টি-২০ ক্রিকেট সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ডের মালিক বাবর আজম
সাবেক অধিনায়ক বাবর আজমের রেকর্ডের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ সমতা ফেরালো স্বাগতিক পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে ৫৫ রানে হেরেছিল পাকিস্তান।
গত বৃহস্পতিবার রাতে লাহোরে টস জিতে বোলিং নিয়ে শুরুতে সালমান মির্জা ও নাসিম শাহ তোপের মুখে পড়ে ২৩ রানে ৪ এবং পরে ফাহিম আশরাফের তোপে ৭৩ রানে ৭ উইকেট হারয়ে শেষ পর্যন্ত ১৯.২ ওভারে ১১০ রানে গুটিয়ে যায় । ফাহিম ৪টি, মির্জা ৩, নাসিম ২ উইকেট নেন। জবাবে ৪০ বলে ৫৪ রানের সূচনা করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুব। ২৮ রান করে সাইফ ফেরার পর ক্রিজে আসেন বাবর। ভারতের রোহিত শর্মাকে সরিয়ে সর্বোচ্চ রানের মালিক হতে ৯ রান দরকার ছিল বাবরের। ১১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের বিশ্ব রেকর্ড গড়েন বাবর।
১৩০ ম্যাচে বাবরের রান এখন ৪২৩৪ এবং দ্বিতীয় স্থানে নেমে যাওয়া রোহিতের রান ১৫৯ ম্যাচে ৪২৩১ রান। রেকর্ড ইনিংস গড়ার পথে সাইমের সঙ্গে ৩৯ বলে ৫৮ রানের জুটিতে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন বাবর। ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৩৮ বলে ৭১ রান করেন সাইম। বল হাতে দলের জয়ে অবদান রেখে ম্যাচসেরা হন সালমান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯.২ ওভারে ১১০ (ব্রেভিস ২৫, ফেরেইরা ১৫; সালমান মির্জা ৩/১৪, নাসিম ২/২৮, ফাহিম ৪/২৩)।
পাকিস্তান ১৩.১ ওভারে ১১২/১ (সাহিবজাদা ২৮, সাইম ৭১*, বাবর ১১*; বশ ১/১৭)। ম্যাচসেরা: সালমান মির্জা। রোহিতকে পেছনে ফেলে সবার ওপরে বাবর বাউন্ডারিতে ইনিংস শুরুর পর, ধীরে সুস্থে খেলে দলকে নিলেন জয়ের বন্দরে। এরই মাঝে গড়লেন অসাধারণ এক রেকর্ড; রোহিত শর্মাকে ছাড়িয়ে হয়ে গেলেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সফলতম ব্যাটার বাবর আজম।
বাদ পড়ার ১০ মাস পর এ সিরিজ দিয়েই ২০ ওভারের সংস্করণে ফেরেন বাবর। কিন্তু প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে যান তিনি। সেই হতাশা সামলে গতকাল শুক্রবার আর ভুল করেননি সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক।
এই সংস্করণ থেকে রোহিত অবসর নেয়ায়, রেকর্ডটি আসলে বাবরের যেন হওয়ারই ছিল। সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় চূড়ায় উঠতে এদিন ৯ রান দরকার ছিল তার।
১১১ রানের লক্ষ্যে উদ্বোধনী জুটিতেই ৫৪ রান তুলে ফেলে পাকিস্তানের দুই ওপেনার। সপ্তম ওভারে সাহিবজাদা ফারহানকে সাজঘরে ফেরানো কর্বিন বশকে গিয়েই দুর্দান্ত কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারি মারেন বাবর। এরপর খেলেন সিঙ্গেল নিয়ে।
ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে ডনোভান ফেরেরাইকে লং অফে খেলে একটি রান নিয়ে রোহিতকে ছাড়িয়ে যান বাবর। ১৮ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
২০১৬ সালে এই সংস্করণে অভিষেকের পর থেকে, ১৩০ ম্যাচের ১২৩ ইনিংসে ৩৯.৫৭ গড়ে বাবরের মোট রান হলো ৪ হাজার ২৩৪। তিনটি সেঞ্চুরি ও ৩৬টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।
তালিকায় দুইয়ে নেমে যাওয়া রোহিতের রান ৪ হাজার ২৩১; ১৫১ ইনিংসে ৩২.০৫ গড়ে। তার সতীর্থ ভিরাট কোহলি ১১৭ ইনিংসে ৪ হাজার ১৮৮ রান নিয়ে আছেন তৃতীয় স্থানে, ৪৮.৬৯ গড়ে। তিনিও এই সংস্করণ থেকে বিদায় নিয়েছেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
