ইউরো কাপ নিয়ে টটেনহ্যামের সন হিউং-মিন
সন হিউং-মিন ইতিহাস গড়তে চেয়েছিলেন। কিংবদন্তি হতে চেয়েছিলেন। অবশেষে তিনি পারলেন। বছরের পর বছর ধরে যে স্বপ্নের ছবি তিনি এঁকেছেন হৃদয়ে, বারবার যে ছবি ঝাপসা হয়ে গেছে, যে হৃদয়ে মেঘ জমেছে, সেখানেই অবশেষে সুখের প্রবল বর্ষণ। স্বপ্নপূরণের দিনে গর্বিত কণ্ঠে টটেনহ্যাম হটস্পারের নায়ক বলতে পারলেন, ‘আমি একজন কিংবদন্তি।’
ইতিহাসের সব কিংবদন্তি তো ট্রফি জেতেননি! তবে এই শর্তটা নিজেকেই বেঁধে দিয়েছিলেন সন। ১০ বছর ধরে এই ক্লাবে আছেন। ক্লাবের ইতিহাসের সেরাদের একজন তিনি হয়েই গেছেন। তবু মৌসুম শুরুর আগে তিনি বলেছিলেন, একটি ট্রফি না জেতা পর্যন্ত তিনি কিংবদন্তি হওয়ার যোগ্য নন।
ফাইনালের আগে সন বলেছিলেন, ‘আমার জীবনের সেরা দিন হতে পারে এটি, ইতিহাস গড়তে চাই।’
ফাইনালের পর সেই আবেগের স্রোতে হাবুডুবু খেয়ে স্যালুট করছেন নিজেকে। ‘বলতে পারেন, আমি একজন কিংবদন্তি। কেন নয়? তবে স্রেফ আজকে!’
‘১৭ বছর ধরে এটা কেউ পারেনি। এই দুর্দান্ত ফুটবলারদের নিয়ে এটা করতে পারা, আজই সেই দিন। হয়তো আজকেই বলব, আমি এই ক্লাবের কিংবদন্তি।’
বায়ার লেভারকুজেন থেকে ২০১৫ সালে টটেনহ্যামে এসেছেন সন। গোলের পর গোল করেছেন। দলের অনেক জয়ের স্বাক্ষী হয়েছেন। ব্যক্তিগত অনেক পুরস্কার ও স্বীকৃতি জিতেছেন। কিন্তু চূড়ান্ত লক্ষ্য তো দলীয় অর্জন! এতটা পথ মাড়িয়ে সেই সাফল্যে নিজেদের রাঙাতে পেরে সন ছিলেন আত্মহারা।
‘অনুভূতি অসাধারণ। সবসময় এই স্বপ্নই দেখে এসেছি এবং আজকে তা পূরণের দিন। স্বপ্ন সত্যি হলো, সত্যিকার অর্থেই সত্যি হলো। আমি কী যে খুশি! আজকে আমি এই দুনিয়ার সবচেয়ে খুশি মানুষ।’
‘গোটা মৌসুমে ফিরে তাকালে, কিছু সময় থাকে যা খুবই কঠিন। তবে আমরা ফুটবলাররা সবসময় এককাট্টা থেকেছি। তরুণরা সবসময় লড়াই করেছে ও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি ওদেরকে ভালো পরামর্শ দিতে, ইতিবাচক কথা বলতে। আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে, এমন অসাধারণ ফুটবলারদের পাশে পেয়েছি।’
মাত্র কয়েকদিন আগেই সন অভিনন্দন জানিয়েছেন তার দীর্ঘদিনের সতীর্থ, আক্রমণভাগের সঙ্গী ও বন্ধু হ্যারি কেইনকে।
মৌসুমের পর মৌসুম ধরে প্রতিপক্ষের রক্ষণে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন দুজন মিলে। ওই সময়টায় প্রিমিয়ার লিগের আক্রমণভাগের সেরা জুটি তারা। কিন্তু দুজনের বেদনার রঙ ছিল একই, ক্লাব ক্যারিয়ারে ট্রফির দেখা পাননি কেউই।
ফাইনালে অবশ্য সেরা একাদশে ছিলেন না সন। পায়ের চোট কাটিয়ে মাত্র কিছুদিন আগে তিনি ফিরেছেন মাঠে। ফাইনালে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ৬৭তম মিনিটে। শেষ বাঁশি বাজার পর বাঁধনহারা উদযাপনে মেতে ওঠেন তিনি সতীর্থদের সঙ্গে।
সেই উদযাপন তিনি থামাতে চান না সহসাই। ট্রফির স্বপ্নে এতটাই মগ্ন ছিলেন যে, ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল তার। এখন ভেসে যেতে চান উপভোগের আনন্দে।
‘আজকের দিনটায় আমরা সত্যিকার অর্থেই উদযাপন করতে পারব। কাজেই এটিকে এতটা স্মরণীয় করে রাখতে হবে যেন কখনোই ভুলতে না পারি। হয়তো কালকে আমি ফ্লাইট মিস করব!’
