গোল্ডেন বুট হাতে পেয়ে এমবাপ্পে বললেন
ইউরোপীয় গোল্ডেন বুট হাতে নিয়ে চুমু খাচ্ছে এমবাপ্পে
ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জিতে খুবই উচ্ছ্বসিত কিলিয়ান এমবাপ্পে। পরেরবার আবার মর্যাদাপূর্ণ এই ব্যক্তিগত পুরস্কার জয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন রেয়াল মাদ্রিদের ফরাসি তারকা।
ইউরোপের শীর্ষ লীগগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতাকে এ পুরস্কার দিয়ে থাকে ইউরোপিয়ান স্পোর্টস মিডিয়া। ২০২৪-২৫ মৌসুমের জন্য পুরস্কারটি পেলেন এমবাপ্পে। রেয়ালের হয়ে অভিষেক মৌসুমে লা লিগায় ৩১ গোল করেন তিনি।
পয়েন্টের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয় বিজয়ী। এমবাপ্পে পান ৬২ পয়েন্ট। ৫৮.৫ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় হন গত মৌসুমে স্পোর্টিং সিপির হয়ে খেলা ভিক্টর ইয়োকেরেস, লিভারপুলের মোহামেদ সালাহ ৫৮ পয়েন্ট পেয়ে হন তৃতীয়।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল বক্সে গতকাল শুক্রবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে এমবাপ্পের হাতে পুরস্কারটি তুলে দেয়া হয়। সেখানে রেয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ, কোচ শাবি আলোন্সোসহ দলের সব খেলোয়াড় উপস্থিত ছিলেন।
রেয়াল মাদ্রিদের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এ পুরস্কার জিতলেন এমবাপ্পে। তার আগে সর্বশেষ ২০১৪-১৫ মৌসুমে জিতেছিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ মহাতারকা ক্যারিয়ারে মোট চারবার পেয়েছেন এই স্বীকৃতি। রেকর্ড ছয়বার পেয়েছেন বার্সেলোনা কিংবদন্তি লিওনেল মেসি।
গতবার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন হ্যারি কেইন, তার আগের মৌসুমে আর্লিং হালান্ড। এই দুজনের আগে টানা দুই মৌসুমে জেতেন রবের্ত লেভানদোভস্কি।
২৬ বছর বয়সী এমবাপ্পে ক্লাবের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পুরস্কারটি আবার জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
‘গোল্ডেন বুট জেতা আমার জন্য আনন্দের। আমার ক্যারিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ এক মুহূর্ত, প্রথমবার আমি এই পুরস্কার জিতেছি। একজন ফরোয়ার্ড হিসেবে আমার কাছে এর মূল্য অনেক।’
‘এই খেলোয়াড়দের ছাড়া পুরস্কারটি জেতা অসম্ভব, আমি তা জানি। ক্লাব, চিকিৎসক, স্টাফদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা মাঠের ভেতরে ও বাইরে আমাকে সাহায্য করেছেন। আশা করি, আবারও এটি জিতবো, পরের বছর। (এই মৌসুমে) আমি ভালো শুরু করেছি।’
চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচে ১১ গোল করে লা লিগার সর্বোচ্চ স্কোরার এমবাপ্পে। ৬টির বেশি গোল নেই আর কারও। তার দলও আছে লীগ টেবিলের চূড়ায়। মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৩ ম্যাচের ১২টি জিতেছে তারা।
এমবাপ্পের নজর দলীয় সাফল্যে। অনেক বছর বের্নাবেউয়ে থাকার ইচ্ছার কথাও বললেন বিশ্বকাপ জয়ী ফরোয়ার্ড।
‘আমাদের অসাধারণ এক দল আছে। আশা করি, এই বছর আমরা গুরুত্বপূর্ণ ট্রফি জিতবো। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, দলীয় সাফল্য। আশা করি, অনেক বছর এখানে থাকব এবং এই ধরনের পুরস্কার আরও অনেকবার জিতবো।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
