চলতি বছর পাকিস্তানে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই সফরে হোয়াটওয়াশ হতে হয়েছে। নিজেদের মাঠে বাংলাদেশকে হারানোর সুখে স্মৃতি নিয়ে আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে মাঠে নামছে পাকিস্তান। মাঠে নামার আগে পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আলী আগা এই সফরকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যদিও বিপিএল খেলা ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পরিকল্পনা সাজানোর কথা বলেছেন সালমান।
ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের অধিনায়ক বলেন, ‘এটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং একটা সফর। বাংলাদেশ যেকোনো মাঠে, যেকোনো দেশে সবসময়ই ভালো দল। আর যখন তারা ঘরের মাঠে খেলে, তখন আরও বেশি শক্তিশালী। আমরা জানি আমাদের কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে এবং আমরা সেসবের জন্য প্রস্তুত। এখানে খেলতে এসে আমরা খুবই রোমাঞ্চিত।’
সালমান আগা এই সফরকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখলেও পাকিস্তানের জন্য শেরেবাংলা স্টেডিয়াম যেন হাতের তালুর মতো চেনা। বিপিএলে পাকিস্তানের প্লেয়াররা নিয়মিত খেলেন। এই স্কোয়াডের অন্তত ৯ জন ক্রিকেটারের বিপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। পাকিস্তানের অধিনায়ক জানিয়েছেন, বিপিএল খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পরিকল্পনা সাজাবেন তারা, ‘এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই বিপিএল খেলেছে। যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাদের ইনপুট ও অভিজ্ঞতা নেয়া। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা তাদের ইনপুট দিয়েছে, আমরা ওই অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজিয়েছি।’
পাকিস্তান দলে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার নেই। তাদের বাদ দিয়ে অনেকটা নতুন দল নিয়েই বাংলাদেশে এসেছে পাকিস্তান। এখন নতুন ক্রিকেটারদের নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য সালমান আগার। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের জন্য তারা বেশ ভালো করেছে। সেভাবেই খেলেছে, যেভাবে খেলা উচিত। কিন্তু হ্যাঁ, টি-টোয়েন্টি প্রতি বছরই বদলে যাচ্ছে, সত্যি বলতে প্রতি ছয় মাসেই বদলায়। আমরা এখন যে ধরনে খেলতে চাই, আমাদের ওই ধরনের খেলোয়াড় আছে। এখন যে খেলোয়াড়রা আছে, তারা খুবই ভালো আরও রোমাঞ্চকর।’
শরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রথাগত মন্থর ও নিচু বাউন্সের উইকেটে এই অ্যাপ্রোচে খেলা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হতে পারে জানেন পাকিস্তান অধিনায়ক। ‘করাচিতে আমরা একটি ক্যাম্প করেছি। সেখানে আমরা এখানে যেমন উইকেট পাব, তেমন উইকেট বানিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি। প্রস্তুতি খুব ভালো হয়েছে।’
মিরপুরের উইকেটে সাধারণত ব্যাটারদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে, উইকেট কিছু ধীরগতির হয়, বিশেষ করে স্পিনারদের আধিপত্য বেশি থাকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে উইকেট কেমন হচ্ছে, সেই ব্যাপারে এখনও স্পষ্ট ধারণা নেই। তবে উইকেট যেমনই হোক কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার কথা জানালেন পাকিস্তানের অধিনায়ক, ‘আমরা আমাদের খেলার ধরন বদলেছি। এভাবেই আমরা খেলতে চাই। কিন্তু কন্ডিশন পর্যবেক্ষণ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। দেখবো কন্ডিশন কেমন আর আমরা কীভাবে খেলতে চাই। যদি কন্ডিশন তেমন হয়, তাহলে আমরা সেই অনুযায়ী খেলবো। যদি কন্ডিশন তেমন না হয়, তাহলে আমরা ভিন্ন পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলবো। আমাদের লক্ষ্য গড়পড়তার চেয়ে ১০১৫ রান বেশি করা। যখন আমরা বল করবো, তখন দলকে গড়ের চেয়ে কমে আটকে রাখবো।’
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
চলতি বছর পাকিস্তানে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই সফরে হোয়াটওয়াশ হতে হয়েছে। নিজেদের মাঠে বাংলাদেশকে হারানোর সুখে স্মৃতি নিয়ে আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে মাঠে নামছে পাকিস্তান। মাঠে নামার আগে পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আলী আগা এই সফরকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যদিও বিপিএল খেলা ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পরিকল্পনা সাজানোর কথা বলেছেন সালমান।
ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের অধিনায়ক বলেন, ‘এটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং একটা সফর। বাংলাদেশ যেকোনো মাঠে, যেকোনো দেশে সবসময়ই ভালো দল। আর যখন তারা ঘরের মাঠে খেলে, তখন আরও বেশি শক্তিশালী। আমরা জানি আমাদের কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে এবং আমরা সেসবের জন্য প্রস্তুত। এখানে খেলতে এসে আমরা খুবই রোমাঞ্চিত।’
সালমান আগা এই সফরকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখলেও পাকিস্তানের জন্য শেরেবাংলা স্টেডিয়াম যেন হাতের তালুর মতো চেনা। বিপিএলে পাকিস্তানের প্লেয়াররা নিয়মিত খেলেন। এই স্কোয়াডের অন্তত ৯ জন ক্রিকেটারের বিপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। পাকিস্তানের অধিনায়ক জানিয়েছেন, বিপিএল খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পরিকল্পনা সাজাবেন তারা, ‘এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই বিপিএল খেলেছে। যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাদের ইনপুট ও অভিজ্ঞতা নেয়া। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা তাদের ইনপুট দিয়েছে, আমরা ওই অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজিয়েছি।’
পাকিস্তান দলে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার নেই। তাদের বাদ দিয়ে অনেকটা নতুন দল নিয়েই বাংলাদেশে এসেছে পাকিস্তান। এখন নতুন ক্রিকেটারদের নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য সালমান আগার। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের জন্য তারা বেশ ভালো করেছে। সেভাবেই খেলেছে, যেভাবে খেলা উচিত। কিন্তু হ্যাঁ, টি-টোয়েন্টি প্রতি বছরই বদলে যাচ্ছে, সত্যি বলতে প্রতি ছয় মাসেই বদলায়। আমরা এখন যে ধরনে খেলতে চাই, আমাদের ওই ধরনের খেলোয়াড় আছে। এখন যে খেলোয়াড়রা আছে, তারা খুবই ভালো আরও রোমাঞ্চকর।’
শরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রথাগত মন্থর ও নিচু বাউন্সের উইকেটে এই অ্যাপ্রোচে খেলা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হতে পারে জানেন পাকিস্তান অধিনায়ক। ‘করাচিতে আমরা একটি ক্যাম্প করেছি। সেখানে আমরা এখানে যেমন উইকেট পাব, তেমন উইকেট বানিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি। প্রস্তুতি খুব ভালো হয়েছে।’
মিরপুরের উইকেটে সাধারণত ব্যাটারদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে, উইকেট কিছু ধীরগতির হয়, বিশেষ করে স্পিনারদের আধিপত্য বেশি থাকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে উইকেট কেমন হচ্ছে, সেই ব্যাপারে এখনও স্পষ্ট ধারণা নেই। তবে উইকেট যেমনই হোক কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার কথা জানালেন পাকিস্তানের অধিনায়ক, ‘আমরা আমাদের খেলার ধরন বদলেছি। এভাবেই আমরা খেলতে চাই। কিন্তু কন্ডিশন পর্যবেক্ষণ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। দেখবো কন্ডিশন কেমন আর আমরা কীভাবে খেলতে চাই। যদি কন্ডিশন তেমন হয়, তাহলে আমরা সেই অনুযায়ী খেলবো। যদি কন্ডিশন তেমন না হয়, তাহলে আমরা ভিন্ন পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলবো। আমাদের লক্ষ্য গড়পড়তার চেয়ে ১০১৫ রান বেশি করা। যখন আমরা বল করবো, তখন দলকে গড়ের চেয়ে কমে আটকে রাখবো।’