গ্যালারিতে পানি নিয়ে দর্শকরা
স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা দর্শকদের খাবার-পানি কিনতে বেশি অর্থ খরচ করতে হয়ে। বহুদিন ধরেই এ নিয়ে দর্শকদের অভিযোগ ছিল। এবার সে সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
রোববার,(২০ জুলাই ২০২৫) থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরু হয়েছে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। যে ম্যাচ দেখতে দর্শকরা বাইরে থেকে খাবার-পানি নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারছেন।
সিরিজজুড়ে খাবার বা পানীয় নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারবেন সমর্থকরা। মাঠে খেলা দেখতে আসা কয়েকজন সমর্থকরা জানিয়েছেন খুশির কথা। বেশিরভাগ দর্শকদের দেখা গিয়েছে কোক-পেপসির সঙ্গে চিপস নিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে। তবে দর্শকদের জিজ্ঞাসা রয়েছে এই সুযোগ কি শুধু এই সিরিজের জন্য থাকবে?
বিষয়টি জানতে বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা কেবল শুরু হলো। ভবিষ্যতে থাকবে কি না এখনই বলতে পারছি না।
দর্শকদের কথা চিন্তা করাও বোর্ডের দায়িত্ব। আমরা শুরু করলাম, আর এটা কিন্তু দুনিয়ার কোনো মাঠে এমন সুযোগ দেয় না।
আমরা ট্রায়াল অনুযায়ী শুরু করলাম। এটাতে যদি সফল হয় কোনো সমস্যা যদি না হয় তাহলে চলতে থাকবে। যদি মনে হয় যে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে তাহলে বন্ধ হয় যাবে।’
স্টেডিয়ামে প্রবেশের শর্তাবলী
বিসিবির নিয়ম-কানুন এবং স্পনসরদের প্রতি তার বাণিজ্যিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে।
স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ এবং স্ট্যান্ডের ভিতরে নিষিদ্ধ: আগ্নেয়াস্ত্র, লেজার পয়েন্টার, ফ্লেয়ার, বিস্ফোরক, আতশবাজি, ম্যাচ / লাইটার, সিগারেট, ভিডিও ক্যামেরা, পেশাদার স্টিল ক্যামেরা, লাঠিসহ পতাকা, ভুভুজেলা, আয়না, ছুরি, ক্যান, ক্যাপ বা কর্কযুক্ত সবধরণের বোতল, কাচের বোতল, বাঁশি এবং অন্য যেকোনো জিনিস যা তালিকাভুক্ত নয় কিন্তু নিরাপত্তা কর্মীদের দ্বারা খেলোয়াড়, দর্শকদের জন্য বিপজ্জনক/হুমকিস্বরূপ বলে বিবেচিত হয়।
স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ এবং স্ট্যান্ডে কোনো ব্যক্তিগত ক্ষতি, দুর্ঘটনাজনিত আঘাত বা ক্ষতির জন্য বিসিবি দায়ী নয়।
দর্শক যদি খেলার মাঠের ও দর্শক গ্যলারির নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, হুমকিস্বরূপ মনে হয় অথবা দর্শক সাধারণের জন্য উপদ্রব সৃষ্টিকারী হয়, তাহলে বিসিবি এই দর্শককে প্রবেশে বাধা দেয়া ও গ্যলারিতে প্রবেশ করে থাকলে উচ্ছেদ করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
বাইরের থেকে খাবার-পানীয় নেয়া যাবে তবে তা নিরাপত্তা কর্মীরা যেকোনোভাবেই নিরাপত্তা তল্লাশি করার অধিকার রাখে ও তল্লাশি সাপেক্ষ্যে তা প্রবেশের অনুমতি পাবে অন্যথায় নয়।
স্টেডিয়ামের ভেতরে বা বাইরে অননুমোদিত কোনো প্রকার ব্র্যান্ডিং নিষিদ্ধ ।
ক্রিকেটে দুর্নীতিমূলক যেকোনো প্রকার কার্যকলাপ প্রতিরোধ ও নির্মূল করার জন্য বিসিবি তার ক্ষমতায় থাকা প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও দোষীকে আইনের কাছে সোপর্দ করার অধিকার রাখে।
স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে যেকোনো ধরণের বাজি নিষিদ্ধ ও আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য।
বাজি বা এই ধরনের দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তি আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ এবং বিসিবির দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের নিকট এই ধরনের কার্যকলাপের জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধী বলে গণ্য হবে।
স্টেডিয়ামের সমস্ত স্ট্যান্ড ধূমপান নিষিদ্ধ এলাকা।
প্রতিটি দর্শক আইসিসির বৈষম্যবিরোধী নীতি মেনে চলতে বাধ্য, ব্যর্থ হলে স্টেডিয়াম থেকে উচ্ছেদ যোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।
কেহ যদি ভাষা, অঙ্গভঙ্গি, অথবা অন্য কোনোকিছুর মাধ্যমে, জাতি, ধর্ম, সংস্কৃতি, বর্ণ, বংশ, জাতীয়তা, জাতিগত উৎস, লিঙ্গ, যৌন অভিমুখিতা, অক্ষমতা, বৈবাহিক অবস্থা এবং / অথবা মাতৃত্বের অবস্থার ভিত্তিতে অন্য কোনো ব্যক্তিকে (খেলোয়াড়, ম্যাচ কর্মকর্তা বা দর্শকসহ) অপমান, ভয় দেখানো / হুমকি দেয়া, অবমাননা করা বা অপমান করার সম্ভাবনা প্রদর্শন প্রতিয়মান হয়, এই কার্যকে স্টেডিয়াম থেকে বহিষ্কার এবং ফৌজদারি মামলা যোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে করা হবে।
গ্যালারিতে পানি নিয়ে দর্শকরা
রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫
স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা দর্শকদের খাবার-পানি কিনতে বেশি অর্থ খরচ করতে হয়ে। বহুদিন ধরেই এ নিয়ে দর্শকদের অভিযোগ ছিল। এবার সে সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
রোববার,(২০ জুলাই ২০২৫) থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরু হয়েছে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। যে ম্যাচ দেখতে দর্শকরা বাইরে থেকে খাবার-পানি নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারছেন।
সিরিজজুড়ে খাবার বা পানীয় নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারবেন সমর্থকরা। মাঠে খেলা দেখতে আসা কয়েকজন সমর্থকরা জানিয়েছেন খুশির কথা। বেশিরভাগ দর্শকদের দেখা গিয়েছে কোক-পেপসির সঙ্গে চিপস নিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে। তবে দর্শকদের জিজ্ঞাসা রয়েছে এই সুযোগ কি শুধু এই সিরিজের জন্য থাকবে?
বিষয়টি জানতে বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা কেবল শুরু হলো। ভবিষ্যতে থাকবে কি না এখনই বলতে পারছি না।
দর্শকদের কথা চিন্তা করাও বোর্ডের দায়িত্ব। আমরা শুরু করলাম, আর এটা কিন্তু দুনিয়ার কোনো মাঠে এমন সুযোগ দেয় না।
আমরা ট্রায়াল অনুযায়ী শুরু করলাম। এটাতে যদি সফল হয় কোনো সমস্যা যদি না হয় তাহলে চলতে থাকবে। যদি মনে হয় যে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে তাহলে বন্ধ হয় যাবে।’
স্টেডিয়ামে প্রবেশের শর্তাবলী
বিসিবির নিয়ম-কানুন এবং স্পনসরদের প্রতি তার বাণিজ্যিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে।
স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ এবং স্ট্যান্ডের ভিতরে নিষিদ্ধ: আগ্নেয়াস্ত্র, লেজার পয়েন্টার, ফ্লেয়ার, বিস্ফোরক, আতশবাজি, ম্যাচ / লাইটার, সিগারেট, ভিডিও ক্যামেরা, পেশাদার স্টিল ক্যামেরা, লাঠিসহ পতাকা, ভুভুজেলা, আয়না, ছুরি, ক্যান, ক্যাপ বা কর্কযুক্ত সবধরণের বোতল, কাচের বোতল, বাঁশি এবং অন্য যেকোনো জিনিস যা তালিকাভুক্ত নয় কিন্তু নিরাপত্তা কর্মীদের দ্বারা খেলোয়াড়, দর্শকদের জন্য বিপজ্জনক/হুমকিস্বরূপ বলে বিবেচিত হয়।
স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ এবং স্ট্যান্ডে কোনো ব্যক্তিগত ক্ষতি, দুর্ঘটনাজনিত আঘাত বা ক্ষতির জন্য বিসিবি দায়ী নয়।
দর্শক যদি খেলার মাঠের ও দর্শক গ্যলারির নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, হুমকিস্বরূপ মনে হয় অথবা দর্শক সাধারণের জন্য উপদ্রব সৃষ্টিকারী হয়, তাহলে বিসিবি এই দর্শককে প্রবেশে বাধা দেয়া ও গ্যলারিতে প্রবেশ করে থাকলে উচ্ছেদ করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
বাইরের থেকে খাবার-পানীয় নেয়া যাবে তবে তা নিরাপত্তা কর্মীরা যেকোনোভাবেই নিরাপত্তা তল্লাশি করার অধিকার রাখে ও তল্লাশি সাপেক্ষ্যে তা প্রবেশের অনুমতি পাবে অন্যথায় নয়।
স্টেডিয়ামের ভেতরে বা বাইরে অননুমোদিত কোনো প্রকার ব্র্যান্ডিং নিষিদ্ধ ।
ক্রিকেটে দুর্নীতিমূলক যেকোনো প্রকার কার্যকলাপ প্রতিরোধ ও নির্মূল করার জন্য বিসিবি তার ক্ষমতায় থাকা প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও দোষীকে আইনের কাছে সোপর্দ করার অধিকার রাখে।
স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে যেকোনো ধরণের বাজি নিষিদ্ধ ও আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য।
বাজি বা এই ধরনের দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তি আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ এবং বিসিবির দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের নিকট এই ধরনের কার্যকলাপের জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধী বলে গণ্য হবে।
স্টেডিয়ামের সমস্ত স্ট্যান্ড ধূমপান নিষিদ্ধ এলাকা।
প্রতিটি দর্শক আইসিসির বৈষম্যবিরোধী নীতি মেনে চলতে বাধ্য, ব্যর্থ হলে স্টেডিয়াম থেকে উচ্ছেদ যোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।
কেহ যদি ভাষা, অঙ্গভঙ্গি, অথবা অন্য কোনোকিছুর মাধ্যমে, জাতি, ধর্ম, সংস্কৃতি, বর্ণ, বংশ, জাতীয়তা, জাতিগত উৎস, লিঙ্গ, যৌন অভিমুখিতা, অক্ষমতা, বৈবাহিক অবস্থা এবং / অথবা মাতৃত্বের অবস্থার ভিত্তিতে অন্য কোনো ব্যক্তিকে (খেলোয়াড়, ম্যাচ কর্মকর্তা বা দর্শকসহ) অপমান, ভয় দেখানো / হুমকি দেয়া, অবমাননা করা বা অপমান করার সম্ভাবনা প্রদর্শন প্রতিয়মান হয়, এই কার্যকে স্টেডিয়াম থেকে বহিষ্কার এবং ফৌজদারি মামলা যোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে করা হবে।