ইউরো কাপ নিয়ে টটেনহ্যামের সন হিউং-মিন
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
সন হিউং-মিন ইতিহাস গড়তে চেয়েছিলেন। কিংবদন্তি হতে চেয়েছিলেন। অবশেষে তিনি পারলেন। বছরের পর বছর ধরে যে স্বপ্নের ছবি তিনি এঁকেছেন হৃদয়ে, বারবার যে ছবি ঝাপসা হয়ে গেছে, যে হৃদয়ে মেঘ জমেছে, সেখানেই অবশেষে সুখের প্রবল বর্ষণ। স্বপ্নপূরণের দিনে গর্বিত কণ্ঠে টটেনহ্যাম হটস্পারের নায়ক বলতে পারলেন, ‘আমি একজন কিংবদন্তি।’
ইতিহাসের সব কিংবদন্তি তো ট্রফি জেতেননি! তবে এই শর্তটা নিজেকেই বেঁধে দিয়েছিলেন সন। ১০ বছর ধরে এই ক্লাবে আছেন। ক্লাবের ইতিহাসের সেরাদের একজন তিনি হয়েই গেছেন। তবু মৌসুম শুরুর আগে তিনি বলেছিলেন, একটি ট্রফি না জেতা পর্যন্ত তিনি কিংবদন্তি হওয়ার যোগ্য নন।
ফাইনালের আগে সন বলেছিলেন, ‘আমার জীবনের সেরা দিন হতে পারে এটি, ইতিহাস গড়তে চাই।’
ফাইনালের পর সেই আবেগের স্রোতে হাবুডুবু খেয়ে স্যালুট করছেন নিজেকে। ‘বলতে পারেন, আমি একজন কিংবদন্তি। কেন নয়? তবে স্রেফ আজকে!’
‘১৭ বছর ধরে এটা কেউ পারেনি। এই দুর্দান্ত ফুটবলারদের নিয়ে এটা করতে পারা, আজই সেই দিন। হয়তো আজকেই বলব, আমি এই ক্লাবের কিংবদন্তি।’
বায়ার লেভারকুজেন থেকে ২০১৫ সালে টটেনহ্যামে এসেছেন সন। গোলের পর গোল করেছেন। দলের অনেক জয়ের স্বাক্ষী হয়েছেন। ব্যক্তিগত অনেক পুরস্কার ও স্বীকৃতি জিতেছেন। কিন্তু চূড়ান্ত লক্ষ্য তো দলীয় অর্জন! এতটা পথ মাড়িয়ে সেই সাফল্যে নিজেদের রাঙাতে পেরে সন ছিলেন আত্মহারা।
‘অনুভূতি অসাধারণ। সবসময় এই স্বপ্নই দেখে এসেছি এবং আজকে তা পূরণের দিন। স্বপ্ন সত্যি হলো, সত্যিকার অর্থেই সত্যি হলো। আমি কী যে খুশি! আজকে আমি এই দুনিয়ার সবচেয়ে খুশি মানুষ।’
‘গোটা মৌসুমে ফিরে তাকালে, কিছু সময় থাকে যা খুবই কঠিন। তবে আমরা ফুটবলাররা সবসময় এককাট্টা থেকেছি। তরুণরা সবসময় লড়াই করেছে ও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি ওদেরকে ভালো পরামর্শ দিতে, ইতিবাচক কথা বলতে। আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে, এমন অসাধারণ ফুটবলারদের পাশে পেয়েছি।’
মাত্র কয়েকদিন আগেই সন অভিনন্দন জানিয়েছেন তার দীর্ঘদিনের সতীর্থ, আক্রমণভাগের সঙ্গী ও বন্ধু হ্যারি কেইনকে।
মৌসুমের পর মৌসুম ধরে প্রতিপক্ষের রক্ষণে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন দুজন মিলে। ওই সময়টায় প্রিমিয়ার লিগের আক্রমণভাগের সেরা জুটি তারা। কিন্তু দুজনের বেদনার রঙ ছিল একই, ক্লাব ক্যারিয়ারে ট্রফির দেখা পাননি কেউই।
ফাইনালে অবশ্য সেরা একাদশে ছিলেন না সন। পায়ের চোট কাটিয়ে মাত্র কিছুদিন আগে তিনি ফিরেছেন মাঠে। ফাইনালে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ৬৭তম মিনিটে। শেষ বাঁশি বাজার পর বাঁধনহারা উদযাপনে মেতে ওঠেন তিনি সতীর্থদের সঙ্গে।
সেই উদযাপন তিনি থামাতে চান না সহসাই। ট্রফির স্বপ্নে এতটাই মগ্ন ছিলেন যে, ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল তার। এখন ভেসে যেতে চান উপভোগের আনন্দে।
‘আজকের দিনটায় আমরা সত্যিকার অর্থেই উদযাপন করতে পারব। কাজেই এটিকে এতটা স্মরণীয় করে রাখতে হবে যেন কখনোই ভুলতে না পারি। হয়তো কালকে আমি ফ্লাইট মিস করব!’