বাংলাদেশের জয়ের বড় অবদান রাখেন বোলাররা। তানজিম ও তাসকিনকে নিয়ে সতীর্থদের উল্লাস
শেরেবাংলার চেনা কন্ডিশনে ফিরে যেন নিজেদের হারানো আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ পাকিস্তান সফরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল টাইগাররা। এবার নিজেদের মাঠে যেন সেই প্রতিশোধই নিতে চায় বাংলাদেশ! সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারালো লিটন দাসের দল।
রোববার,(২০ জুলাই ২০২৫) অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৯ ওভার ৩ বলে ১১০ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেছেন ফখর জামান। জবাবে খেলতে নেমে ১৫ ওভার ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন তানজিদ তামিম। ইনফর্ম এই ওপেনার ৪ বল খেলে এক রানের বেশি করতে পারেননি। তিনে নেমে ব্যর্থ লিটন দাস। বাংলাদেশ অধিনায়কও করেছেন এক রান।
৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে সেই বিপদ সামাল দেন পারভেজ ইমন ও তাওহিদ হৃদয়। এই দুজনের ৭৩ রানের জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। ৩৭ বলে ৩৬ রান করেছেন হৃদয়।
হৃদয় থিতু হয়ে ফিরলেও ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নিয়েছেন ইমন। মাত্র ৩৪ বলে মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে অপরাজিত ৫৬ রান এসেছে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া অপরাজিত ১৫ রান করেছেন জাকের।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে বোলিং নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। টি-টোয়েন্টিতে টানা নয় ম্যাচ পর টস জিতলেন লিটন।
লিটনকে বোলিংয়ের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে বোলাররা। পাওয়ার প্লেতে ৪১ রানে পাকিস্তানের ৪ উইকেট শিকার করেন টাইগারদের তিন পেসার ও এক স্পিনার।
ইনিংসের প্রথম ওভারের ফখর জামানের সহজ ক্যাচ ফেলেন তাসকিন। দ্বিতীয় ওভারে বল উইকেট তুলে নেন তাসকিন। শিকার সাইম আইয়ুব, ৬ রানে। পরের ওভারে উইকেটের দেখা পান স্পিনার মাহেদি । ডিপ মিড উইকেটে শামীমকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন হারিস, ৪ রান করে।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথম আক্রমণে এসে তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান পেসার তানজিম । স্কুপ করতে গিয়ে লিটনকে ক্যাচ দেন ৯ বলে ৩ রান করা অধিনায়ক সালমান আগা। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারেও উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজ। রানের থার্ডম্যানে রিশাদকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন নাওয়াজ (০)।
পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে পাকিস্তান। অষ্টম ওভারে ফখরের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে ৩ রানে রান আউট হন মোহাম্মদ নাওয়াজ।
৪৬ রানে ৫ উইকেট পতনের পর ২৪ রানের জুটি গড়েন করেন ফখর ও খুশদিল শাহ। খুশদিলের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হন ফখর। দু’বার জীবন পেয়ে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন ফখর।
৭০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর খুশদিল শাহ ও আব্বাস আফ্রিদি সপ্তম উইকেটে ২৯ বলে ৩৩ রান যোগ করেন।
এরমধ্যে রিশাদ ও তানজিমের দুই ওভারে ৪টি ছক্কায় ২৭ রান যোগ করেন তারা।
১৭তম ওভারে দলীয় ১০৩ রানে খুশদিলকে থামিয়ে জুটি ভাঙ্গেন মোস্তাফিজ। ১টি করে চার-ছক্কায় ২৩ বলে ১৭ রান করেন খুশদিল।
সপ্তম ব্যাটার হিসেবে খুশদিল ফেরার পর ৭ রানে শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে ৩ বল বাকী থাকতে ১১০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই সর্বনি¤œ রান পাকিস্তানের।
তাসকিন ২২ রানে ৩টি, মোস্তাফিজ ৬ রানে ২টি এবং মাহেদি-তানজিম ১টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ১৯.৩ ওভারে ১১০ (ফাখার ৪৪, সাইম ৬, হারিস ৪, সালমান আগা ৩, হাসান নাওয়াজ ০, মোহাম্মদ নাওয়াজ ৩, খুশদিল ১৭, আফ্রিদি ২২, আশরাফ ৫, সালমা মির্জা ০, আবরার ০*; মেহেদি ৪-০-৩৭-১, তাসকিন ৩.৩-০-২২-৩, তানজিম ৪-০-২০-১, মোস্তাফিজ ৪-০-৬-২, শামীম ১-০-২-০, রিশাদ ৩-০-১৯-০) বাংলাদেশ ১৫.৩ ওভারে ১১২/৩ (তানজিদ ১, পারভেজ ৫৬*, লিটন ১, হৃদয় ৩৬, জাকের ১৫*; সালমান ৩.৩-০-২৩-২, সাইম ২-০-১৬-২, ফাহিম ৩-০-২৯-০, আবরার ৪-০-২০-১, আব্বাস ২-০-১৬-১, নাওয়াজ ১-০-৮-০) ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: পারভেজ হোসেন ইমন।