টি-২০ ক্রিকেট সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ডের মালিক বাবর আজম
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
সাবেক অধিনায়ক বাবর আজমের রেকর্ডের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ সমতা ফেরালো স্বাগতিক পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে ৫৫ রানে হেরেছিল পাকিস্তান।
গত বৃহস্পতিবার রাতে লাহোরে টস জিতে বোলিং নিয়ে শুরুতে সালমান মির্জা ও নাসিম শাহ তোপের মুখে পড়ে ২৩ রানে ৪ এবং পরে ফাহিম আশরাফের তোপে ৭৩ রানে ৭ উইকেট হারয়ে শেষ পর্যন্ত ১৯.২ ওভারে ১১০ রানে গুটিয়ে যায় । ফাহিম ৪টি, মির্জা ৩, নাসিম ২ উইকেট নেন। জবাবে ৪০ বলে ৫৪ রানের সূচনা করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুব। ২৮ রান করে সাইফ ফেরার পর ক্রিজে আসেন বাবর। ভারতের রোহিত শর্মাকে সরিয়ে সর্বোচ্চ রানের মালিক হতে ৯ রান দরকার ছিল বাবরের। ১১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের বিশ্ব রেকর্ড গড়েন বাবর।
১৩০ ম্যাচে বাবরের রান এখন ৪২৩৪ এবং দ্বিতীয় স্থানে নেমে যাওয়া রোহিতের রান ১৫৯ ম্যাচে ৪২৩১ রান। রেকর্ড ইনিংস গড়ার পথে সাইমের সঙ্গে ৩৯ বলে ৫৮ রানের জুটিতে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন বাবর। ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৩৮ বলে ৭১ রান করেন সাইম। বল হাতে দলের জয়ে অবদান রেখে ম্যাচসেরা হন সালমান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯.২ ওভারে ১১০ (ব্রেভিস ২৫, ফেরেইরা ১৫; সালমান মির্জা ৩/১৪, নাসিম ২/২৮, ফাহিম ৪/২৩)।
পাকিস্তান ১৩.১ ওভারে ১১২/১ (সাহিবজাদা ২৮, সাইম ৭১*, বাবর ১১*; বশ ১/১৭)। ম্যাচসেরা: সালমান মির্জা। রোহিতকে পেছনে ফেলে সবার ওপরে বাবর বাউন্ডারিতে ইনিংস শুরুর পর, ধীরে সুস্থে খেলে দলকে নিলেন জয়ের বন্দরে। এরই মাঝে গড়লেন অসাধারণ এক রেকর্ড; রোহিত শর্মাকে ছাড়িয়ে হয়ে গেলেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সফলতম ব্যাটার বাবর আজম।
বাদ পড়ার ১০ মাস পর এ সিরিজ দিয়েই ২০ ওভারের সংস্করণে ফেরেন বাবর। কিন্তু প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে যান তিনি। সেই হতাশা সামলে গতকাল শুক্রবার আর ভুল করেননি সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক।
এই সংস্করণ থেকে রোহিত অবসর নেয়ায়, রেকর্ডটি আসলে বাবরের যেন হওয়ারই ছিল। সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় চূড়ায় উঠতে এদিন ৯ রান দরকার ছিল তার।
১১১ রানের লক্ষ্যে উদ্বোধনী জুটিতেই ৫৪ রান তুলে ফেলে পাকিস্তানের দুই ওপেনার। সপ্তম ওভারে সাহিবজাদা ফারহানকে সাজঘরে ফেরানো কর্বিন বশকে গিয়েই দুর্দান্ত কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারি মারেন বাবর। এরপর খেলেন সিঙ্গেল নিয়ে।
ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে ডনোভান ফেরেরাইকে লং অফে খেলে একটি রান নিয়ে রোহিতকে ছাড়িয়ে যান বাবর। ১৮ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
২০১৬ সালে এই সংস্করণে অভিষেকের পর থেকে, ১৩০ ম্যাচের ১২৩ ইনিংসে ৩৯.৫৭ গড়ে বাবরের মোট রান হলো ৪ হাজার ২৩৪। তিনটি সেঞ্চুরি ও ৩৬টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।
তালিকায় দুইয়ে নেমে যাওয়া রোহিতের রান ৪ হাজার ২৩১; ১৫১ ইনিংসে ৩২.০৫ গড়ে। তার সতীর্থ ভিরাট কোহলি ১১৭ ইনিংসে ৪ হাজার ১৮৮ রান নিয়ে আছেন তৃতীয় স্থানে, ৪৮.৬৯ গড়ে। তিনিও এই সংস্করণ থেকে বিদায় নিয়েছেন।