ছয় দিনের ব্যবধানে দেখা গেল লিটন কুমার দাসের উল্টো দুটি ছবি। সিরিজ শুরুর আগে তিনি যেন রাগে ফুঁসছিলেন। তার চাপা ক্ষোভ বিস্ফোরিত হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে। সিরিজ শেষে সেই লিটন উঁচিয়ে ধরলেন শান্তির পতাকা। কণ্ঠে আত্মগ্লানি আর আত্মোপলব্ধির ছাপ নিয়ে অধিনায়ক বললেন, ভবিষ্যতে এসবের পুনরাবৃত্তি আর হবে না।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আপাত নিরুত্তাপ সিরিজের আগের দিন বিতর্কের বারুদ ছড়িয়েছিলেন লিটন। শামীম হোসেনকে দল থেকে বাদ দেয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন নির্বাচক কমিটিকে। আঙুল তুলেছিলেন বোর্ডের দিকেও। পরে সেটির জবাব দিয়ে ভিডিও বার্তা দেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন। সবমিলিয়ে দেশের ক্রিকেট হয়ে উঠে উত্তাল।
সেই উথালপাতাল ঢেউ অনেকটাই শান্ত হয়ে গেছে সময়ের প্রবাহে। ক্ষোভ মিলিয়ে গেছে, নিজেও আয়নার সামনে দাঁড়িয়েছেন। বোর্ডের পক্ষ থেকেও যোগাযোগ করে সবকিছু পরিষ্কার করা হয়েছে বলে লিটন জানালেন সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে।
‘দেখুন, হিট অফ দ্য মোমেন্টে অনেক কিছু হয়েছে। উভয়পক্ষ থেকেই আমাদের হয়েছে। তবে যে জিনিসটা হয়েছে, সেটা ভালো নয়। ক্রিকেটের জন্য ভালো নয়। পরবর্তী সময় থেকে এই জিনিসগুলো হবে না। এরপর আমরা সুন্দর করে বসে কথা বলেছি এবং এটার ভালো একটা সমাধান এসেছে।’
লিটনের মন্তব্য ও পারস্পরিক টানাপোড়নে তখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, গোটা দলের মনোযোগই তাতে নড়ে যাওয়ার কথা। অধিনায়কের কাজটাও সহজ হওয়ার কথা নয়। সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেও গিয়েছিল বাজেভাবে। পরের দুই ম্যাচ জিতে অবশ্য সিরিজ জয় ধরা দিয়েছে।
লিটনের দাবি, তার কাজ খুব কঠিন হয়ে ওঠেনি এসবের পরও। ‘না, আমার মনে হয় দলের ভেতর এটার কোনো প্রভাব পড়েনি। নরমালি ছিল সবকিছু। যেহেতু আমরা পেশাদার ক্রিকেটার, মাঠে গেলে ক্রিকেটই খেলি, ওইদিক থেকে আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি।’
‘নিলাম নিয়ে আক্ষেপ নেই’ নিলামে নিজের মূল্য নিয়ে আক্ষেপ নেই
বিপিএল নিলামের টাকার অঙ্ক নিয়ে লিটনের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল আয়াল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে। নিলামের ‘এ’ ক্যাটাগরিতে তিনি ছিলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখের সঙ্গে। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় দল পেয়ে নিলামে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার হন নাঈম। জাতীয় দলের অধিনায়ক হয়েও লিটনের দর উঠে ৭০ লাখ পর্যন্ত।
লিটন নিজে যদিও জানতেন, অঙ্কটা ৭৫ লাখ। সেই ভুল তার ভাঙলো দুই দিন পর এই সংবাদ সম্মেলনে। এটা নিয়ে বেশ এক চোট মজাও করলেন তিনি। পরে অবশ্য বলেন, নিজের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা কিছু নিয়ে আক্ষেপ নেই তার।
‘নিলাম ভালো, তবে দেখিনি আমি। কারণ জিমে ব্যস্ত ছিলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে, জিম করাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল ওই সময়ে। অবশ্যই, পরবর্তীতে যদি আবার সুযোগটা হয়, দেখব।’
‘কিন্তু দেখুন, সেটা আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। আমার নিয়ন্ত্রণে যে জিনিসগুলো আছে, আমি সেটা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবো। আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি। যদি কখনও তিনি চান যে আমাকে বেশি টাকা দেবেন, তিনি এনে দেবেন। উনার মনে হয়েছে যে ৭০ লাখ যথেষ্ট, কাজেই যথেষ্ট।’
আবার তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘৭০ লাখ পেয়ে আক্ষেপ নেই?’ তার উত্তরও আগের মতোই, ‘বললাম না, আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি! যেটা আছে, আমি সেটা নিয়েই খুশি।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