বাংলাদেশের জয়ের বড় অবদান রাখেন বোলাররা। তানজিম ও তাসকিনকে নিয়ে সতীর্থদের উল্লাস
রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫
শেরেবাংলার চেনা কন্ডিশনে ফিরে যেন নিজেদের হারানো আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ পাকিস্তান সফরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল টাইগাররা। এবার নিজেদের মাঠে যেন সেই প্রতিশোধই নিতে চায় বাংলাদেশ! সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারালো লিটন দাসের দল।
রোববার,(২০ জুলাই ২০২৫) অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৯ ওভার ৩ বলে ১১০ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেছেন ফখর জামান। জবাবে খেলতে নেমে ১৫ ওভার ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন তানজিদ তামিম। ইনফর্ম এই ওপেনার ৪ বল খেলে এক রানের বেশি করতে পারেননি। তিনে নেমে ব্যর্থ লিটন দাস। বাংলাদেশ অধিনায়কও করেছেন এক রান।
৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে সেই বিপদ সামাল দেন পারভেজ ইমন ও তাওহিদ হৃদয়। এই দুজনের ৭৩ রানের জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। ৩৭ বলে ৩৬ রান করেছেন হৃদয়।
হৃদয় থিতু হয়ে ফিরলেও ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নিয়েছেন ইমন। মাত্র ৩৪ বলে মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে অপরাজিত ৫৬ রান এসেছে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া অপরাজিত ১৫ রান করেছেন জাকের।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে বোলিং নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। টি-টোয়েন্টিতে টানা নয় ম্যাচ পর টস জিতলেন লিটন।
লিটনকে বোলিংয়ের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে বোলাররা। পাওয়ার প্লেতে ৪১ রানে পাকিস্তানের ৪ উইকেট শিকার করেন টাইগারদের তিন পেসার ও এক স্পিনার।
ইনিংসের প্রথম ওভারের ফখর জামানের সহজ ক্যাচ ফেলেন তাসকিন। দ্বিতীয় ওভারে বল উইকেট তুলে নেন তাসকিন। শিকার সাইম আইয়ুব, ৬ রানে। পরের ওভারে উইকেটের দেখা পান স্পিনার মাহেদি । ডিপ মিড উইকেটে শামীমকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন হারিস, ৪ রান করে।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথম আক্রমণে এসে তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান পেসার তানজিম । স্কুপ করতে গিয়ে লিটনকে ক্যাচ দেন ৯ বলে ৩ রান করা অধিনায়ক সালমান আগা। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারেও উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজ। রানের থার্ডম্যানে রিশাদকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন নাওয়াজ (০)।
পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে পাকিস্তান। অষ্টম ওভারে ফখরের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে ৩ রানে রান আউট হন মোহাম্মদ নাওয়াজ।
৪৬ রানে ৫ উইকেট পতনের পর ২৪ রানের জুটি গড়েন করেন ফখর ও খুশদিল শাহ। খুশদিলের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হন ফখর। দু’বার জীবন পেয়ে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন ফখর।
৭০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর খুশদিল শাহ ও আব্বাস আফ্রিদি সপ্তম উইকেটে ২৯ বলে ৩৩ রান যোগ করেন।
এরমধ্যে রিশাদ ও তানজিমের দুই ওভারে ৪টি ছক্কায় ২৭ রান যোগ করেন তারা।
১৭তম ওভারে দলীয় ১০৩ রানে খুশদিলকে থামিয়ে জুটি ভাঙ্গেন মোস্তাফিজ। ১টি করে চার-ছক্কায় ২৩ বলে ১৭ রান করেন খুশদিল।
সপ্তম ব্যাটার হিসেবে খুশদিল ফেরার পর ৭ রানে শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে ৩ বল বাকী থাকতে ১১০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই সর্বনি¤œ রান পাকিস্তানের।
তাসকিন ২২ রানে ৩টি, মোস্তাফিজ ৬ রানে ২টি এবং মাহেদি-তানজিম ১টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ১৯.৩ ওভারে ১১০ (ফাখার ৪৪, সাইম ৬, হারিস ৪, সালমান আগা ৩, হাসান নাওয়াজ ০, মোহাম্মদ নাওয়াজ ৩, খুশদিল ১৭, আফ্রিদি ২২, আশরাফ ৫, সালমা মির্জা ০, আবরার ০*; মেহেদি ৪-০-৩৭-১, তাসকিন ৩.৩-০-২২-৩, তানজিম ৪-০-২০-১, মোস্তাফিজ ৪-০-৬-২, শামীম ১-০-২-০, রিশাদ ৩-০-১৯-০) বাংলাদেশ ১৫.৩ ওভারে ১১২/৩ (তানজিদ ১, পারভেজ ৫৬*, লিটন ১, হৃদয় ৩৬, জাকের ১৫*; সালমান ৩.৩-০-২৩-২, সাইম ২-০-১৬-২, ফাহিম ৩-০-২৯-০, আবরার ৪-০-২০-১, আব্বাস ২-০-১৬-১, নাওয়াজ ১-০-৮-০) ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: পারভেজ হোসেন ইমন।