গোল্ডেন বুট হাতে পেয়ে এমবাপ্পে বললেন
ইউরোপীয় গোল্ডেন বুট হাতে নিয়ে চুমু খাচ্ছে এমবাপ্পে
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জিতে খুবই উচ্ছ্বসিত কিলিয়ান এমবাপ্পে। পরেরবার আবার মর্যাদাপূর্ণ এই ব্যক্তিগত পুরস্কার জয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন রেয়াল মাদ্রিদের ফরাসি তারকা।
ইউরোপের শীর্ষ লীগগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতাকে এ পুরস্কার দিয়ে থাকে ইউরোপিয়ান স্পোর্টস মিডিয়া। ২০২৪-২৫ মৌসুমের জন্য পুরস্কারটি পেলেন এমবাপ্পে। রেয়ালের হয়ে অভিষেক মৌসুমে লা লিগায় ৩১ গোল করেন তিনি।
পয়েন্টের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয় বিজয়ী। এমবাপ্পে পান ৬২ পয়েন্ট। ৫৮.৫ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় হন গত মৌসুমে স্পোর্টিং সিপির হয়ে খেলা ভিক্টর ইয়োকেরেস, লিভারপুলের মোহামেদ সালাহ ৫৮ পয়েন্ট পেয়ে হন তৃতীয়।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল বক্সে গতকাল শুক্রবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে এমবাপ্পের হাতে পুরস্কারটি তুলে দেয়া হয়। সেখানে রেয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ, কোচ শাবি আলোন্সোসহ দলের সব খেলোয়াড় উপস্থিত ছিলেন।
রেয়াল মাদ্রিদের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এ পুরস্কার জিতলেন এমবাপ্পে। তার আগে সর্বশেষ ২০১৪-১৫ মৌসুমে জিতেছিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ মহাতারকা ক্যারিয়ারে মোট চারবার পেয়েছেন এই স্বীকৃতি। রেকর্ড ছয়বার পেয়েছেন বার্সেলোনা কিংবদন্তি লিওনেল মেসি।
গতবার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন হ্যারি কেইন, তার আগের মৌসুমে আর্লিং হালান্ড। এই দুজনের আগে টানা দুই মৌসুমে জেতেন রবের্ত লেভানদোভস্কি।
২৬ বছর বয়সী এমবাপ্পে ক্লাবের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পুরস্কারটি আবার জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
‘গোল্ডেন বুট জেতা আমার জন্য আনন্দের। আমার ক্যারিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ এক মুহূর্ত, প্রথমবার আমি এই পুরস্কার জিতেছি। একজন ফরোয়ার্ড হিসেবে আমার কাছে এর মূল্য অনেক।’
‘এই খেলোয়াড়দের ছাড়া পুরস্কারটি জেতা অসম্ভব, আমি তা জানি। ক্লাব, চিকিৎসক, স্টাফদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা মাঠের ভেতরে ও বাইরে আমাকে সাহায্য করেছেন। আশা করি, আবারও এটি জিতবো, পরের বছর। (এই মৌসুমে) আমি ভালো শুরু করেছি।’
চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচে ১১ গোল করে লা লিগার সর্বোচ্চ স্কোরার এমবাপ্পে। ৬টির বেশি গোল নেই আর কারও। তার দলও আছে লীগ টেবিলের চূড়ায়। মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৩ ম্যাচের ১২টি জিতেছে তারা।
এমবাপ্পের নজর দলীয় সাফল্যে। অনেক বছর বের্নাবেউয়ে থাকার ইচ্ছার কথাও বললেন বিশ্বকাপ জয়ী ফরোয়ার্ড।
‘আমাদের অসাধারণ এক দল আছে। আশা করি, এই বছর আমরা গুরুত্বপূর্ণ ট্রফি জিতবো। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, দলীয় সাফল্য। আশা করি, অনেক বছর এখানে থাকব এবং এই ধরনের পুরস্কার আরও অনেকবার জিতবো।’