ছয় দিনের ব্যবধানে দেখা গেল লিটন কুমার দাসের উল্টো দুটি ছবি। সিরিজ শুরুর আগে তিনি যেন রাগে ফুঁসছিলেন। তার চাপা ক্ষোভ বিস্ফোরিত হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে। সিরিজ শেষে সেই লিটন উঁচিয়ে ধরলেন শান্তির পতাকা। কণ্ঠে আত্মগ্লানি আর আত্মোপলব্ধির ছাপ নিয়ে অধিনায়ক বললেন, ভবিষ্যতে এসবের পুনরাবৃত্তি আর হবে না।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আপাত নিরুত্তাপ সিরিজের আগের দিন বিতর্কের বারুদ ছড়িয়েছিলেন লিটন। শামীম হোসেনকে দল থেকে বাদ দেয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন নির্বাচক কমিটিকে। আঙুল তুলেছিলেন বোর্ডের দিকেও। পরে সেটির জবাব দিয়ে ভিডিও বার্তা দেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন। সবমিলিয়ে দেশের ক্রিকেট হয়ে উঠে উত্তাল।
সেই উথালপাতাল ঢেউ অনেকটাই শান্ত হয়ে গেছে সময়ের প্রবাহে। ক্ষোভ মিলিয়ে গেছে, নিজেও আয়নার সামনে দাঁড়িয়েছেন। বোর্ডের পক্ষ থেকেও যোগাযোগ করে সবকিছু পরিষ্কার করা হয়েছে বলে লিটন জানালেন সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে।
‘দেখুন, হিট অফ দ্য মোমেন্টে অনেক কিছু হয়েছে। উভয়পক্ষ থেকেই আমাদের হয়েছে। তবে যে জিনিসটা হয়েছে, সেটা ভালো নয়। ক্রিকেটের জন্য ভালো নয়। পরবর্তী সময় থেকে এই জিনিসগুলো হবে না। এরপর আমরা সুন্দর করে বসে কথা বলেছি এবং এটার ভালো একটা সমাধান এসেছে।’
লিটনের মন্তব্য ও পারস্পরিক টানাপোড়নে তখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, গোটা দলের মনোযোগই তাতে নড়ে যাওয়ার কথা। অধিনায়কের কাজটাও সহজ হওয়ার কথা নয়। সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেও গিয়েছিল বাজেভাবে। পরের দুই ম্যাচ জিতে অবশ্য সিরিজ জয় ধরা দিয়েছে।
লিটনের দাবি, তার কাজ খুব কঠিন হয়ে ওঠেনি এসবের পরও। ‘না, আমার মনে হয় দলের ভেতর এটার কোনো প্রভাব পড়েনি। নরমালি ছিল সবকিছু। যেহেতু আমরা পেশাদার ক্রিকেটার, মাঠে গেলে ক্রিকেটই খেলি, ওইদিক থেকে আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি।’
‘নিলাম নিয়ে আক্ষেপ নেই’ নিলামে নিজের মূল্য নিয়ে আক্ষেপ নেই
বিপিএল নিলামের টাকার অঙ্ক নিয়ে লিটনের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল আয়াল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে। নিলামের ‘এ’ ক্যাটাগরিতে তিনি ছিলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখের সঙ্গে। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় দল পেয়ে নিলামে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার হন নাঈম। জাতীয় দলের অধিনায়ক হয়েও লিটনের দর উঠে ৭০ লাখ পর্যন্ত।
লিটন নিজে যদিও জানতেন, অঙ্কটা ৭৫ লাখ। সেই ভুল তার ভাঙলো দুই দিন পর এই সংবাদ সম্মেলনে। এটা নিয়ে বেশ এক চোট মজাও করলেন তিনি। পরে অবশ্য বলেন, নিজের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা কিছু নিয়ে আক্ষেপ নেই তার।
‘নিলাম ভালো, তবে দেখিনি আমি। কারণ জিমে ব্যস্ত ছিলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে, জিম করাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল ওই সময়ে। অবশ্যই, পরবর্তীতে যদি আবার সুযোগটা হয়, দেখব।’
‘কিন্তু দেখুন, সেটা আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। আমার নিয়ন্ত্রণে যে জিনিসগুলো আছে, আমি সেটা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবো। আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি। যদি কখনও তিনি চান যে আমাকে বেশি টাকা দেবেন, তিনি এনে দেবেন। উনার মনে হয়েছে যে ৭০ লাখ যথেষ্ট, কাজেই যথেষ্ট।’
আবার তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘৭০ লাখ পেয়ে আক্ষেপ নেই?’ তার উত্তরও আগের মতোই, ‘বললাম না, আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি! যেটা আছে, আমি সেটা নিয়েই খুশি।’