টি-২০ সিরিজের ট্রফি নিয়ে দুই অধিনায়ক লিটন দাস ও সালমান আলী আগা
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ সফরে এসে
পাকিস্তান ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল। তারপর গত ৯ বছরে সাদা বলের ক্রিকেটে কোনো সিরিজ জিততে পারেনি লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। লম্বা সময় ধরে সিরিজ জিততে না পারা বাংলাদেশের সামনে আরও একটি সাদা বলের সিরিজ। আজ থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজে পুরনো রেকর্ড ভাঙতে আত্মবিশ্বাসী লিটন দাস।
এক প্রশ্নের জবাবে অধিনায়ক লিটন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে হবে। সব কিছু তৈরি হয় ইতিহাস হওয়ার জন্য। আর রেকর্ড কিন্তু ভাঙাও হয়। আমরা যদি ভালো ক্রিকেট খেলি, রেকর্ড ভাঙতে সময় লাগবে না। ওই রেকর্ডের চিন্তা না করে আমরা কী করতে পারি, আমাদের কতখানি সামর্থ্য আছে, কতটা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, সেসব ভাবলে ওই সব জিনিসই বদলে যাবে।’
অতিসম্প্রতি লঙ্কানদের বিপক্ষে তাদের মাঠে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয় করেছে লিটনের দল। দারুণ অবস্থায় থেকেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ফের খেলতে নামছে। ছন্দে থাকা বাংলাদেশ কি আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামতে যাচ্ছে? এমন প্রশ্নে অধিনায়ক লিটন বলেন, ‘পাকিস্তানে যখন খেলতে যাই, একই চিন্তাধারা ছিল যে জেতার জন্য খেলবো। দুর্ভাগ্যবশত জিততে পারিনি। কিছু ভুল করেছি, তাই ফল আনতে পারিনি। তবে শ্রীলঙ্কা সিরিজে প্রথম ম্যাচ হারার পর ভালোভাবে কামব্যাক করেছি। অবশ্যই আমাদের প্রতিটি খেলোয়াড়ের ভেতরে আত্মবিশ্বাস জন্মেছে। তবে একইসঙ্গে এখন ভিন্ন কন্ডিশন, ভিন্ন দল। তাই পার্টিকুলারলি ওই দিনে ওইভাবেই ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। আত্মবিশ্বাসটা আপনাকে সাহায্য করবে। একই সময়ে অবস্থানটা ধরে রাখার জন্য আপনার মনোযোগটা কেমন আছে, সেটাও অনেক বেশি জরুরি হবে সামনের ম্যাচের জন্য।’
পাকিস্তান দলের স্কোয়াডে ৯জন ক্রিকেটার আছেন, যাদের বিপিএল খেলার অভিজ্ঞতা আছে। যদিও এটাকে বড় কোনো ইস্যু মনে করেন না লিটন, ‘যে কোনো দলকে হারানোর মতো মানসিকতা আমাদের আছে। আমরা সেই চেষ্টাই করবো। তবে আপনাকে নির্দিষ্ট দিনে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। তার মানে এই না যে, হোম কন্ডিশন বলে আমরাই ভালো ক্রিকেট খেলবো। আগেও বলেছি, পাকিস্তান ভালো দল। তাদের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই বিপিএল খেলে থাকে। তারাও সেই কন্ডিশনটা সম্পর্কে জানে। আমরা চেষ্টা করবো ভালো ক্রিকেট খেলার।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। এবার সামনে পাকিস্তান। কিন্তু অতীতে দেখা গেছে বাংলাদেশ টানা ভালো পারফর্ম করতে পারে না। এবার কি সেই ব্যর্থতা কাটাতে পারবে বাংলাদেশ? লিটনের উত্তর, ‘চেষ্টার তো কখনও কমতি থাকবে না। শুধু দুইটা কেনো, যদি ব্যাক টু ব্যাক অনেকগুলো সিরিজও হয় আমাদের একই মানসিকতা, একই লক্ষ্য থাকবে সিরিজ জেতার। কিন্তু পার্টিকুলারলি ম্যাচে আমি বললাম যে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। শ্রীলঙ্কায় দুইদিন আগে যেটা ঘটে গেছে ওটা অতীত। তাই এখন এটা নতুন জায়গা, নতুন ভেন্যু, সবকিছু নতুনভাবে নিতে হবে, নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে। আমরা প্রস্তুত এই চ্যালেঞ্জটা নেয়ার জন্য। দেখি কী হয়।’
