গল টেস্ট
শেষ বিকেলে ব্যাটিং ধসে ২৬ রানে ৫ উইকেট পতন
মুশফিক-লিটন জুটি ৫ম উইকেটে ১৪৯ রান তোলেন
অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরির সঙ্গে লিটন দাসের হাফ-সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে প্রথম ইডিনংসে দ্বিতীয় দিন শেষে ১৫১ ওভারে ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান করেছে বাংলাদেশ। শান্ত ১৪৮, মুশফিক ১৬৩ ও লিটন ৯০ রান করেন।
গল স্টেডিয়ামে বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনে এক পর্যায়ে ৪ উইকেটে ৪৫৮ রানে তুলে ভালোভাবেই বড় সংগ্রহের পথে ছিল শান্তর দল। কিন্তু শেষ বিকেলে ব্যাটিং ধসে ২৬ রানে ৫ উইকেট পতনে টাইগারদের ৫শ রান এখন অনিশ্চিতের মুখে পড়েছে।
প্রথম দিন শেষে ৯০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৯২ রান করেছিল বাংলাদেশ। শান্ত ১৩৬ ও মুশফিক ১০৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বুধবার,(১৮ জুন ২০২৫) দ্বিতীয় দিন ১২ রান যোগ করে সপ্তম ওভারে থামেন শান্ত। পেসার ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে মিড অফে ম্যাথিউসের হাতে ধরা পাড়েন টাইগার অধিনায়ক। ২৭৯ বল খেলে ১৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৪৮ রান করেন শান্ত।
চতুর্থ উইকেটে মুশফিকের সঙ্গে ৪৮০ বলে ২৬৪ রানের জুটি গড়েন শান্ত। বাংলাদেশের হয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
শান্তর বিদায়ে ক্রিজে মুশফিকের সঙ্গী হন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। জুটি গড়ার চেষ্টায় শুরুতেই জীবন পান তারা। মুশফিক ১২৬ রানে রান আউট এবং লিটন ১৪ রানে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান। জীবন পেয়ে জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তারা। এতে ৪ উইকেটে ৩৮৩ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। তখন মুশফিক ১৪১ ও লিটন ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ৯৭ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে সপ্তম ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয়বার দেড়শ রান স্পর্শ করেন মুশফিক। তার দেড়শর পর বাংলাদেশের রান চারশ ও লিটনের হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়।
এরপর ১৩০তম ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারির পর বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয় খেলা। তখন ৪ উইকেটে ৪২৩ রান ছিল টাইগারদের। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর শুরু হয় খেলা।
বৃষ্টির বিরতির পর ফের ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেছেন মুশফিক ও লিটন। কিন্তু পরপর দু’ওভারে বিদায় নেন তারা। ১৪১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আসিথার এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন মুশফিক। উইকেট বাঁচাতে রিভিউ নেন মুশফিক। টিভি রিপ্লেতে ‘আম্পায়ার্স কল’-এর বিদায় ঘন্টা বাজে মুশফিকের। ৯ চারে ৩৫০ বল খেলে ১৬৩ রান করেন তিনি। এতে পঞ্চম উইকেটে লিটনের সাথে মুশফিকের ১৪৯ রানের জুটির ইতি ঘটে।
পরের ওভারে নার্ভাস নাইন্টিতে আউট হন লিটন। স্পিনার থারিন্দু রতœায়েকের বল রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১২৩ বলে ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ৯০ রান করেন লিটন।
দলীয় ৪৫৯ রানে পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর পরের দিকের ব্যাটাররা প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। ৪৮৪ রানে নবম উইকেট পতন হয় টাইগারদের। এসময় জাকের আলি ৮, নাইম হাসান ১১, তাইজুল ইসলাম ৬ রানে আউট হন। দিন শেষে হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা রানের খাতা না খুলে অপরাজিত আছেন।
শ্রীলঙ্কার অভিষিক্ত স্পিনার থারিন্দু, দুই পেসার আসিথা এবং মিলান রতœায়েকে ফার্নান্দো ৩টি করে উইকেট নেন।
