এক বছরের বিরতি শেষে অবশেষে মাঠে ফিরতে চলেছে দেশের নারী ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ নারী ফুটবল লীগ। ২০২৫-২৬ মৌসুমকে সামনে রেখে মঙ্গলবার,( ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫) ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে ক্লাব প্রতিনিধিদের সাথে অনুষ্ঠিত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সভা। সভা শেষে বিএফএফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম গণমাধ্যমকে জানান, ফিফার তত্ত্বাবধানে এই লীগ দেশের নারী ফুটবলের ভিত্তি আরও মজবুত করবে।
এবারের লীগে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে বেশ কিছু শক্তিশালী দল, যা প্রতিযোগিতার মাত্রা বহুগুণ বাড়াবে। নতুন দলগুলোর মধ্যে রয়েছে বিকেএসপি এফসি, আনসার, এবং পুলিশ এফসি। এছাড়াও, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে আসছে রাজশাহী স্টারস। পুরনো অভিজ্ঞ দলগুলোর সাথে এই নতুন দলগুলোর অংশগ্রহণ লিগকে করবে আরও জমজমাট।
এই মৌসুমের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো, লীগটি এখন ফিফা নারী ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের অধীনে পরিচালিত ও পর্যবেক্ষণ করা হবে। ফাহাদ করিম বলেন, ‘এই স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক মহলে আমাদের লীগের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ালো এবং খেলোয়াড়দের জন্য একটি পেশাদার পরিবেশ নিশ্চিত করবে।’ এছাড়াও, প্রতিযোগিতামূলক খেলার পাশাপাশি যুব উন্নয়নের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। এএফসি ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের মানদ- পূরণের জন্য লিগটি হবে একক-রাউন্ডের । এতে প্রতিটি দল কমপক্ষে ১০টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে।
জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে প্রতিটি দলের সেরা একাদশে নির্দিষ্ট সংখ্যক অনূর্ধ্ব-১৭ এবং অনূর্ধ্ব-২০ খেলোয়াড়ের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বদলি খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেও এই বয়সসীমা অনুসরণ করতে হবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই মৌসুমের লীগ জানুয়ারির শেষ নাগাদ শেষ করা হবে, যাতে জাতীয় দল ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মিশনের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে কমলাপুর স্টেডিয়ামে, যেখানে ফ্লাডলাইটের ব্যবস্থা থাকবে।