সিরিজ জয়ের পর কাপ নিয়ে আরব আমিরাত দলের উল্লাস
আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়ের স্বাদ একবারই পেয়েছিল আমিরাত। ২০২১ সালে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছিল ২-১ ব্যবধানে। বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সাফল্য আরও বড়। অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিমের উচ্ছ্বাসও তাই আকাশ ছোঁয়া।
‘আমি খুবই খুশি এই জয়ে। আমি খুবই খুশি ইতিহাস গড়তে পেরে।’ আমিরাতের অধিনায়ক মনে করেন, ঐতিহাসিক জয় দেশটির ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ গঠনের দীর্ঘ পথে ভূমিকা রাখবে।
‘এই সিরিজ জয়ের অর্থ আমাদের কাছে বিশাল। ভবিষ্যতে এটা আমাদের সহায়তা করবে। ছেলেরা যেভাবে খেলেছে, আলিশান, আসিফ, রাহুল ব্যাট করেছে যেভাবে, হায়দার যেভাবে বোলিং করেছেন, খুবই খুশি আমি। এমন একটি দিনের প্রতিক্রিয়া প্রকাশের ভাষা নেই আমার।’
আরব আমিরাতের ব্যাটিংয়ের মূল ভরসা মূলত ওয়াসিমই। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ফিফটি করেন তিনি, দ্বিতীয় ম্যাচে ৪২ বল ৮২ রান করে তিনিই দলকে এগিয়ে নেন জয়ের পথে। তবে শেষ ম্যাচে তিনি আউট হয়ে যান মাত্র ৯ রান করেই। বাংলাদেশের উল্লাস দেখে মনে হতে পারে, ম্যাচই তারা জিতে গেছে তখন।
তবে নিজে দ্রুত আউট হলেও অধিনায়কের বিশ্বাস ছিল, তার দল পারবে জিততে। ‘সত্যি বলতে, আমরা আশা হারাইনি। সবাইকে বলছিলাম যে আমরা জিততে পারি। এই কন্ডিশনে আমরা অভ্যস্ত। বিশ্বাসটা ছিল আমাদের। খুবই খুশি আমি।’ আলিশান শারাফু ও আসিফ খানের ৫১ বলে ৮৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ শেষ করে আমিরাত। ম্যাচের প্রথম ভাগে বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন এই সিরিজেই অভিষিক্ত হায়দার আলি (৪-১-৭-৩)। আরব আমিরাতের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা সাফল্যগুলোর একটি এই সিরিজ জয়। ম্যাচ শেষ হতেই বাঁধনহারা উল্লাসে মেতে ওঠেন আমিরাতের ক্রিকেটাররা। পরে তারা উচ্ছ্বাসে ভেসে যান ট্রফি নিয়ে। আমিরাতের ক্রিকেট ইতিহাসের স্মরণীয়তম রাত সম্ভবত এটিই!
