বিপিএলের অষ্টম আসরে ঢাকার বিপক্ষে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ১০১ রান। ক্যাচ মিসের মহড়ায় কোনো অঘটন ছাড়াই তিন উইকেটের বিনিময়ে সহজ সেই লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে মোসাদ্দেক সৈকতের দল। ১৮ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বড় ব্যাবধানে আসরের প্রথম জয়ের স্বাদ পেল তারা।
ঢাকার দেওয়া ১০১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় সিলেট। মাশরাফির ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে রুবেল হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ২১ বলে ১৬ রান করা ক্যারিবীয় ওপেনার লেন্ডল সিমন্স।
ভালোর ইঙ্গিত দিয়ে মোহাম্মদ মিঠুন ১৫ বলে ১৭ রান করে আউট হলে ক্রিজে আসেন কলিন ইনগ্রাম, আগের ম্যাচে যিনি ছিলেন ওপেনারের ভূমিকায়। ৫৯ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতনের পর আর কোনো উইকেট না হারিয়েই জেতার সুযোগ ছিল সিলেটের সামনে।
তবে দলের যখন ২ রান প্রয়োজন, তখন ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়েন এনামুল হক বিজয়। তার আগে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৫ বলে করেন ৪৫ রান। সিমন্সের পর বিজয়ের উইকেটও শিকার করেন মাশরাফি। শেষপর্যন্ত ১৭ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সিলেট। একটি করে চার-ছক্কা হাঁকানো ইনগ্রাম ১৯ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে নির্ধারীত ২০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি ঢাকা। সিলেটের বোলারদের তোপে মাত্র ১৮.৪ ওভারেই অলআউট হয়ে গেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা। মোহাম্মদ শাহজাদ ৭ বলে ৫, তামিম ইকবাল ৫ বলে ৩ এবং জহরুলের ১০ বলে ৪ রান করে বিদায় নেন। চতুর্থ উইকেটে ওপেনার নাঈম শেখকে নিয়ে শুরুর চাপ সামলানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টাইগারদের টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় নাঈম ছিলেন একেবারেই বিপরীত। অতি-রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করে দলকে অস্বস্তিতে রাখেন।
এই জুটি ৪০ রানে যাওয়ার পর নাজমুল ইসলাম অপুর বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গেলে এলবিডব্লিউ হন নাঈম। সাজঘরে ফেরেন ৩০ বলে ১৫ রানের মন্থর ইনিংস খেলে।
একই ওভারে নাজমুল ইসলাম অপুর বলে ঢাকা হারায় আন্দ্রে রাসেলকেও, যিনি রানের খাতা খুলতে পারেননি। যদিও দুটি সিদ্ধান্তই ছিল বিতর্কিত। ৩টি চারে সাজানো রিয়াদের ২৬ বলে ৩৩ রানের ইনিংসও থামলে ঢাকা খেই হারিয়ে ফেলে।
শেষদিকে ভাগত হোমের দুই চার ও এক ছয়ের মারে ১৬ বলে ২১ এবং রুবেল হোসেনের এক চার ও এক ছয়ের মারে ৬ বলে ১২ রানের সুবাদে দলীয় ১০০ পূরণ হয় ঢাকার। শুভাগতকে ফিরিয়ে নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার তুলে নেন নাজমুল অপু। এছাড়া তাসকিন ৩ ও গাজীর শিকার ২ উইকেট।
মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২
বিপিএলের অষ্টম আসরে ঢাকার বিপক্ষে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ১০১ রান। ক্যাচ মিসের মহড়ায় কোনো অঘটন ছাড়াই তিন উইকেটের বিনিময়ে সহজ সেই লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে মোসাদ্দেক সৈকতের দল। ১৮ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বড় ব্যাবধানে আসরের প্রথম জয়ের স্বাদ পেল তারা।
ঢাকার দেওয়া ১০১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় সিলেট। মাশরাফির ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে রুবেল হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ২১ বলে ১৬ রান করা ক্যারিবীয় ওপেনার লেন্ডল সিমন্স।
ভালোর ইঙ্গিত দিয়ে মোহাম্মদ মিঠুন ১৫ বলে ১৭ রান করে আউট হলে ক্রিজে আসেন কলিন ইনগ্রাম, আগের ম্যাচে যিনি ছিলেন ওপেনারের ভূমিকায়। ৫৯ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতনের পর আর কোনো উইকেট না হারিয়েই জেতার সুযোগ ছিল সিলেটের সামনে।
তবে দলের যখন ২ রান প্রয়োজন, তখন ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়েন এনামুল হক বিজয়। তার আগে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৫ বলে করেন ৪৫ রান। সিমন্সের পর বিজয়ের উইকেটও শিকার করেন মাশরাফি। শেষপর্যন্ত ১৭ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সিলেট। একটি করে চার-ছক্কা হাঁকানো ইনগ্রাম ১৯ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে নির্ধারীত ২০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি ঢাকা। সিলেটের বোলারদের তোপে মাত্র ১৮.৪ ওভারেই অলআউট হয়ে গেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা। মোহাম্মদ শাহজাদ ৭ বলে ৫, তামিম ইকবাল ৫ বলে ৩ এবং জহরুলের ১০ বলে ৪ রান করে বিদায় নেন। চতুর্থ উইকেটে ওপেনার নাঈম শেখকে নিয়ে শুরুর চাপ সামলানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টাইগারদের টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় নাঈম ছিলেন একেবারেই বিপরীত। অতি-রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করে দলকে অস্বস্তিতে রাখেন।
এই জুটি ৪০ রানে যাওয়ার পর নাজমুল ইসলাম অপুর বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গেলে এলবিডব্লিউ হন নাঈম। সাজঘরে ফেরেন ৩০ বলে ১৫ রানের মন্থর ইনিংস খেলে।
একই ওভারে নাজমুল ইসলাম অপুর বলে ঢাকা হারায় আন্দ্রে রাসেলকেও, যিনি রানের খাতা খুলতে পারেননি। যদিও দুটি সিদ্ধান্তই ছিল বিতর্কিত। ৩টি চারে সাজানো রিয়াদের ২৬ বলে ৩৩ রানের ইনিংসও থামলে ঢাকা খেই হারিয়ে ফেলে।
শেষদিকে ভাগত হোমের দুই চার ও এক ছয়ের মারে ১৬ বলে ২১ এবং রুবেল হোসেনের এক চার ও এক ছয়ের মারে ৬ বলে ১২ রানের সুবাদে দলীয় ১০০ পূরণ হয় ঢাকার। শুভাগতকে ফিরিয়ে নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার তুলে নেন নাজমুল অপু। এছাড়া তাসকিন ৩ ও গাজীর শিকার ২ উইকেট।