রাত পোহালেই শুরু হবে আরেকটি ফুটবল মৌসুম। ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের মৌসুম শুরু হয় ১ জুলাই হতে। তাই খেলোয়াড়দের সাথে চুক্তির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ৩০ জুন পর্যন্ত। ৩০ জুনের পর অনেক খেলোয়াড় হয়ে যান চুক্তি বিহীন এবং তিনি কোন ধরনের ট্রান্সফার ফি ছাড়াই যোগ দিতে পারেন তার ইচ্ছামতো পছন্দের দলে। যেমন গত মৌসুমে বার্সেলোনা থেকে লিওনেল মেসি এবং রিয়াল মাদ্রিদ থেকে সার্জিও রামোস যোগ দিয়েছিলেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে।
এবারও বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় হয়ে যাচ্ছেন চুক্তিবিহীন। ১ জুলাই থেকে তারা কোন ধরনের ট্রান্সফার ফি ছাড়াই যে কোন ক্লাবে যোগ দিতে পারবেন। মৌসুম শুরু হলেও খেলা মাঠে গড়াতে সময় লাগবে আরো কিছুদিন। এ সময়ের মধ্যে ক্লাবগুলো নিজেদের গুছিয়ে নেবে। খেলোয়াড়দের জন্য এ সময়টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এবারের বিশ^কাপ শুরু হবে নভেম্বর মাসে। অর্থাৎ ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবল মৌসুমের মাঝখানে হবে খেলা। তাই বিশ^কাপের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য খেলতে হবে ক্লাব ফুটবল নিয়মিত। যারা বিশ^কাপে খেলার আশা করছেন তারা এমন ক্লাবে যেতে চাইবেন যেন নিজেকে জাতীয় দলে অপরিহার্য করে তুলে ধরতে পারেন।
ইসকো : জাতীয় দলে খেলার আশায় রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে যাচ্ছেন ইসকো। নয় মৌসুম রিয়ালে খেলার পর তিনি অন্যত্র যাচ্ছেন। নিকট অতীতে তিনি নিয়মিত খেলার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। কিন্তু বিশ^কাপে খেলতে চান। যে কারণে রিয়াল ছেড়ে এমন কোন দলে তিনি যেতে যান যেন নিয়মিত খেলার সুযোগ পান। সম্ভবত তিনি যোগ দিতে যাচ্ছেন স্পেনেরই আরেক দল সেভিয়ায়।
লুইস সুয়ারেজ : অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে দুই মৌসুম খেলার পরই অন্যত্র চলে যেতে হচ্ছে উরুগুয়ের এ তারকাকে। আর্থিক কারণে বার্সেলোনা ছাড়তে হয়েছিল তাকে। এখন ছাড়তে হচ্ছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। তিনি অবশ্য ইউরোপেই থাকছেন না। তিনি যাচ্ছেন রিভার প্লেটে। যেখানে খেলে তিনি নিজেকে বিশ^কাপের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে চান।
ওসামনে ডেম্বেলে : বর্তমান ক্লাব বার্সেলোনা তাকে ধরে রাখতে চাইলেও আর্থিক সুবিধা নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় অন্য কোথাও যাওয়ার পথ খুজছেন ফরাসী এ খেলোয়াড়। বার্সেলোনা জানিয়ে দিয়েছে ক্লাবের বর্তমান অবস্থায় তাদের পক্ষে ডেম্বেলের বেতন ভাতা বাড়ানো সম্ভব নয়। ডেম্বেলেকে দলে চাইছে ফ্রান্সের পিএসজি। তিনি হয়তো সেখানে যেতে পারেন।
পল পগবা : ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ব্যর্থ একটি অধ্যায় কাটিয়ে ইউভেন্তাসে যাচ্ছেন পল পগবা। অনেক আশা নিয়ে ছয় বছর আগে তাকে দলে নিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু তিনি প্রত্যাশা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছেন। সম্পর্ক খারাপ হয়েছে দলের কোচ এবং কর্তৃপক্ষের সাথেও। তাই তাকে আর রাখবে না ম্যানইউ। ইউভেন্তাসই ছয় মৌসুম আগে সাড়ে দশ কোটি ইউরোর বিনিময়ে বিক্রি করেছিল পগবাকে। এখন তারা বিনে পয়সায় পাচ্ছে তাকে।
ডি মারিয়া : পিএসজির সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন ডি মারিয়া। তাকে নিতে চেয়েছিল বার্সেলোনা। কিন্তু আর্থিক কারণে সেটা হয়নি। তিনি যাচ্ছেন ইটালিয়ান দল ইউভেন্তাসে।
পাওলো দিবালা : ডি মারিয়া এবং পগবা যাচ্ছেন ইউভেন্তাসে। আর সেখানকার খেলোয়াড় দিবালা যাচ্ছেন অন্যত্র। দারুন প্রতিভাবান হওয়া সত্ত্বেও ইউভেন্তাসে তেমন সুবিধা করতে পারেননি দিবালা। তাই তাকে দল ছাড়তে হচ্ছে। অবশ্য এ জন্য তাকে খুব বেশী দূর যেতে হচ্ছে না। ইটালিরই আরেক দল ইন্টার মিলানে যাবেন এ আর্জেন্টাইন।
বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২
রাত পোহালেই শুরু হবে আরেকটি ফুটবল মৌসুম। ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের মৌসুম শুরু হয় ১ জুলাই হতে। তাই খেলোয়াড়দের সাথে চুক্তির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ৩০ জুন পর্যন্ত। ৩০ জুনের পর অনেক খেলোয়াড় হয়ে যান চুক্তি বিহীন এবং তিনি কোন ধরনের ট্রান্সফার ফি ছাড়াই যোগ দিতে পারেন তার ইচ্ছামতো পছন্দের দলে। যেমন গত মৌসুমে বার্সেলোনা থেকে লিওনেল মেসি এবং রিয়াল মাদ্রিদ থেকে সার্জিও রামোস যোগ দিয়েছিলেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে।
এবারও বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় হয়ে যাচ্ছেন চুক্তিবিহীন। ১ জুলাই থেকে তারা কোন ধরনের ট্রান্সফার ফি ছাড়াই যে কোন ক্লাবে যোগ দিতে পারবেন। মৌসুম শুরু হলেও খেলা মাঠে গড়াতে সময় লাগবে আরো কিছুদিন। এ সময়ের মধ্যে ক্লাবগুলো নিজেদের গুছিয়ে নেবে। খেলোয়াড়দের জন্য এ সময়টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এবারের বিশ^কাপ শুরু হবে নভেম্বর মাসে। অর্থাৎ ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবল মৌসুমের মাঝখানে হবে খেলা। তাই বিশ^কাপের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য খেলতে হবে ক্লাব ফুটবল নিয়মিত। যারা বিশ^কাপে খেলার আশা করছেন তারা এমন ক্লাবে যেতে চাইবেন যেন নিজেকে জাতীয় দলে অপরিহার্য করে তুলে ধরতে পারেন।
ইসকো : জাতীয় দলে খেলার আশায় রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে যাচ্ছেন ইসকো। নয় মৌসুম রিয়ালে খেলার পর তিনি অন্যত্র যাচ্ছেন। নিকট অতীতে তিনি নিয়মিত খেলার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। কিন্তু বিশ^কাপে খেলতে চান। যে কারণে রিয়াল ছেড়ে এমন কোন দলে তিনি যেতে যান যেন নিয়মিত খেলার সুযোগ পান। সম্ভবত তিনি যোগ দিতে যাচ্ছেন স্পেনেরই আরেক দল সেভিয়ায়।
লুইস সুয়ারেজ : অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে দুই মৌসুম খেলার পরই অন্যত্র চলে যেতে হচ্ছে উরুগুয়ের এ তারকাকে। আর্থিক কারণে বার্সেলোনা ছাড়তে হয়েছিল তাকে। এখন ছাড়তে হচ্ছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। তিনি অবশ্য ইউরোপেই থাকছেন না। তিনি যাচ্ছেন রিভার প্লেটে। যেখানে খেলে তিনি নিজেকে বিশ^কাপের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে চান।
ওসামনে ডেম্বেলে : বর্তমান ক্লাব বার্সেলোনা তাকে ধরে রাখতে চাইলেও আর্থিক সুবিধা নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় অন্য কোথাও যাওয়ার পথ খুজছেন ফরাসী এ খেলোয়াড়। বার্সেলোনা জানিয়ে দিয়েছে ক্লাবের বর্তমান অবস্থায় তাদের পক্ষে ডেম্বেলের বেতন ভাতা বাড়ানো সম্ভব নয়। ডেম্বেলেকে দলে চাইছে ফ্রান্সের পিএসজি। তিনি হয়তো সেখানে যেতে পারেন।
পল পগবা : ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ব্যর্থ একটি অধ্যায় কাটিয়ে ইউভেন্তাসে যাচ্ছেন পল পগবা। অনেক আশা নিয়ে ছয় বছর আগে তাকে দলে নিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু তিনি প্রত্যাশা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছেন। সম্পর্ক খারাপ হয়েছে দলের কোচ এবং কর্তৃপক্ষের সাথেও। তাই তাকে আর রাখবে না ম্যানইউ। ইউভেন্তাসই ছয় মৌসুম আগে সাড়ে দশ কোটি ইউরোর বিনিময়ে বিক্রি করেছিল পগবাকে। এখন তারা বিনে পয়সায় পাচ্ছে তাকে।
ডি মারিয়া : পিএসজির সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন ডি মারিয়া। তাকে নিতে চেয়েছিল বার্সেলোনা। কিন্তু আর্থিক কারণে সেটা হয়নি। তিনি যাচ্ছেন ইটালিয়ান দল ইউভেন্তাসে।
পাওলো দিবালা : ডি মারিয়া এবং পগবা যাচ্ছেন ইউভেন্তাসে। আর সেখানকার খেলোয়াড় দিবালা যাচ্ছেন অন্যত্র। দারুন প্রতিভাবান হওয়া সত্ত্বেও ইউভেন্তাসে তেমন সুবিধা করতে পারেননি দিবালা। তাই তাকে দল ছাড়তে হচ্ছে। অবশ্য এ জন্য তাকে খুব বেশী দূর যেতে হচ্ছে না। ইটালিরই আরেক দল ইন্টার মিলানে যাবেন এ আর্জেন্টাইন।