সংক্ষিপ্ত স্কোর : বাংলাদেশ ১৬২/৯ (তানজিদ ৪০, পারভেজ ০, লিটন ১৪, হৃদয় ০, শেখ মেহেদি ২, জাকের ৪১, শামীম ৯, রিশাদ ০, তানজিম ৬, হাসান ২৬*, শরিফুল ১৬*; আকিফ ১/২৭, ধ্রুব ১/২৪, মাতিউল্লাহ ২/৪১, হায়দার ৪-১-৭-৩, সাগির ২/৩৬)
সংযুক্ত আরব আমিরাত ১৯.১ ওভারে ১৬৬/৩ (জোহেইব ২৯, আলিশান ৬৮*, রাহুল ১৩, আসিফ ৪১*; শেখ মেহেদি ০/৩৬, শরিফুল ১/২৪, হাসান ০/৩৩, তানজিম ১/৪০, রিশাদ ১/৩২)। ম্যাচসেরা : আলিশান শারাফু। সিরিজসেরা : মুহাম্মদ ওয়াসিম।
সিরিজ জয়ের পর কাপ নিয়ে আরব আমিরাত দলের উল্লাস
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়ের স্বাদ একবারই পেয়েছিল আমিরাত। ২০২১ সালে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছিল ২-১ ব্যবধানে। বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সাফল্য আরও বড়। অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিমের উচ্ছ্বাসও তাই আকাশ ছোঁয়া।
‘আমি খুবই খুশি এই জয়ে। আমি খুবই খুশি ইতিহাস গড়তে পেরে।’ আমিরাতের অধিনায়ক মনে করেন, ঐতিহাসিক জয় দেশটির ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ গঠনের দীর্ঘ পথে ভূমিকা রাখবে।
‘এই সিরিজ জয়ের অর্থ আমাদের কাছে বিশাল। ভবিষ্যতে এটা আমাদের সহায়তা করবে। ছেলেরা যেভাবে খেলেছে, আলিশান, আসিফ, রাহুল ব্যাট করেছে যেভাবে, হায়দার যেভাবে বোলিং করেছেন, খুবই খুশি আমি। এমন একটি দিনের প্রতিক্রিয়া প্রকাশের ভাষা নেই আমার।’
আরব আমিরাতের ব্যাটিংয়ের মূল ভরসা মূলত ওয়াসিমই। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ফিফটি করেন তিনি, দ্বিতীয় ম্যাচে ৪২ বল ৮২ রান করে তিনিই দলকে এগিয়ে নেন জয়ের পথে। তবে শেষ ম্যাচে তিনি আউট হয়ে যান মাত্র ৯ রান করেই। বাংলাদেশের উল্লাস দেখে মনে হতে পারে, ম্যাচই তারা জিতে গেছে তখন।
তবে নিজে দ্রুত আউট হলেও অধিনায়কের বিশ্বাস ছিল, তার দল পারবে জিততে। ‘সত্যি বলতে, আমরা আশা হারাইনি। সবাইকে বলছিলাম যে আমরা জিততে পারি। এই কন্ডিশনে আমরা অভ্যস্ত। বিশ্বাসটা ছিল আমাদের। খুবই খুশি আমি।’ আলিশান শারাফু ও আসিফ খানের ৫১ বলে ৮৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ শেষ করে আমিরাত। ম্যাচের প্রথম ভাগে বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন এই সিরিজেই অভিষিক্ত হায়দার আলি (৪-১-৭-৩)। আরব আমিরাতের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা সাফল্যগুলোর একটি এই সিরিজ জয়। ম্যাচ শেষ হতেই বাঁধনহারা উল্লাসে মেতে ওঠেন আমিরাতের ক্রিকেটাররা। পরে তারা উচ্ছ্বাসে ভেসে যান ট্রফি নিয়ে। আমিরাতের ক্রিকেট ইতিহাসের স্মরণীয়তম রাত সম্ভবত এটিই!
সংক্ষিপ্ত স্কোর : বাংলাদেশ ১৬২/৯ (তানজিদ ৪০, পারভেজ ০, লিটন ১৪, হৃদয় ০, শেখ মেহেদি ২, জাকের ৪১, শামীম ৯, রিশাদ ০, তানজিম ৬, হাসান ২৬*, শরিফুল ১৬*; আকিফ ১/২৭, ধ্রুব ১/২৪, মাতিউল্লাহ ২/৪১, হায়দার ৪-১-৭-৩, সাগির ২/৩৬)
সংযুক্ত আরব আমিরাত ১৯.১ ওভারে ১৬৬/৩ (জোহেইব ২৯, আলিশান ৬৮*, রাহুল ১৩, আসিফ ৪১*; শেখ মেহেদি ০/৩৬, শরিফুল ১/২৪, হাসান ০/৩৩, তানজিম ১/৪০, রিশাদ ১/৩২)। ম্যাচসেরা : আলিশান শারাফু। সিরিজসেরা : মুহাম্মদ ওয়াসিম।