গল টেস্ট
শেষ বিকেলে ব্যাটিং ধসে ২৬ রানে ৫ উইকেট পতন
মুশফিক-লিটন জুটি ৫ম উইকেটে ১৪৯ রান তোলেন
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরির সঙ্গে লিটন দাসের হাফ-সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে প্রথম ইডিনংসে দ্বিতীয় দিন শেষে ১৫১ ওভারে ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান করেছে বাংলাদেশ। শান্ত ১৪৮, মুশফিক ১৬৩ ও লিটন ৯০ রান করেন।
গল স্টেডিয়ামে বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনে এক পর্যায়ে ৪ উইকেটে ৪৫৮ রানে তুলে ভালোভাবেই বড় সংগ্রহের পথে ছিল শান্তর দল। কিন্তু শেষ বিকেলে ব্যাটিং ধসে ২৬ রানে ৫ উইকেট পতনে টাইগারদের ৫শ রান এখন অনিশ্চিতের মুখে পড়েছে।
প্রথম দিন শেষে ৯০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৯২ রান করেছিল বাংলাদেশ। শান্ত ১৩৬ ও মুশফিক ১০৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বুধবার,(১৮ জুন ২০২৫) দ্বিতীয় দিন ১২ রান যোগ করে সপ্তম ওভারে থামেন শান্ত। পেসার ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে মিড অফে ম্যাথিউসের হাতে ধরা পাড়েন টাইগার অধিনায়ক। ২৭৯ বল খেলে ১৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৪৮ রান করেন শান্ত।
চতুর্থ উইকেটে মুশফিকের সঙ্গে ৪৮০ বলে ২৬৪ রানের জুটি গড়েন শান্ত। বাংলাদেশের হয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
শান্তর বিদায়ে ক্রিজে মুশফিকের সঙ্গী হন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। জুটি গড়ার চেষ্টায় শুরুতেই জীবন পান তারা। মুশফিক ১২৬ রানে রান আউট এবং লিটন ১৪ রানে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান। জীবন পেয়ে জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তারা। এতে ৪ উইকেটে ৩৮৩ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। তখন মুশফিক ১৪১ ও লিটন ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ৯৭ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে সপ্তম ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয়বার দেড়শ রান স্পর্শ করেন মুশফিক। তার দেড়শর পর বাংলাদেশের রান চারশ ও লিটনের হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়।
এরপর ১৩০তম ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারির পর বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয় খেলা। তখন ৪ উইকেটে ৪২৩ রান ছিল টাইগারদের। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর শুরু হয় খেলা।
বৃষ্টির বিরতির পর ফের ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেছেন মুশফিক ও লিটন। কিন্তু পরপর দু’ওভারে বিদায় নেন তারা। ১৪১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আসিথার এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন মুশফিক। উইকেট বাঁচাতে রিভিউ নেন মুশফিক। টিভি রিপ্লেতে ‘আম্পায়ার্স কল’-এর বিদায় ঘন্টা বাজে মুশফিকের। ৯ চারে ৩৫০ বল খেলে ১৬৩ রান করেন তিনি। এতে পঞ্চম উইকেটে লিটনের সাথে মুশফিকের ১৪৯ রানের জুটির ইতি ঘটে।
পরের ওভারে নার্ভাস নাইন্টিতে আউট হন লিটন। স্পিনার থারিন্দু রতœায়েকের বল রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১২৩ বলে ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ৯০ রান করেন লিটন।
দলীয় ৪৫৯ রানে পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর পরের দিকের ব্যাটাররা প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। ৪৮৪ রানে নবম উইকেট পতন হয় টাইগারদের। এসময় জাকের আলি ৮, নাইম হাসান ১১, তাইজুল ইসলাম ৬ রানে আউট হন। দিন শেষে হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা রানের খাতা না খুলে অপরাজিত আছেন।
শ্রীলঙ্কার অভিষিক্ত স্পিনার থারিন্দু, দুই পেসার আসিথা এবং মিলান রতœায়েকে ফার্নান্দো ৩টি করে উইকেট নেন।