে ২০০৪-১১ সাল পর্যন্ত খেলেছেন জাহেদ পারভেজ। ঘরোয়া ফুটবলে ঢাকা আবাহনী, শেখ রাসেল, শেখ জামাল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের মতো ক্লাবে যেমন খেলেছেন, তেমনি এশিয়ান গেমস, এএফসি কোয়ালিফাইং, এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ, এসএ গেমস এবং মারদেকা কাপের মতো আন্তর্জাতিক আসরেও খেলেছেন জাহেদ পারভেজ। দেশের ফুটবলে হামজার আগমন নিয়ে ২০১০ ঢাকা এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী ফুটবল দলের সদস্য মিডফিল্ডার জাহেদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লীগের খ্যাতি বিশ্বব্যাপী। সেই লীগের লেস্টার সিটিতে খেলা হামজা আমাদের ফুটবলের জন্য আশির্বাদ। যে ফুটবলের কফিনে কেবল পেরেক ঠুকা বাকি ছিল, সেই ফুটবল আজ কফিন ভেঙ্গে বেড়িয়ে আসতে শুরু“ করেছে। উপলক্ষ্য ইংল্যান্ড প্রবাসী হামজা চৌধুরী।’ ধারে শেফিল্ডে খেলা হামজার লাল সবুজের হয়ে খেলা নিয়ে ঢাকা আবাহনীর সাবেক এই ডিফেন্ডারের কথা, ‘প্রতিপক্ষের ফরোয়াড্রের তীব্র আক্রমণে গোলার মতো ছুটে আসা বল গোলবারের সামনে থেকে ফিরিয়ে দিতে জুড়ি নেই হামজার। এমন ফুটবলারই তো চেয়েছি আমরা।’ সাবেক এই তারকা ফুটবলার যোগ করেন, ‘হামজার সঙ্গে কানাডিয়ান সামিত সোমের রসায়ন দেশের ফুটবলকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলেই আমি আশাকরি। কারণ এই দুই ফুটবলারের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে স্থানীয় ফুটবলাররা। সেই সঙ্গে দেশের জেলা, ক্লাব এবং বিভিন্ন মাধ্যমে বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করে স্থানীয় প্রতিভাবান ফুটবলার তৈরী করে জাতীয় দলের পাইপলাইন শক্তিশালী করতে হবে। এতে আমাদের ফুটবলেও আবার শুরু হবে জাগরণের গান।’ হামজার মতো আরও বিদেশি ফুটবলার জাতীয় দলে প্রত্যাশা করে জাহেদ পারভেজ বলেন, ‘বাফুফের উচিত ডিফেন্স, মিডফিল্ড এবং ফরোয়ার্ডে আরও কিছু ভাল মানের প্রবাসি ফুটবলার আনতে পারলে ভারসাম্যপূর্ণ একটি দলে পরিণত হবে বাংলাদেশ। শক্তিশালী হবে, প্রতিপক্ষ দলগুলো সমীহ করবে। দেশের ফুটবলে নতুন ঘ্রানে মাতোয়ারা হউন ফুটবলপ্রেমিরা, সেই প্রত্যাশাই করি।’