টি-২০ সিরিজের ট্রফি নিয়ে দুই অধিনায়ক লিটন দাস ও সালমান আলী আগা
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ সফরে এসে
পাকিস্তান ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল। তারপর গত ৯ বছরে সাদা বলের ক্রিকেটে কোনো সিরিজ জিততে পারেনি লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। লম্বা সময় ধরে সিরিজ জিততে না পারা বাংলাদেশের সামনে আরও একটি সাদা বলের সিরিজ। আজ থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজে পুরনো রেকর্ড ভাঙতে আত্মবিশ্বাসী লিটন দাস।
এক প্রশ্নের জবাবে অধিনায়ক লিটন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে হবে। সব কিছু তৈরি হয় ইতিহাস হওয়ার জন্য। আর রেকর্ড কিন্তু ভাঙাও হয়। আমরা যদি ভালো ক্রিকেট খেলি, রেকর্ড ভাঙতে সময় লাগবে না। ওই রেকর্ডের চিন্তা না করে আমরা কী করতে পারি, আমাদের কতখানি সামর্থ্য আছে, কতটা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, সেসব ভাবলে ওই সব জিনিসই বদলে যাবে।’
অতিসম্প্রতি লঙ্কানদের বিপক্ষে তাদের মাঠে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয় করেছে লিটনের দল। দারুণ অবস্থায় থেকেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ফের খেলতে নামছে। ছন্দে থাকা বাংলাদেশ কি আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামতে যাচ্ছে? এমন প্রশ্নে অধিনায়ক লিটন বলেন, ‘পাকিস্তানে যখন খেলতে যাই, একই চিন্তাধারা ছিল যে জেতার জন্য খেলবো। দুর্ভাগ্যবশত জিততে পারিনি। কিছু ভুল করেছি, তাই ফল আনতে পারিনি। তবে শ্রীলঙ্কা সিরিজে প্রথম ম্যাচ হারার পর ভালোভাবে কামব্যাক করেছি। অবশ্যই আমাদের প্রতিটি খেলোয়াড়ের ভেতরে আত্মবিশ্বাস জন্মেছে। তবে একইসঙ্গে এখন ভিন্ন কন্ডিশন, ভিন্ন দল। তাই পার্টিকুলারলি ওই দিনে ওইভাবেই ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। আত্মবিশ্বাসটা আপনাকে সাহায্য করবে। একই সময়ে অবস্থানটা ধরে রাখার জন্য আপনার মনোযোগটা কেমন আছে, সেটাও অনেক বেশি জরুরি হবে সামনের ম্যাচের জন্য।’
পাকিস্তান দলের স্কোয়াডে ৯জন ক্রিকেটার আছেন, যাদের বিপিএল খেলার অভিজ্ঞতা আছে। যদিও এটাকে বড় কোনো ইস্যু মনে করেন না লিটন, ‘যে কোনো দলকে হারানোর মতো মানসিকতা আমাদের আছে। আমরা সেই চেষ্টাই করবো। তবে আপনাকে নির্দিষ্ট দিনে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। তার মানে এই না যে, হোম কন্ডিশন বলে আমরাই ভালো ক্রিকেট খেলবো। আগেও বলেছি, পাকিস্তান ভালো দল। তাদের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই বিপিএল খেলে থাকে। তারাও সেই কন্ডিশনটা সম্পর্কে জানে। আমরা চেষ্টা করবো ভালো ক্রিকেট খেলার।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। এবার সামনে পাকিস্তান। কিন্তু অতীতে দেখা গেছে বাংলাদেশ টানা ভালো পারফর্ম করতে পারে না। এবার কি সেই ব্যর্থতা কাটাতে পারবে বাংলাদেশ? লিটনের উত্তর, ‘চেষ্টার তো কখনও কমতি থাকবে না। শুধু দুইটা কেনো, যদি ব্যাক টু ব্যাক অনেকগুলো সিরিজও হয় আমাদের একই মানসিকতা, একই লক্ষ্য থাকবে সিরিজ জেতার। কিন্তু পার্টিকুলারলি ম্যাচে আমি বললাম যে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। শ্রীলঙ্কায় দুইদিন আগে যেটা ঘটে গেছে ওটা অতীত। তাই এখন এটা নতুন জায়গা, নতুন ভেন্যু, সবকিছু নতুনভাবে নিতে হবে, নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে। আমরা প্রস্তুত এই চ্যালেঞ্জটা নেয়ার জন্য। দেখি কী হয়।’