আগামী বছর আমেরিকায় ফুটবল বিশ্বকাপ। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপই তার শেষ। অন্যদিকে লিওনেল মেসির আবার বিশ্বকাপে খেলা অনিশ্চিত।
দুই ফুটবলারই ক্যারিয়ারে পাঁচটি করে বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন। আগামী বিশ্বকাপে কি দেখা যাবে তাদের? নিজেদের ছ’নম্বর বিশ্বকাপ কি খেলবেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি
সৌদি আরবের একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে নিজের লক্ষ্য জানিয়েছেন রোনালদো। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপই কি পর্তুগালের জার্সিতে তার শেষ প্রতিযোগিতা হতে চলেছে? জবাবে সিআর৭ বলেন, ‘অবশ্যই। তখন আমার ৪১ বছর বয়স হবে। ওটাই শেষ।’ রোনালদোর কথা থেকে স্পষ্ট, তিনি ঠিক করে ফেলেছেন যে, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে খেলতে চান।
কবে অবসর নেবেন রোনালদো? জানিয়েছেন, আরও এক বা দু’বছর খেলতে চান। তারপর পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর নেবেন তিনি। তার কথা থেকে বোঝা যাচ্ছে, দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলেই হয়তো ক্লাব ফুটবল থেকে অবসর নেবেন তিনি। মেসি অবশ্য অন্যকথা বলছেন। তিনি কোনোভাবেই আর্জেন্টিনার বোঝা হয়ে উঠতে চান না। মেসির নেতৃত্বে ২০২২ সালে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। অর্থাৎ, ২০২৬ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে নামবে তারা। স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশার পারদ অনেক বেশি থাকবে। মেসি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এই বিশ্বকাপ আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আগেরবার আমরা জিতেছি। কিন্তু আমি দলের বোঝা হয়ে উঠতে চাই না। আমি শারীরিক ভাবে ১০০ শতাংশ ফিট থাকলে তবেই খেলবো। কারণ ভালো খেলতে না পারলে দলে থাকার কোনো মানে নেই।’
মেসি যদি বিশ্বকাপের দলে থাকেন তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রথম একাদশের বাইরে তাকে রাখা যাবে না। কিন্তু তিনি যদি নিজের সেরা ফর্মে থাকতে না পারেন, তাহলে দল সমস্যায় পড়বে। সেটা চান না মেসি। বিশ্বকাপ শুরুর আগে নিজের খেলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মেসি। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে আমাদের কয়েকটা ম্যাচ আছে। ততক্ষণ অপেক্ষা করবো। আমি জানি, ফুটবলে বিশ্বকাপের থেকে বড় কিছু নেই। তাই সম্পূর্ণ ফিট থাকলে তবেই খেলব।’
সম্প্রতি নিজের পুরনো ক্লাব বার্সেলোনার ক্যাম্প ন্যু স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন মেসি। কাউকে না জানিয়ে হঠাৎ সেখানে পৌঁছে যান তিনি। ছবিও তোলেন। ক্যাম্প ন্যুতে যাওয়া নিয়েও মুখ খুলেছেন মেসি। তিনি বলেন, ‘বার্সা ছাড়ার পর আর ক্যাম্প ন্যুতে যাইনি। তাই অনেকদিন ধরেই যেতে চাইছিলাম। আমরা বার্সাকে মিস? করি। আমার স্ত্রী ও সন্তানরা বার বার বার্সার কথা বলে। আমাদের ওখানে বাড়িও আছে। তাই আবার বার্সায় ফিরতে চাই।’
বার্সায় ফিরতে চাইলেও তাদের হয়ে যে আর ফুটবল খেলতে চান না তা আগেই জানিয়েছেন মেসি। ২০২১ সালে তার বার্সা ছাড়ার প্রধান কারণ ছিল কর্তাদের সঙ্গে মতপার্থক্য। সেই কারণে মেসি ক্যাম্প ন্যুতে গেলেও বার্সার কোনো কর্তাকে সেখানে দেখা যায়নি। তবে কর্তা বদল হয়। মেসি হয়তো সেই দিনের অপেক্ষাতেই রয়েছেন। ফুটবলার নন, অন্য কোনো ভূমিকায় নিজের সবচেয়ে প্রিয় ক্লাবে ফিরতে চান লিও।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
