বাংলাদেশ পাকিস্তান টেস্ট
চট্টগ্রাম টেস্টে লড়াই করতে পারলে জয়ের দেখা পেত বাংলাদেশ তা বলার আর অপেক্ষা রাখেন না। তবে সাগরিকার পারে একজন সাকিব আল হাসানকে মিস করেছে সতীর্থ ক্রিকেটাররা তা এক প্রকার নিশ্চিত। কারণ সাকিব দলে থাকা মানেই এক অন্য রকম শক্তি। ইনজুরি নিয়ে সেই বিশ্বকাপ থেকে ছুটছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। অবশেষে তার প্রত্যাবর্তনে উজ্জীবিত হয়ে শনিবার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সকাল ১০টায়। হোম অব ক্রিকেটে তিন বছর পর টেস্ট খেলতে নামবেন সাকিব। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ নভেম্বর এই ভেন্যুতে টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ও প্রথম টেস্টে খেলতে পারেননি তিনি। সাকিবের অনুপস্থিতিতে সবগুলো ম্যাচই হারে বাংলাদেশ। এবার ঢাকা টেস্টে পাকিস্তান জয় পেলে ঘরের মাঠে টেস্টেও হোয়াইটওয়াশ হবে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে ৪৪ রানের লিড পেয়েও ৮ উইকেটে ম্যাচ হারতে হয় বাংলাদেশকে। চট্টগ্রামে ম্যাচের প্রথম ইনিংস টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান লিটন দাস। মুশফিকুর রহিম করেন ৯১ রান। দু’জনের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ১১৬ রানের বিনিময়ে সাত উইকেট শিকার করেন। কিন্তু প্রথম ইনিংসে তাদের ব্যক্তিগত পারফরমেন্স দলের কোন উপকারে আসেনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যটাররা ব্যর্থ হওয়ায় সহজ জয় পায় পাকিস্তান।
প্রথম ইনিংসে লিড পেলেও ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি ছিলো বাংলাদেশের। মুশফিক-লিটন ও তাইজুল ছাড়া স্বাগতিক দলের ব্যাটিং-বোলিংয়ে ঘাটতি ছিলো চোখে পড়ারর মত। যে কারণে সাকিবের অনুপস্থিতি ব্যাপকভাবে ফুটে উঠে। সাকিব থাকলে দলের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ^াস এবং ব্যক্তিগত পারফরমেন্সের উন্নতি ঘটে বলে সবার বিশ্বাস। কিন্তু টপ অর্ডার ব্যাটারদের পারফরমেন্স বড় ক্ষতি করে বাংলাদেশের। প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানে এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সুবিধাজনক অবস্থানে থাকার পরও এটাই ছিল বাংলাদেশের হারের পেছনে প্রধান কারণ। অধিনায়ক মোমিনুল হকের মতে, তার ও টপ অর্ডারেরও ব্যর্থতাও এটির অংশ ছিলো।
বাংলাদেশ যদি সবকিছু ঠিকঠাক করতে না পারে, তাহলে টেস্ট সিরিজে তাদের কামব্যাক করার কোনো উপায় নেই। তবে মিডল-অর্ডার ব্যাটার ইয়াসির আলি চৌধুরী নিজের অভিষেক টেস্টে পাকিস্তান পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির শর্ট পিচ ডেলিভারিতে মাথায় বলের আঘাত পাবার আগে নিজের প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছিলেন। পরে ইয়াসির মাঠ ছাড়লে নুরুল হাসান সোহান কনকাশন সাব হন। দ্বিতীয় টেস্টে ভালো পারফরমেন্সের জন্য প্রথম ম্যাচের ভূলগুলো সংশোধন করতে আগ্রহী দল।
সাকিব ছাড়াও এ ম্যাচে পেসার তাসকিন আহমেদের সার্ভিস পাচ্ছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টে তাসকিনের পেসকে মিস করেছিলো দল। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে ডান হাতের ইনজুরিতে পড়ায় শেষ মুর্হূতে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েন তাসকিন। সাকিব ও তাসকিনের দলে ফেরার অর্থ হলো, একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হবে বাংলাদেশকে। দুই ইনিংসে ব্যর্থ ওপেনার সাইফ হাসান অসুস্থতার কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই টি-২০ স্পেশালিস্ট নাইম শেখকে দলে ডেকেছে। আছেন নতুন মুখ মাহমুদুল হাসান জয়ও । ইনিংস শুরু করার সামর্থ্য তার আছে। তাই দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মূলত তিনটি পরিবর্তন আনতে হবে বাংলাদেশকে। তবে যাই হোক না কেন, বাংলাদেশের একমাত্র লক্ষ্য পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতে এই ফরম্যাটে অধরা জয়ের স্বাদ নেয়া। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। সবগুলোই জিতেছে পাকিস্তান। এরমধ্যে ১টি টেস্ট ড্র হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে দ্বিপাক্ষীক সিরিজে একটি টেস্ট ড্র হয়েছিলো। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১২২টি টেস্ট খেলেছে, জিতেছে ১৪টিতে, হেরেছে ৯২টিতে। এরমধ্যে ৪৩টি ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হারে। বাকী ১৬ টেস্ট ড্র করেছে।
বাংলাদেশ দল : মোমিনুল হক (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, ইয়াসির আলী রাব্বি, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহি, নাইম হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, রেজাউর রহমান রাজা, খালেদ আহমেদ, শহিদুল ইসলাম ও নাইম শেখ।
বাংলাদেশ পাকিস্তান টেস্ট
