ঢাকার বিমানবন্দরে নেমে নিজ গাড়িতে বাড়ি ফেরার পথে দর্শকদের দুয়ো ধ্বনির মুখে পড়ে ক্রিকেটাররা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল অতীতেও অনেকবার অনেক টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়াটা ব্যর্থতার শেষ ধাপের মধ্যেই পড়ে। সিরিজের সবকটি ম্যাচেই চরম ব্যর্থ ছিলেন ব্যাটাররা।
আফগানিস্তান সিরিজ শেষে বুধবার,(১৫ অক্টোবর ২০২৫) সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, নুরুল হাসান সোহানরা। দেশে ফিরে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে বের হওয়ার সময় দর্শকদের দুয়ো শুনেছেন ক্রিকেটাররা। নাঈম শেখ-তাওহিদ হৃদয়দের দেখে দর্শকরা যেন মেজাজ ঠিক রাখতে পারেননি। তাদের গাড়ির পেছনে দর্শকরা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন।
এ সময় বিমর্ষ অবস্থায় দেখা যায় ক্রিকেটারদের। অতীতে দেশের ক্রিকেটারদের কখনো এমন অবস্থায় পড়তে হয়নি বিমানবন্দরে। তবে দর্শকদের ধৈর্যের বাঁধ যেন ভেঙে দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। প্রতিটি ম্যাচেই বাজে ব্যাটিং যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে দেশে ফিরে বিশ্রামের কোনো সুযোগ নেই বাংলাদেশ দলের। কেননা আগামীকাল থেকেই অনুশীলনে নামতে যাচ্ছে দল। আগামী শনিবার থেকে শুরু হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ।
গতকাল মঙ্গলবার শেষ ওয়ানডেতে আফগানদের কাছে ২০০ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের কাছে রান বিবেচনায় এটিই সবচেয়ে বড় হার বাংলাদেশের। আগেরটি ছিল ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে ১৪২ রানে হেরেছিল টাইগাররা। আবুধাবিতে আফগানিস্তানের ২৯৩ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ১৭.১ ওভারে অলআউট হয় ৯৩ রান তুলে।
২৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ দল শুরু থেকে যে অ্যাপ্রোচে ব্যাট করতে নেমেছিল, তাতে এক মুহূর্তের জন্যও মনে হয়নি তারা এই রানটা তাড়া করতে চায়। মনে হয়েছে পুরো ৫০ ওভার খেলে একটা ‘সম্মানজনক’ হারের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। সর্বশেষ ৬টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ম্যাচ শেষেও সেই না পরার প্রসঙ্গ টেনেছেন। টিকে থাকার লক্ষ্য নিয়ে নেমেও যদিও বাংলাদেশ দল পারেনি, এমনকি ৩০ ওভারও খেলতে পারেনি। ১৬৩ বল স্থায়ী হয়েছে ইনিংস, এর মধ্যে ৯৩ বলই ডট খেলেছেন তারা!
সোশ্যাল মিডিয়ায় মজা করে কেউ কেউ তো বলছিলেন, বাংলাদেশকে আরেকবার ব্যাট করতে দিলেই এই রান তাড়া করতে পারতো না। সত্যিই দুইবার ব্যাট করেও তারা পারতেন কিনা সেই সংশয় কিন্তু আছে।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে- ৫ উইকেটে ও ৮১ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেল মেহেদি হাসান মিরাজের দল। এই সফরে ওয়ানডের আগে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ঢাকার বিমানবন্দরে নেমে নিজ গাড়িতে বাড়ি ফেরার পথে দর্শকদের দুয়ো ধ্বনির মুখে পড়ে ক্রিকেটাররা
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল অতীতেও অনেকবার অনেক টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়াটা ব্যর্থতার শেষ ধাপের মধ্যেই পড়ে। সিরিজের সবকটি ম্যাচেই চরম ব্যর্থ ছিলেন ব্যাটাররা।
আফগানিস্তান সিরিজ শেষে বুধবার,(১৫ অক্টোবর ২০২৫) সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, নুরুল হাসান সোহানরা। দেশে ফিরে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে বের হওয়ার সময় দর্শকদের দুয়ো শুনেছেন ক্রিকেটাররা। নাঈম শেখ-তাওহিদ হৃদয়দের দেখে দর্শকরা যেন মেজাজ ঠিক রাখতে পারেননি। তাদের গাড়ির পেছনে দর্শকরা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন।
এ সময় বিমর্ষ অবস্থায় দেখা যায় ক্রিকেটারদের। অতীতে দেশের ক্রিকেটারদের কখনো এমন অবস্থায় পড়তে হয়নি বিমানবন্দরে। তবে দর্শকদের ধৈর্যের বাঁধ যেন ভেঙে দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। প্রতিটি ম্যাচেই বাজে ব্যাটিং যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে দেশে ফিরে বিশ্রামের কোনো সুযোগ নেই বাংলাদেশ দলের। কেননা আগামীকাল থেকেই অনুশীলনে নামতে যাচ্ছে দল। আগামী শনিবার থেকে শুরু হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ।
গতকাল মঙ্গলবার শেষ ওয়ানডেতে আফগানদের কাছে ২০০ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের কাছে রান বিবেচনায় এটিই সবচেয়ে বড় হার বাংলাদেশের। আগেরটি ছিল ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে ১৪২ রানে হেরেছিল টাইগাররা। আবুধাবিতে আফগানিস্তানের ২৯৩ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ১৭.১ ওভারে অলআউট হয় ৯৩ রান তুলে।
২৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ দল শুরু থেকে যে অ্যাপ্রোচে ব্যাট করতে নেমেছিল, তাতে এক মুহূর্তের জন্যও মনে হয়নি তারা এই রানটা তাড়া করতে চায়। মনে হয়েছে পুরো ৫০ ওভার খেলে একটা ‘সম্মানজনক’ হারের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। সর্বশেষ ৬টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ম্যাচ শেষেও সেই না পরার প্রসঙ্গ টেনেছেন। টিকে থাকার লক্ষ্য নিয়ে নেমেও যদিও বাংলাদেশ দল পারেনি, এমনকি ৩০ ওভারও খেলতে পারেনি। ১৬৩ বল স্থায়ী হয়েছে ইনিংস, এর মধ্যে ৯৩ বলই ডট খেলেছেন তারা!
সোশ্যাল মিডিয়ায় মজা করে কেউ কেউ তো বলছিলেন, বাংলাদেশকে আরেকবার ব্যাট করতে দিলেই এই রান তাড়া করতে পারতো না। সত্যিই দুইবার ব্যাট করেও তারা পারতেন কিনা সেই সংশয় কিন্তু আছে।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে- ৫ উইকেটে ও ৮১ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেল মেহেদি হাসান মিরাজের দল। এই সফরে ওয়ানডের আগে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ।