কার্লো অ্যানচেলোত্তি একমাত্র কোচ যিনি ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় ৫টি ফুটবল লিগের শিরোপা জিতেছেন। রেকর্ড চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা থেকে আছেন মাত্র একটি জয় দূরে। অথচ সেই কোচই আছেন প্রচন্ড মানসিক চাপের মধ্যে।
লিভারপুলের বিপক্ষে শনিবার অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের বিষয়ে নিজের অবস্থা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এপিকে অ্যানচেলোত্তি বলেন, ‘আমার জন্য ম্যাচ শুরুর আগের তিন চার ঘন্টা খুব কঠিন যায়। তখন শারীরিকভাবেও সুস্থ বোধ করি না। আমার প্রচুর ঘাম হয়। হৃদ যন্ত্রের গতি বেড়ে যায়। সব নেতিবাচক চিন্তা মাথায় ঘুরতে থাকে। খেলা শুরু হলেই সব ঠিক হয়ে যায়। কোন ধরনের ঔষধের দরকার হয় না।’
অ্যানচেলোত্তি দারুন একটি মৌসুম শেষ করতে যাচেছন। মৌসুমের শুরু থেকেই লিগ লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল তার দল। চার ম্যাচ হাতে রেখেই জিতেছে লা লিগা। দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়েছেন চমৎকারভাবে। বিশেষ করে ভিনিসিয়ুস এবং করিম বেনজেমার মধ্যেকার বোঝা-পড়া দলকে বাড়তি সুবিধা এনে দিয়েছে।
প্যারিস সেন্ট জার্মেই, চেলসি এবং ম্যানচেস্টার সিটির মতো শক্তিশালী দলগুলোকে নকআউট পর্বে হারিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ উঠেছে ফাইনালে। সে প্রসঙ্গে কোচ বলেন, ‘আমরা নিজেদের মাঠের অসাধারণ পরিবেশের সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছি। সবার মধ্যে সম্পর্কটাও চমৎকার। দলে হয়তো সবাই সমান অবদান রাখতে পারছেন না। কিন্তু সবার মধ্যে সম্পর্কটা দারুন। সবাই নিজেদের উজাড় করে দিতে প্রস্তুত।’
হ্যাজার্ড, ইসকো, গ্যারেথ বেলকে খুব বেশী সুযোগ দিতে না পারা সম্পর্কে কোচ বলেন, ‘একাদশ গঠন করা খুবই কঠিন কাজ। অনেক সময় সবাইকে উজ্জীবিত রাখার জন্য সত্যি কথাও বলা যায় না। সবাই আমার সিদ্ধান্তকে সম্মান করে বিধায় রিয়ালের বর্তমান দল নিয়ে আমার কোন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি। আসলে আমরা সবাই সবাইকে যথাযথ সম্মান করি।’
শনিবার যদি রিয়াল মাদ্রিদ জিততে পারে তাহলে প্রথম কোচ হিসেবে অ্যানচেলোত্তি চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার কৃতিত্ব অর্জন করবেন। তিনি ছাড়া আরো দুইজন কোচ তিনটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। তারা হলেন লিভারপুলের বব পাইসলে এবং রিয়ালের জিনেদিন জিদান। অ্যানচেলোত্তি বলেন, ‘আমার জন্য এটা হবে বিরাট এক অর্জন। ফাইনালে যে কোন কিছুই ঘটতে পারে। আমি আসলে ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে ততটা ঘোরের মধ্যে নেই।’
তবে লিভারপুলের প্রতি তার অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে অন্যতম সফল ইংল্যান্ডের দলটি।
বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
কার্লো অ্যানচেলোত্তি একমাত্র কোচ যিনি ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় ৫টি ফুটবল লিগের শিরোপা জিতেছেন। রেকর্ড চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা থেকে আছেন মাত্র একটি জয় দূরে। অথচ সেই কোচই আছেন প্রচন্ড মানসিক চাপের মধ্যে।
লিভারপুলের বিপক্ষে শনিবার অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের বিষয়ে নিজের অবস্থা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এপিকে অ্যানচেলোত্তি বলেন, ‘আমার জন্য ম্যাচ শুরুর আগের তিন চার ঘন্টা খুব কঠিন যায়। তখন শারীরিকভাবেও সুস্থ বোধ করি না। আমার প্রচুর ঘাম হয়। হৃদ যন্ত্রের গতি বেড়ে যায়। সব নেতিবাচক চিন্তা মাথায় ঘুরতে থাকে। খেলা শুরু হলেই সব ঠিক হয়ে যায়। কোন ধরনের ঔষধের দরকার হয় না।’
অ্যানচেলোত্তি দারুন একটি মৌসুম শেষ করতে যাচেছন। মৌসুমের শুরু থেকেই লিগ লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল তার দল। চার ম্যাচ হাতে রেখেই জিতেছে লা লিগা। দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়েছেন চমৎকারভাবে। বিশেষ করে ভিনিসিয়ুস এবং করিম বেনজেমার মধ্যেকার বোঝা-পড়া দলকে বাড়তি সুবিধা এনে দিয়েছে।
প্যারিস সেন্ট জার্মেই, চেলসি এবং ম্যানচেস্টার সিটির মতো শক্তিশালী দলগুলোকে নকআউট পর্বে হারিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ উঠেছে ফাইনালে। সে প্রসঙ্গে কোচ বলেন, ‘আমরা নিজেদের মাঠের অসাধারণ পরিবেশের সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছি। সবার মধ্যে সম্পর্কটাও চমৎকার। দলে হয়তো সবাই সমান অবদান রাখতে পারছেন না। কিন্তু সবার মধ্যে সম্পর্কটা দারুন। সবাই নিজেদের উজাড় করে দিতে প্রস্তুত।’
হ্যাজার্ড, ইসকো, গ্যারেথ বেলকে খুব বেশী সুযোগ দিতে না পারা সম্পর্কে কোচ বলেন, ‘একাদশ গঠন করা খুবই কঠিন কাজ। অনেক সময় সবাইকে উজ্জীবিত রাখার জন্য সত্যি কথাও বলা যায় না। সবাই আমার সিদ্ধান্তকে সম্মান করে বিধায় রিয়ালের বর্তমান দল নিয়ে আমার কোন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি। আসলে আমরা সবাই সবাইকে যথাযথ সম্মান করি।’
শনিবার যদি রিয়াল মাদ্রিদ জিততে পারে তাহলে প্রথম কোচ হিসেবে অ্যানচেলোত্তি চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার কৃতিত্ব অর্জন করবেন। তিনি ছাড়া আরো দুইজন কোচ তিনটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। তারা হলেন লিভারপুলের বব পাইসলে এবং রিয়ালের জিনেদিন জিদান। অ্যানচেলোত্তি বলেন, ‘আমার জন্য এটা হবে বিরাট এক অর্জন। ফাইনালে যে কোন কিছুই ঘটতে পারে। আমি আসলে ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে ততটা ঘোরের মধ্যে নেই।’
তবে লিভারপুলের প্রতি তার অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে অন্যতম সফল ইংল্যান্ডের দলটি।