কিংস অ্যারেনায় জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলন
বৃষ্টির কারণে শনিবার,(৩১ মে ২০২৫) বিকেলে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ফুটবল দলের অনুশীলন হয়নি। জামাল ভূঁইয়াদের বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে হয়েছে কিংস অ্যারেনার মাঠ। সেখানে ভুটান ও সিঙ্গাপুর ম্যাচকে সামনে রেখে ঘাম ঝরিয়েছে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। ফাহামিদুলের সঙ্গে অন্যরা মিলে দু’টি ম্যাচেই জয়ের আশা দেখছেন।
৪ জুন ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচ এবং ১০ জুন এশিয়া কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
তবে এদিন অনুশীলন করতে না পারায় কিছুটা হতাশ ডিফেন্ডার রহমত মিয়া, ‘জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন হবে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা এটাই জানতাম। কিন্তু আবহাওয়ার ওপর তো কারও হাত নেই। বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। সেজন্য সূচি ও প্রস্তুতির ভেন্যু বদলে গেছে। ওখানে অনুশীলন করতে পারলে ভালো লাগতো, কিন্তু এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’
ইতালির সিরি ডি’তে খেলা ফাহামিদুল এরই মধ্যে যোগ দিয়েছেন ক্যাম্পে। হামজা ও শমিতসহ এই তিন প্রবাসীকে নিয়ে দলকে আরও আত্মবিশ্বাসী দেখছেন রহমত, ‘যেহেতু হামজা আমাদের সঙ্গে খেলেছে, শমিত সোমও আসছে, এটা আমাদের জন্য ভালো খবর। এটা আমাদের দলের জন্য ভালো হচ্ছে। এতে স্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে অনুপ্রেরণা ও বুস্টআপ কাজ করছে। আমি মনে করি, হামজার সঙ্গে সমিত বা যারা আসছে, সেটা আমাদের দলের জন্য ভালো এবং আশা করি, আমরা সবাই মিলে ভালো একটা ফল করবো।’
দু’টি ম্যাচে সমর্থকদের প্রত্যাশা অনেক। রহমত তা বুঝতে পারছেন, ‘আমাদের যে সমর্থকরা আছেন, দর্শকরা আছেন, আমাদের যে সমর্থন তারা দিচ্ছেন, তাদের প্রত্যাশাও এখন অনেক উঁচুতে। আমাদের একটা মিটিং হয়েছে, এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে। আগের মানুষের প্রত্যাশা আর এখনকার মানুষের চাওয়াটা এক জায়গায় নেই। মানুষ আরও প্রত্যাশা করছে, বেশি চাচ্ছে। আমরা সবাই আরও বেশি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ আরও ভালো কিছু করার জন্য, নিজেদের জায়গা থেকে যতটুকু মান উন্নত করা যায়, সেই চেষ্টা করবো।’
ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে রহমতের আরও কথা, ‘এটা দুই দিক (চাপ ও অনুপ্রেরণা) থেকে কাজ করে। পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে সমর্থকদের প্রত্যাশা যদি পূরণ করতে না পারি, তারা আশাহত হবে। যদি পূরণ করতে পারি, তারা আমাদের আরও বেশি সমর্থন করবে। দু’টো দিকই আছে। আমরা ভয়ের দিক না দেখে আলোর দিক দেখি, চেষ্টা করে যাই, দেখা যাক কী হয়।’
আরেক ডিফেন্ডার ইসা ফয়সাল জানালেন, ‘ফাহামিদুলের সঙ্গে ভালো সময় কাটছে আমাদের। সে আমাদের মতোই মিশুক, খোলা মনের। সে যে প্রবাসী, সেটা আমি বলবো না, সে বাংলাদেশি খেলোয়াড় সেটাই বড় কথা।’
প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর নিয়ে ইসা ফয়সাল সমীহ করে বললেন, ‘অবশ্যই সিঙ্গাপুর দলকে আমরা সম্মান করি। ওরা ভালো দল। আমাদের ডিফেন্ডারদের মধ্যেও কৌতুহল আছে, প্রতিপক্ষ যত ভালোই হোক না কেন, আমরা সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবো দলকে ভালো কিছু দেয়ার।’
৪ জুন ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচ এবং ১০ জুন এশিয়া কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
