এক ইনিংসে প্রতিপক্ষের ১০টি উইকেট শিকারের অনন্য রেকর্ড গড়ে নিউজিল্যান্ডের স্পিনার আজাজ প্যাটেল নিজের নামটা লিখিয়েছিলেন অনিল কুম্বলে ও জিম লেকারের নামের পাশে। তার অমন রেকর্ড গড়া দিনে ভারতের বিপক্ষে মাত্র ৬২ রানে অল আউট হওয়ার লজ্জা পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। লজ্জার বলা হচ্ছে একারনে যে, ভারতের বিপক্ষে এটাই সর্বনি¤œ টেস্ট ইনিংস, এতদিন ধরে যা ছিলো দক্ষিন আফ্রিকানদের।
নিউজিল্যান্ডের সাথে দুই টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম দিনে চার উইকেটে তোলা ২২১ রান নিয়ে ভারতীয়রা মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শনিবার ব্যাটিংয়ে নেমেই আজাজ প্যাটেলের ঘূর্নি যাদুতে একে একে হারায় শেষ ছটি উইকেট। প্রথম দিনে ভারতের পতন ঘটা চারটা উইকেটই ছিলো মুম্বাইয়ে জন্ম নেয়া এই কিউই বোলারের । দ্বিতীয় দিনে বাকী ছয়টা উইকেট দখলের মধ্য দিয়ে টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় বোলার হিসেবে এক ইনিংসে ১০ উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে ভারতের প্রথম ইনিংস ৩২৫ রানে থামিয়ে দেন আজাজ। এই দশটা উইকেট শিকারের পথে ৪৭.৫ ওভার বোলিংয়ে ১১৯ রান খরচ করেন তিনি। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, তার এই নৈপুন্য ১৪৪ বছরের টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় সেরা এবং নিউজিল্যান্ডের সর্বকালের সেরা।
আজাজের ছোবল সামলে প্রথম ইনিংসে ভারতকে তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ এনে দেওয়ার কারিগর ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল। প্রথম দিনে ১২০ রানে অপরাজিত থাকা আগরওয়াল ১৫০ রানে আউট হওয়ার আগে ১৭ টি বাউন্ডারির সাথে হাঁকান চারটি ছক্কা। ভারতের হয়ে অক্ষর প্যাটেল জমা দেন ৫২ রান।
দ্বিতীয় দিনে ভারতের ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের ওপর দ্বিতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হানেন আজাজ। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহাকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে জড়িয়ে পূর্ণ করেন পাঁচ উইকেট। পরের বলেই তিনি বোল্ড করে দেন অশ্বিনকে। অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে দিনের শুরুর ধাক্কা সামাল দেন মায়াঙ্ক। দুইজনে কাটিয়ে দেন প্রথম সেশন। মধ্যাহ্ন বিরতির পর দ্বিতীয় ওভারে আবারো আঘাত করেন আজাজ। কট বিহাইন্ড হন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ১১৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ন করা অক্ষর প্যাটেলকে বেশিদূর যেতে দেননি আজাজ। রিভিউ নিয়েও বাঁচেননি অক্ষর।
পরের ওভারে আক্রমণে এসে বাকি দুই উইকেট নিয়ে ভারতের ইনিংস গুটিয়ে দেন আজাজ। গড়েন ‘পারফেক্ট টেন’ নেওয়ার কীর্তি। তার আগে এই অর্জন ছিল অনিল কুম্বলের। ১৯৯৯ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭৪ রানে ১০ উইকেট শিকার করেছিলেন সাবেক ভারতীয় লেগ স্পিনার। কুম্বলের আগে এক ইনিংসে ১০ উইকেট শিকারের কীর্তি টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম দেখিয়েছিলেন জিম লেকার। ১৯৫৬ সালের অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ৫৩ রানে ১০ উইকেট শিকার করেন সাবেক ইংলিশ অফ স্পিনার।
জবাবী পালায় ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা ম্লান করে দিয়েছেন প্যাটেলের কৃতিত্ব। কিউইরা অল আউট হয়েছ ৬২ রানে। কেননা, টেস্টে ভারতের বিপক্ষে যেকোনো দলের এটি সর্বনিম্ন স্কোর।
প্রথম দিন থেকেই স্পিনারদের জন্য সহায়ক হয়ে ওঠা ওয়াংখেড়ের উইকেটে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে ধস নামানোর সুর বেঁধে দেন মোহাম্মদ সিরাজ। ৪ ওভারের ছোট্ট স্পেলে ৩ উইকেট তুলে নেন এই পেসার। এরপর স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন চারটি উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে কিউইদের লজ্জায় ডোবানোটা ত্বরান্বিত করেন। কিউই ব্যাটারদের কেউই ২০ রানের কোটা পেরোতে পারেননি। দুই অংকেই যেতে পেরেছেন কেবল দুইজন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা কাইল জেমিসনের ১৭ রান।
প্রথম ইনিংসে ২৬৩ রানে এগিয়ে থেকেও কিউইদের ফলো অন না করিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছে টিম ইন্ডিয়া। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ভারত। এগিয়ে আছে এখন ৩৩২ রানে।
শনিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২১
এক ইনিংসে প্রতিপক্ষের ১০টি উইকেট শিকারের অনন্য রেকর্ড গড়ে নিউজিল্যান্ডের স্পিনার আজাজ প্যাটেল নিজের নামটা লিখিয়েছিলেন অনিল কুম্বলে ও জিম লেকারের নামের পাশে। তার অমন রেকর্ড গড়া দিনে ভারতের বিপক্ষে মাত্র ৬২ রানে অল আউট হওয়ার লজ্জা পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। লজ্জার বলা হচ্ছে একারনে যে, ভারতের বিপক্ষে এটাই সর্বনি¤œ টেস্ট ইনিংস, এতদিন ধরে যা ছিলো দক্ষিন আফ্রিকানদের।
নিউজিল্যান্ডের সাথে দুই টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম দিনে চার উইকেটে তোলা ২২১ রান নিয়ে ভারতীয়রা মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শনিবার ব্যাটিংয়ে নেমেই আজাজ প্যাটেলের ঘূর্নি যাদুতে একে একে হারায় শেষ ছটি উইকেট। প্রথম দিনে ভারতের পতন ঘটা চারটা উইকেটই ছিলো মুম্বাইয়ে জন্ম নেয়া এই কিউই বোলারের । দ্বিতীয় দিনে বাকী ছয়টা উইকেট দখলের মধ্য দিয়ে টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় বোলার হিসেবে এক ইনিংসে ১০ উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে ভারতের প্রথম ইনিংস ৩২৫ রানে থামিয়ে দেন আজাজ। এই দশটা উইকেট শিকারের পথে ৪৭.৫ ওভার বোলিংয়ে ১১৯ রান খরচ করেন তিনি। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, তার এই নৈপুন্য ১৪৪ বছরের টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় সেরা এবং নিউজিল্যান্ডের সর্বকালের সেরা।
আজাজের ছোবল সামলে প্রথম ইনিংসে ভারতকে তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ এনে দেওয়ার কারিগর ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল। প্রথম দিনে ১২০ রানে অপরাজিত থাকা আগরওয়াল ১৫০ রানে আউট হওয়ার আগে ১৭ টি বাউন্ডারির সাথে হাঁকান চারটি ছক্কা। ভারতের হয়ে অক্ষর প্যাটেল জমা দেন ৫২ রান।
দ্বিতীয় দিনে ভারতের ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের ওপর দ্বিতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হানেন আজাজ। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহাকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে জড়িয়ে পূর্ণ করেন পাঁচ উইকেট। পরের বলেই তিনি বোল্ড করে দেন অশ্বিনকে। অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে দিনের শুরুর ধাক্কা সামাল দেন মায়াঙ্ক। দুইজনে কাটিয়ে দেন প্রথম সেশন। মধ্যাহ্ন বিরতির পর দ্বিতীয় ওভারে আবারো আঘাত করেন আজাজ। কট বিহাইন্ড হন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ১১৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ন করা অক্ষর প্যাটেলকে বেশিদূর যেতে দেননি আজাজ। রিভিউ নিয়েও বাঁচেননি অক্ষর।
পরের ওভারে আক্রমণে এসে বাকি দুই উইকেট নিয়ে ভারতের ইনিংস গুটিয়ে দেন আজাজ। গড়েন ‘পারফেক্ট টেন’ নেওয়ার কীর্তি। তার আগে এই অর্জন ছিল অনিল কুম্বলের। ১৯৯৯ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭৪ রানে ১০ উইকেট শিকার করেছিলেন সাবেক ভারতীয় লেগ স্পিনার। কুম্বলের আগে এক ইনিংসে ১০ উইকেট শিকারের কীর্তি টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম দেখিয়েছিলেন জিম লেকার। ১৯৫৬ সালের অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ৫৩ রানে ১০ উইকেট শিকার করেন সাবেক ইংলিশ অফ স্পিনার।
জবাবী পালায় ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা ম্লান করে দিয়েছেন প্যাটেলের কৃতিত্ব। কিউইরা অল আউট হয়েছ ৬২ রানে। কেননা, টেস্টে ভারতের বিপক্ষে যেকোনো দলের এটি সর্বনিম্ন স্কোর।
প্রথম দিন থেকেই স্পিনারদের জন্য সহায়ক হয়ে ওঠা ওয়াংখেড়ের উইকেটে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে ধস নামানোর সুর বেঁধে দেন মোহাম্মদ সিরাজ। ৪ ওভারের ছোট্ট স্পেলে ৩ উইকেট তুলে নেন এই পেসার। এরপর স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন চারটি উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে কিউইদের লজ্জায় ডোবানোটা ত্বরান্বিত করেন। কিউই ব্যাটারদের কেউই ২০ রানের কোটা পেরোতে পারেননি। দুই অংকেই যেতে পেরেছেন কেবল দুইজন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা কাইল জেমিসনের ১৭ রান।
প্রথম ইনিংসে ২৬৩ রানে এগিয়ে থেকেও কিউইদের ফলো অন না করিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছে টিম ইন্ডিয়া। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ভারত। এগিয়ে আছে এখন ৩৩২ রানে।