বক্তব্য রাখছেন নাজমুল হোসেন শান্ত
নাজমুল হোসেন শান্ত প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে নেতৃত্বে ফেরা রাঙিয়েছেন। সাদা পোশাকের বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিলেও ক্রিজে গেলে কেবল ব্যাটিং নিয়েই মনোযোগী থাকেন বলে জানিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল।
সিলেট টেস্টে আইরিশদের বিপক্ষে ইনিংস ব্যাবধানে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘আমি সবসময়ই বলি, ব্যাট হাতে ক্রিজে নামলে নিজেকে শুধু ব্যাটার হিসেবেই ভাবি। তখন একবারও মনে হয় না যে, আমি অধিনায়ক হিসেবে খেলছি। কীভাবে ব্যাটার হিসেবে দলের জন্য অবদান রাখতে পারিÑ সেটাতেই মনোযোগ থাকে। আর মাঠের বাইরে বা ফিল্ডিংয়ের সময় অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বটা পালনের চেষ্টা করি।’
বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার অভিমানে টেস্ট দলের অধিনায়কত্বও ছেড়ে দিয়েছিলেন শান্ত। বিসিবি তাকে নেতৃত্বে ফিরিয়ে আনে। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চলমান ২০২৫-২৭ সালের চক্রে অধিনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে ২৭ বছর বয়সী তারকাকে।
মাঝের মাসগুলোতে শান্ত নিজেকে নিয়ে কাজ করেছেন এবং কীভাবে ব্যাটিং আরও উন্নত করা যায়, সেদিকে মনোযোগ দিয়েছেন, ‘সত্যি বলতে, প্রথম কয়েকটা দিন কঠিন ছিল। কিন্তু হ্যাঁ, তারপর থেকে আমি বেশ স্বস্তিতে ছিলাম এবং পুরো সময়টাই উপভোগ করেছি। আমি নিজেকে সময় দিয়েছি, পরিবারকেও সময় দিয়েছি। আর কীভাবে দক্ষতার দিক থেকে ও মানসিকভাবে আমার ক্রিকেট আরও উন্নত করা যায়Ñ সেটা নিয়ে কাজ করেছি। তবে আমার মনে হয়, সময়টা আমার খুব ভালো কেটেছে।’
ক্যারিয়ারের ৩৮ টেস্টে অষ্টম সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া শান্ত আইরিশদের বিপক্ষে নিজের ব্যাটিং পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করেন এভাবে, ‘এই ইনিংস নিয়ে যদি বলি, আমি যেসব খারাপ বল পেয়েছি, সেগুলোকে কাজে লাগাতে পেরেছি। এটা ছিল ইতিবাচক দিক এবং ফোকাস সব সময়ই এদিকেই থাকে। কারণ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খারাপ বল খুব কমই আসে। তাই যেসব খারাপ বল আসে, সেগুলো যতটা সম্ভব ভালোভাবে কাজে লাগানো গুরুত্বপূর্ণ। সেটা করতে পেরে ভালো লাগছে।’
এই টেস্টে লং-অন ও লং-অফ দিয়ে অনেক রান আনেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। প্রতিপক্ষের স্পিনারদের মোকাবিলায় আলাদা কোনো কৌশল ব্যবহার করেছেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি জবাব দিয়েছেন, ‘এই ইনিংসে খুব বেশি সুইপ খেলিনি। মনে হয়, একটি সুইপ আর কয়েকটি প্যাডেল সুইপ খেলেছি। বাড়তি কিছু না। আমি বলের যোগ্যতা অনুযায়ীই খেলেছি।’
সিলেটের উইকেট নিয়ে খুশি শান্ত। স্পিন সহায়ক উইকেটের পরিবর্তে স্পোর্টিং উইকেট চেয়েছিলেন তিনি। টাইগার দলনেতা বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা এমন উইকেট চাই। আমরা স্পিন-বান্ধব উইকেট চাইনি। আমরা স্পোর্টিং উইকেট চেয়েছিলাম এবং আমরা পেয়েছি। তিন-চার দিন পরেও, উইকেট এখনও বেশ ভালো ছিল।’
মুরাদ-জয়ের প্রশংসায় শান্ত
দুর্দান্ত জয়ের পর অভিষিক্ত বামহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ ও দলে ফেরা ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক ।
অধিনায়ক বলেন, ‘মুরাদকে নিয়ে কী বলবো, ও ছিল অসাধারণ। বেশ কয়েক সিরিজ দল থেকে বাইরে ছিল, কিন্তু প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রতিবছরই খেলে এবং ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে। তার পরিসংখ্যানও দারুণ। বাংলাদেশের স্পিনারদের জন্য ধৈর্য ধরে বোলিং করাটা কঠিন; কিন্তু সে যেভাবে বল করেছে, সত্যিই প্রশংসনীয়। আশা করি সে ধীরে ধীরে আরও উন্নতি করবে এবং দলে আরও বড় অবদান রাখবে।’
এই টেস্টে ওপেনার জয়ের ১৭১ রানের ইনিংস নিয়ে শান্ত বলেন, ‘জয় দলে ছিল না। বাদ পড়ে ফিরে এসে প্রথম ম্যাচেই এমন বড় ইনিংস খেলা এটা সত্যিই কঠিন। কিন্তু ও যেভাবে ব্যাট করেছে, মনে হয়নি সে ফেরত এসেছে। এটা খুবই ইতিবাচক দিক। আমি মনে করি ও মানসিকতায় অনেক পরিবর্তন এনেছে, আর ভবিষ্যতে সব দলের বিপক্ষেই এমন ভাবনা ধরে রাখতে পারবে বলে আশা করি।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বক্তব্য রাখছেন নাজমুল হোসেন শান্ত