কিংস অ্যারেনায় জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলন
শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
বৃষ্টির কারণে শনিবার,(৩১ মে ২০২৫) বিকেলে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ফুটবল দলের অনুশীলন হয়নি। জামাল ভূঁইয়াদের বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে হয়েছে কিংস অ্যারেনার মাঠ। সেখানে ভুটান ও সিঙ্গাপুর ম্যাচকে সামনে রেখে ঘাম ঝরিয়েছে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। ফাহামিদুলের সঙ্গে অন্যরা মিলে দু’টি ম্যাচেই জয়ের আশা দেখছেন।
৪ জুন ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচ এবং ১০ জুন এশিয়া কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
তবে এদিন অনুশীলন করতে না পারায় কিছুটা হতাশ ডিফেন্ডার রহমত মিয়া, ‘জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন হবে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা এটাই জানতাম। কিন্তু আবহাওয়ার ওপর তো কারও হাত নেই। বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। সেজন্য সূচি ও প্রস্তুতির ভেন্যু বদলে গেছে। ওখানে অনুশীলন করতে পারলে ভালো লাগতো, কিন্তু এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’
ইতালির সিরি ডি’তে খেলা ফাহামিদুল এরই মধ্যে যোগ দিয়েছেন ক্যাম্পে। হামজা ও শমিতসহ এই তিন প্রবাসীকে নিয়ে দলকে আরও আত্মবিশ্বাসী দেখছেন রহমত, ‘যেহেতু হামজা আমাদের সঙ্গে খেলেছে, শমিত সোমও আসছে, এটা আমাদের জন্য ভালো খবর। এটা আমাদের দলের জন্য ভালো হচ্ছে। এতে স্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে অনুপ্রেরণা ও বুস্টআপ কাজ করছে। আমি মনে করি, হামজার সঙ্গে সমিত বা যারা আসছে, সেটা আমাদের দলের জন্য ভালো এবং আশা করি, আমরা সবাই মিলে ভালো একটা ফল করবো।’
দু’টি ম্যাচে সমর্থকদের প্রত্যাশা অনেক। রহমত তা বুঝতে পারছেন, ‘আমাদের যে সমর্থকরা আছেন, দর্শকরা আছেন, আমাদের যে সমর্থন তারা দিচ্ছেন, তাদের প্রত্যাশাও এখন অনেক উঁচুতে। আমাদের একটা মিটিং হয়েছে, এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে। আগের মানুষের প্রত্যাশা আর এখনকার মানুষের চাওয়াটা এক জায়গায় নেই। মানুষ আরও প্রত্যাশা করছে, বেশি চাচ্ছে। আমরা সবাই আরও বেশি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ আরও ভালো কিছু করার জন্য, নিজেদের জায়গা থেকে যতটুকু মান উন্নত করা যায়, সেই চেষ্টা করবো।’
ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে রহমতের আরও কথা, ‘এটা দুই দিক (চাপ ও অনুপ্রেরণা) থেকে কাজ করে। পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে সমর্থকদের প্রত্যাশা যদি পূরণ করতে না পারি, তারা আশাহত হবে। যদি পূরণ করতে পারি, তারা আমাদের আরও বেশি সমর্থন করবে। দু’টো দিকই আছে। আমরা ভয়ের দিক না দেখে আলোর দিক দেখি, চেষ্টা করে যাই, দেখা যাক কী হয়।’
আরেক ডিফেন্ডার ইসা ফয়সাল জানালেন, ‘ফাহামিদুলের সঙ্গে ভালো সময় কাটছে আমাদের। সে আমাদের মতোই মিশুক, খোলা মনের। সে যে প্রবাসী, সেটা আমি বলবো না, সে বাংলাদেশি খেলোয়াড় সেটাই বড় কথা।’
প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর নিয়ে ইসা ফয়সাল সমীহ করে বললেন, ‘অবশ্যই সিঙ্গাপুর দলকে আমরা সম্মান করি। ওরা ভালো দল। আমাদের ডিফেন্ডারদের মধ্যেও কৌতুহল আছে, প্রতিপক্ষ যত ভালোই হোক না কেন, আমরা সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবো দলকে ভালো কিছু দেয়ার।’
৪ জুন ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচ এবং ১০ জুন এশিয়া কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।