সিরিজ জয়ের পর ট্রফি নিয়ে টাইগাররা
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক সিরিজ জয় করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। মঙ্গলবার,(০২ ডিসেম্বর ২০২৫) শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে আয়ারল্যান্ডকে হারায় ৩৮ বল বাকি রেখে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচ আয়ারল্যান্ড ৩৯ রানে এবং দ্বিতীয় ম্যাচ বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জিতেছিল। শেষ ম্যাচ জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলো লিটন দাসের দল। এর আগে ২০১২ সালে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে এবং ২০২৩ সালে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১১৭ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। জয়ের জন্য ১১৮ রান করতে নেমে ৪ ওভারে ৩৮ রান তুলেন বাংলাদেশ দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও সাইফ হাসান। ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৪ বলে ১৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেন সাইফ।
সাইফের বিদায়ে ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক লিটন দাস। ৬ বলে মাত্র ৭ রান করে আউট হন তিনি। ৪৬ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর পারভেজ হোসেন ইমনকে নিয়ে আয়ারল্যান্ড বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন তানজিদ। ১২তম ওভারে বাংলাদেশের রান ১শ’তে নেন তারা। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মেরে টি-টোয়েন্টিতে ১১তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তানজিদ। ওই ওভারের চতুর্থ বলে বাউন্ডারি মেরে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন ইমন।
৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৬ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন তানজিদ। ইমনের ২৬ বলে ৩৩ রানের অনবদ্য ইনিংসে ১টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারি ছিল।
আগে ব্যাটিং করা আয়ারল্যান্ডের শুরুটা ছিল ভালো। তার প্রথম ৪ ওভারে ৩৮ রান তুলে । এরমধ্যে স্পিনার মাহেদি হাসানের করা ইনিংসের প্রথম ওভারে ৩টি চারে ১৩ রান নেন আইরিশ ওপেনার ও অধিনায়ক পল স্ট্রার্লিং।
চতুর্থ ওভারে আয়ারল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন বাংলাদেশ পেসার শরিফুল ইসলাম। ওই ওভারের শেষ বলে শরিফুলের বলে বোল্ড হন ওপেনার টিম টেক্টর। ২ চার ও ১ ছক্কায় ১০ বলে ১৭ রান করেন তিনি।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় উইকেট এনে দেন বাঁ-হাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। ৫ রান করে ফিজের বলে বোল্ড হন হ্যারি টেক্টর।
ষষ্ঠ ওভারে দ্বিতীয়বারের মতো আক্রমণে এসেই উইকেট তুলে নেন মাহেদি। ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে উইকেটরক্ষক লরকান টাকারকে ১ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি।
মোস্তাফিজ ও মাহেদির আঘাতের পর ম্যাচে প্রথম উইকেটের দেখা পান আরেক স্পিনার রিশাদ হোসেন। দারুণ এক ডেলিভারিতে ১৬ বলে ৯ রান করা কার্টিস ক্যাম্ফারকে বোল্ড করেন রিশাদ। সতীর্থদের যাওয়া-আসার মাঝে একপ্রান্ত আগলে আয়ারল্যান্ডের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন ব্যক্তিগত ১৫ রানে জীবন পাওয়া স্টার্লিং। ১২তম ওভারে দলীয় ৭৩ রানে স্টার্লিংকে থামান রিশাদ। সাইফকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৭ বলে ৩৮ রান করা স্টার্লিং।
দলীয় স্কোর ১শ’ হবার আগেই আয়ারল্যান্ডের ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটান রিশাদ। গ্যারেথ ডেলানিকে ১০ রানে থামিয়ে তৃতীয় উইকেটের দেখা পান তিনি। ১৬তম ওভারে ৯৩ রানে ৬ উইকেট হারায় আইরিশরা।