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
নাজমুল হোসেন শান্ত প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে নেতৃত্বে ফেরা রাঙিয়েছেন। সাদা পোশাকের বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিলেও ক্রিজে গেলে কেবল ব্যাটিং নিয়েই মনোযোগী থাকেন বলে জানিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল।
সিলেট টেস্টে আইরিশদের বিপক্ষে ইনিংস ব্যাবধানে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘আমি সবসময়ই বলি, ব্যাট হাতে ক্রিজে নামলে নিজেকে শুধু ব্যাটার হিসেবেই ভাবি। তখন একবারও মনে হয় না যে, আমি অধিনায়ক হিসেবে খেলছি। কীভাবে ব্যাটার হিসেবে দলের জন্য অবদান রাখতে পারিÑ সেটাতেই মনোযোগ থাকে। আর মাঠের বাইরে বা ফিল্ডিংয়ের সময় অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বটা পালনের চেষ্টা করি।’
বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার অভিমানে টেস্ট দলের অধিনায়কত্বও ছেড়ে দিয়েছিলেন শান্ত। বিসিবি তাকে নেতৃত্বে ফিরিয়ে আনে। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চলমান ২০২৫-২৭ সালের চক্রে অধিনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে ২৭ বছর বয়সী তারকাকে।
মাঝের মাসগুলোতে শান্ত নিজেকে নিয়ে কাজ করেছেন এবং কীভাবে ব্যাটিং আরও উন্নত করা যায়, সেদিকে মনোযোগ দিয়েছেন, ‘সত্যি বলতে, প্রথম কয়েকটা দিন কঠিন ছিল। কিন্তু হ্যাঁ, তারপর থেকে আমি বেশ স্বস্তিতে ছিলাম এবং পুরো সময়টাই উপভোগ করেছি। আমি নিজেকে সময় দিয়েছি, পরিবারকেও সময় দিয়েছি। আর কীভাবে দক্ষতার দিক থেকে ও মানসিকভাবে আমার ক্রিকেট আরও উন্নত করা যায়Ñ সেটা নিয়ে কাজ করেছি। তবে আমার মনে হয়, সময়টা আমার খুব ভালো কেটেছে।’
ক্যারিয়ারের ৩৮ টেস্টে অষ্টম সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া শান্ত আইরিশদের বিপক্ষে নিজের ব্যাটিং পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করেন এভাবে, ‘এই ইনিংস নিয়ে যদি বলি, আমি যেসব খারাপ বল পেয়েছি, সেগুলোকে কাজে লাগাতে পেরেছি। এটা ছিল ইতিবাচক দিক এবং ফোকাস সব সময়ই এদিকেই থাকে। কারণ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খারাপ বল খুব কমই আসে। তাই যেসব খারাপ বল আসে, সেগুলো যতটা সম্ভব ভালোভাবে কাজে লাগানো গুরুত্বপূর্ণ। সেটা করতে পেরে ভালো লাগছে।’
এই টেস্টে লং-অন ও লং-অফ দিয়ে অনেক রান আনেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। প্রতিপক্ষের স্পিনারদের মোকাবিলায় আলাদা কোনো কৌশল ব্যবহার করেছেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি জবাব দিয়েছেন, ‘এই ইনিংসে খুব বেশি সুইপ খেলিনি। মনে হয়, একটি সুইপ আর কয়েকটি প্যাডেল সুইপ খেলেছি। বাড়তি কিছু না। আমি বলের যোগ্যতা অনুযায়ীই খেলেছি।’
সিলেটের উইকেট নিয়ে খুশি শান্ত। স্পিন সহায়ক উইকেটের পরিবর্তে স্পোর্টিং উইকেট চেয়েছিলেন তিনি। টাইগার দলনেতা বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা এমন উইকেট চাই। আমরা স্পিন-বান্ধব উইকেট চাইনি। আমরা স্পোর্টিং উইকেট চেয়েছিলাম এবং আমরা পেয়েছি। তিন-চার দিন পরেও, উইকেট এখনও বেশ ভালো ছিল।’
মুরাদ-জয়ের প্রশংসায় শান্ত
দুর্দান্ত জয়ের পর অভিষিক্ত বামহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ ও দলে ফেরা ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক ।
অধিনায়ক বলেন, ‘মুরাদকে নিয়ে কী বলবো, ও ছিল অসাধারণ। বেশ কয়েক সিরিজ দল থেকে বাইরে ছিল, কিন্তু প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রতিবছরই খেলে এবং ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে। তার পরিসংখ্যানও দারুণ। বাংলাদেশের স্পিনারদের জন্য ধৈর্য ধরে বোলিং করাটা কঠিন; কিন্তু সে যেভাবে বল করেছে, সত্যিই প্রশংসনীয়। আশা করি সে ধীরে ধীরে আরও উন্নতি করবে এবং দলে আরও বড় অবদান রাখবে।’
এই টেস্টে ওপেনার জয়ের ১৭১ রানের ইনিংস নিয়ে শান্ত বলেন, ‘জয় দলে ছিল না। বাদ পড়ে ফিরে এসে প্রথম ম্যাচেই এমন বড় ইনিংস খেলা এটা সত্যিই কঠিন। কিন্তু ও যেভাবে ব্যাট করেছে, মনে হয়নি সে ফেরত এসেছে। এটা খুবই ইতিবাচক দিক। আমি মনে করি ও মানসিকতায় অনেক পরিবর্তন এনেছে, আর ভবিষ্যতে সব দলের বিপক্ষেই এমন ভাবনা ধরে রাখতে পারবে বলে আশা করি।’