আগামী বছর আমেরিকায় ফুটবল বিশ্বকাপ। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপই তার শেষ। অন্যদিকে লিওনেল মেসির আবার বিশ্বকাপে খেলা অনিশ্চিত।
দুই ফুটবলারই ক্যারিয়ারে পাঁচটি করে বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন। আগামী বিশ্বকাপে কি দেখা যাবে তাদের? নিজেদের ছ’নম্বর বিশ্বকাপ কি খেলবেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি
সৌদি আরবের একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে নিজের লক্ষ্য জানিয়েছেন রোনালদো। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপই কি পর্তুগালের জার্সিতে তার শেষ প্রতিযোগিতা হতে চলেছে? জবাবে সিআর৭ বলেন, ‘অবশ্যই। তখন আমার ৪১ বছর বয়স হবে। ওটাই শেষ।’ রোনালদোর কথা থেকে স্পষ্ট, তিনি ঠিক করে ফেলেছেন যে, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে খেলতে চান।
কবে অবসর নেবেন রোনালদো? জানিয়েছেন, আরও এক বা দু’বছর খেলতে চান। তারপর পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর নেবেন তিনি। তার কথা থেকে বোঝা যাচ্ছে, দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলেই হয়তো ক্লাব ফুটবল থেকে অবসর নেবেন তিনি। মেসি অবশ্য অন্যকথা বলছেন। তিনি কোনোভাবেই আর্জেন্টিনার বোঝা হয়ে উঠতে চান না। মেসির নেতৃত্বে ২০২২ সালে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। অর্থাৎ, ২০২৬ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে নামবে তারা। স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশার পারদ অনেক বেশি থাকবে। মেসি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এই বিশ্বকাপ আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আগেরবার আমরা জিতেছি। কিন্তু আমি দলের বোঝা হয়ে উঠতে চাই না। আমি শারীরিক ভাবে ১০০ শতাংশ ফিট থাকলে তবেই খেলবো। কারণ ভালো খেলতে না পারলে দলে থাকার কোনো মানে নেই।’
মেসি যদি বিশ্বকাপের দলে থাকেন তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রথম একাদশের বাইরে তাকে রাখা যাবে না। কিন্তু তিনি যদি নিজের সেরা ফর্মে থাকতে না পারেন, তাহলে দল সমস্যায় পড়বে। সেটা চান না মেসি। বিশ্বকাপ শুরুর আগে নিজের খেলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মেসি। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে আমাদের কয়েকটা ম্যাচ আছে। ততক্ষণ অপেক্ষা করবো। আমি জানি, ফুটবলে বিশ্বকাপের থেকে বড় কিছু নেই। তাই সম্পূর্ণ ফিট থাকলে তবেই খেলব।’
সম্প্রতি নিজের পুরনো ক্লাব বার্সেলোনার ক্যাম্প ন্যু স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন মেসি। কাউকে না জানিয়ে হঠাৎ সেখানে পৌঁছে যান তিনি। ছবিও তোলেন। ক্যাম্প ন্যুতে যাওয়া নিয়েও মুখ খুলেছেন মেসি। তিনি বলেন, ‘বার্সা ছাড়ার পর আর ক্যাম্প ন্যুতে যাইনি। তাই অনেকদিন ধরেই যেতে চাইছিলাম। আমরা বার্সাকে মিস? করি। আমার স্ত্রী ও সন্তানরা বার বার বার্সার কথা বলে। আমাদের ওখানে বাড়িও আছে। তাই আবার বার্সায় ফিরতে চাই।’
বার্সায় ফিরতে চাইলেও তাদের হয়ে যে আর ফুটবল খেলতে চান না তা আগেই জানিয়েছেন মেসি। ২০২১ সালে তার বার্সা ছাড়ার প্রধান কারণ ছিল কর্তাদের সঙ্গে মতপার্থক্য। সেই কারণে মেসি ক্যাম্প ন্যুতে গেলেও বার্সার কোনো কর্তাকে সেখানে দেখা যায়নি। তবে কর্তা বদল হয়। মেসি হয়তো সেই দিনের অপেক্ষাতেই রয়েছেন। ফুটবলার নন, অন্য কোনো ভূমিকায় নিজের সবচেয়ে প্রিয় ক্লাবে ফিরতে চান লিও।