১৮তম ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ। এতে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠেন ফিজ।
ইনিংসের শেষ দুই ওভারে রিশাদ ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ১টি করে উইকেট নিলে ১৯.৫ ওভারে ১১৭ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড।
মোস্তাফিজ ৩ ওভারে ১১ রানে এবং রিশাদ ৪ ওভারে ২১ রানে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া শরিফুল ২টি এবং মাহেদি-সাইফুদ্দিন ১টি করে উইকেট নেন।
এ ইনিংসে ৫টি ক্যাচ নেন তানজিদ হাসান। ফলে টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় ফিল্ডার হিসেবে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্যাচ নেয়ার ক্ষেত্রে যৌথভাবে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তবে পূর্ণ সদস্যের দেশগুলোর মধ্যে এক ম্যাচে ৫টি ক্যাচ নেয়া প্রথম ফিল্ডার তানজিদ।
ম্যাচসেরা হন তানজিদ এবং সিরিজ সেরা হয়েছেন মাহেদি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আয়ারল্যান্ড ১৯.৫ ওভারে ১১৭ (স্টার্লিং ৩৮, টিম টেক্টর ১৭, হ্যারি টেক্টর ৫, টাকার ১, ক্যাম্ফার ৯, ডকরেল ১৯, ডেল্যানি ১০, অ্যাডায়ার ৮, হামফ্রিজ ১, ইয়াং ২*, হোয়াইট ৫; শেখ মেহেদি ৪-০-২৪-১, শরিফুল ৩-০-২১-২, সাইফ উদ্দিন ৩.৫-০-৩১-১, মোস্তাফিজ ৩-০-১১-৩, রিশাদ ৪-০-২১-৩, সাইফ হাসান ২-০-৮-০)।
বাংলাদেশ ১৩.৪ ওভারে ১১৯/২ (তানজিদ ৫৫*, সাইফ ১৯, লিটন ৭, পারভেজ ৩৩*; হামফ্রিজ ২-০-১৫-০, অ্যাডায়ার ১-০-১১-০, ইয়াং ২.৪-০-৩০-১, ডেল্যানি ২-০-২৫-০, টেক্টর ৩-০-১৭-১, হোয়াইট ৩-০-২১-১)।
ম্যাচসেরা: তানজিদ হাসান। সিরিজসেরা: শেখ মেহেদি হাসান।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সিরিজ জয়ের পর ট্রফি নিয়ে টাইগাররা
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক সিরিজ জয় করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। মঙ্গলবার,(০২ ডিসেম্বর ২০২৫) শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে আয়ারল্যান্ডকে হারায় ৩৮ বল বাকি রেখে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচ আয়ারল্যান্ড ৩৯ রানে এবং দ্বিতীয় ম্যাচ বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জিতেছিল। শেষ ম্যাচ জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলো লিটন দাসের দল। এর আগে ২০১২ সালে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে এবং ২০২৩ সালে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১১৭ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। জয়ের জন্য ১১৮ রান করতে নেমে ৪ ওভারে ৩৮ রান তুলেন বাংলাদেশ দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও সাইফ হাসান। ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৪ বলে ১৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেন সাইফ।
সাইফের বিদায়ে ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক লিটন দাস। ৬ বলে মাত্র ৭ রান করে আউট হন তিনি। ৪৬ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর পারভেজ হোসেন ইমনকে নিয়ে আয়ারল্যান্ড বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন তানজিদ। ১২তম ওভারে বাংলাদেশের রান ১শ’তে নেন তারা। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মেরে টি-টোয়েন্টিতে ১১তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তানজিদ। ওই ওভারের চতুর্থ বলে বাউন্ডারি মেরে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন ইমন।
৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৬ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন তানজিদ। ইমনের ২৬ বলে ৩৩ রানের অনবদ্য ইনিংসে ১টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারি ছিল।
আগে ব্যাটিং করা আয়ারল্যান্ডের শুরুটা ছিল ভালো। তার প্রথম ৪ ওভারে ৩৮ রান তুলে । এরমধ্যে স্পিনার মাহেদি হাসানের করা ইনিংসের প্রথম ওভারে ৩টি চারে ১৩ রান নেন আইরিশ ওপেনার ও অধিনায়ক পল স্ট্রার্লিং।
চতুর্থ ওভারে আয়ারল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন বাংলাদেশ পেসার শরিফুল ইসলাম। ওই ওভারের শেষ বলে শরিফুলের বলে বোল্ড হন ওপেনার টিম টেক্টর। ২ চার ও ১ ছক্কায় ১০ বলে ১৭ রান করেন তিনি।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় উইকেট এনে দেন বাঁ-হাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। ৫ রান করে ফিজের বলে বোল্ড হন হ্যারি টেক্টর।
ষষ্ঠ ওভারে দ্বিতীয়বারের মতো আক্রমণে এসেই উইকেট তুলে নেন মাহেদি। ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে উইকেটরক্ষক লরকান টাকারকে ১ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি।
মোস্তাফিজ ও মাহেদির আঘাতের পর ম্যাচে প্রথম উইকেটের দেখা পান আরেক স্পিনার রিশাদ হোসেন। দারুণ এক ডেলিভারিতে ১৬ বলে ৯ রান করা কার্টিস ক্যাম্ফারকে বোল্ড করেন রিশাদ। সতীর্থদের যাওয়া-আসার মাঝে একপ্রান্ত আগলে আয়ারল্যান্ডের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন ব্যক্তিগত ১৫ রানে জীবন পাওয়া স্টার্লিং। ১২তম ওভারে দলীয় ৭৩ রানে স্টার্লিংকে থামান রিশাদ। সাইফকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৭ বলে ৩৮ রান করা স্টার্লিং।
দলীয় স্কোর ১শ’ হবার আগেই আয়ারল্যান্ডের ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটান রিশাদ। গ্যারেথ ডেলানিকে ১০ রানে থামিয়ে তৃতীয় উইকেটের দেখা পান তিনি। ১৬তম ওভারে ৯৩ রানে ৬ উইকেট হারায় আইরিশরা।
১৮তম ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ। এতে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠেন ফিজ।
ইনিংসের শেষ দুই ওভারে রিশাদ ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ১টি করে উইকেট নিলে ১৯.৫ ওভারে ১১৭ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড।
মোস্তাফিজ ৩ ওভারে ১১ রানে এবং রিশাদ ৪ ওভারে ২১ রানে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া শরিফুল ২টি এবং মাহেদি-সাইফুদ্দিন ১টি করে উইকেট নেন।
এ ইনিংসে ৫টি ক্যাচ নেন তানজিদ হাসান। ফলে টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় ফিল্ডার হিসেবে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্যাচ নেয়ার ক্ষেত্রে যৌথভাবে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তবে পূর্ণ সদস্যের দেশগুলোর মধ্যে এক ম্যাচে ৫টি ক্যাচ নেয়া প্রথম ফিল্ডার তানজিদ।
ম্যাচসেরা হন তানজিদ এবং সিরিজ সেরা হয়েছেন মাহেদি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আয়ারল্যান্ড ১৯.৫ ওভারে ১১৭ (স্টার্লিং ৩৮, টিম টেক্টর ১৭, হ্যারি টেক্টর ৫, টাকার ১, ক্যাম্ফার ৯, ডকরেল ১৯, ডেল্যানি ১০, অ্যাডায়ার ৮, হামফ্রিজ ১, ইয়াং ২*, হোয়াইট ৫; শেখ মেহেদি ৪-০-২৪-১, শরিফুল ৩-০-২১-২, সাইফ উদ্দিন ৩.৫-০-৩১-১, মোস্তাফিজ ৩-০-১১-৩, রিশাদ ৪-০-২১-৩, সাইফ হাসান ২-০-৮-০)।
বাংলাদেশ ১৩.৪ ওভারে ১১৯/২ (তানজিদ ৫৫*, সাইফ ১৯, লিটন ৭, পারভেজ ৩৩*; হামফ্রিজ ২-০-১৫-০, অ্যাডায়ার ১-০-১১-০, ইয়াং ২.৪-০-৩০-১, ডেল্যানি ২-০-২৫-০, টেক্টর ৩-০-১৭-১, হোয়াইট ৩-০-২১-১)।
ম্যাচসেরা: তানজিদ হাসান। সিরিজসেরা: শেখ মেহেদি হাসান।