শুক্রবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২১
চট্টগ্রাম টেস্টে লড়াই করতে পারলে জয়ের দেখা পেত বাংলাদেশ তা বলার আর অপেক্ষা রাখেন না। তবে সাগরিকার পারে একজন সাকিব আল হাসানকে মিস করেছে সতীর্থ ক্রিকেটাররা তা এক প্রকার নিশ্চিত। কারণ সাকিব দলে থাকা মানেই এক অন্য রকম শক্তি। ইনজুরি নিয়ে সেই বিশ্বকাপ থেকে ছুটছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। অবশেষে তার প্রত্যাবর্তনে উজ্জীবিত হয়ে শনিবার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সকাল ১০টায়। হোম অব ক্রিকেটে তিন বছর পর টেস্ট খেলতে নামবেন সাকিব। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ নভেম্বর এই ভেন্যুতে টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ও প্রথম টেস্টে খেলতে পারেননি তিনি। সাকিবের অনুপস্থিতিতে সবগুলো ম্যাচই হারে বাংলাদেশ। এবার ঢাকা টেস্টে পাকিস্তান জয় পেলে ঘরের মাঠে টেস্টেও হোয়াইটওয়াশ হবে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে ৪৪ রানের লিড পেয়েও ৮ উইকেটে ম্যাচ হারতে হয় বাংলাদেশকে। চট্টগ্রামে ম্যাচের প্রথম ইনিংস টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান লিটন দাস। মুশফিকুর রহিম করেন ৯১ রান। দু’জনের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ১১৬ রানের বিনিময়ে সাত উইকেট শিকার করেন। কিন্তু প্রথম ইনিংসে তাদের ব্যক্তিগত পারফরমেন্স দলের কোন উপকারে আসেনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যটাররা ব্যর্থ হওয়ায় সহজ জয় পায় পাকিস্তান।
প্রথম ইনিংসে লিড পেলেও ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি ছিলো বাংলাদেশের। মুশফিক-লিটন ও তাইজুল ছাড়া স্বাগতিক দলের ব্যাটিং-বোলিংয়ে ঘাটতি ছিলো চোখে পড়ারর মত। যে কারণে সাকিবের অনুপস্থিতি ব্যাপকভাবে ফুটে উঠে। সাকিব থাকলে দলের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ^াস এবং ব্যক্তিগত পারফরমেন্সের উন্নতি ঘটে বলে সবার বিশ্বাস। কিন্তু টপ অর্ডার ব্যাটারদের পারফরমেন্স বড় ক্ষতি করে বাংলাদেশের। প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানে এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সুবিধাজনক অবস্থানে থাকার পরও এটাই ছিল বাংলাদেশের হারের পেছনে প্রধান কারণ। অধিনায়ক মোমিনুল হকের মতে, তার ও টপ অর্ডারেরও ব্যর্থতাও এটির অংশ ছিলো।
বাংলাদেশ যদি সবকিছু ঠিকঠাক করতে না পারে, তাহলে টেস্ট সিরিজে তাদের কামব্যাক করার কোনো উপায় নেই। তবে মিডল-অর্ডার ব্যাটার ইয়াসির আলি চৌধুরী নিজের অভিষেক টেস্টে পাকিস্তান পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির শর্ট পিচ ডেলিভারিতে মাথায় বলের আঘাত পাবার আগে নিজের প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছিলেন। পরে ইয়াসির মাঠ ছাড়লে নুরুল হাসান সোহান কনকাশন সাব হন। দ্বিতীয় টেস্টে ভালো পারফরমেন্সের জন্য প্রথম ম্যাচের ভূলগুলো সংশোধন করতে আগ্রহী দল।
সাকিব ছাড়াও এ ম্যাচে পেসার তাসকিন আহমেদের সার্ভিস পাচ্ছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টে তাসকিনের পেসকে মিস করেছিলো দল। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে ডান হাতের ইনজুরিতে পড়ায় শেষ মুর্হূতে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েন তাসকিন। সাকিব ও তাসকিনের দলে ফেরার অর্থ হলো, একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হবে বাংলাদেশকে। দুই ইনিংসে ব্যর্থ ওপেনার সাইফ হাসান অসুস্থতার কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই টি-২০ স্পেশালিস্ট নাইম শেখকে দলে ডেকেছে। আছেন নতুন মুখ মাহমুদুল হাসান জয়ও । ইনিংস শুরু করার সামর্থ্য তার আছে। তাই দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মূলত তিনটি পরিবর্তন আনতে হবে বাংলাদেশকে। তবে যাই হোক না কেন, বাংলাদেশের একমাত্র লক্ষ্য পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতে এই ফরম্যাটে অধরা জয়ের স্বাদ নেয়া। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। সবগুলোই জিতেছে পাকিস্তান। এরমধ্যে ১টি টেস্ট ড্র হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে দ্বিপাক্ষীক সিরিজে একটি টেস্ট ড্র হয়েছিলো। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১২২টি টেস্ট খেলেছে, জিতেছে ১৪টিতে, হেরেছে ৯২টিতে। এরমধ্যে ৪৩টি ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হারে। বাকী ১৬ টেস্ট ড্র করেছে।
বাংলাদেশ দল : মোমিনুল হক (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, ইয়াসির আলী রাব্বি, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহি, নাইম হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, রেজাউর রহমান রাজা, খালেদ আহমেদ, শহিদুল ইসলাম ও নাইম শেখ।