টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোচিং স্টাফে নতুন একজন যোগ দিচ্ছেন। বাংলাদেশ দলের ‘টেকনিকাল কনসালটেন্ট’ হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার ও বিশ্ব ক্রিকেটে মোটামুটি পরিচিত কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আজ শুক্রবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে নিশ্চিত করেন শ্রীরামকে নিয়োগ দেওয়ার কথা। কুড়ি-বিশের ক্রিকেটে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙার চেষ্টায় বিসিবির এই উদ্যোগ।
‘শ্রীরামকে আমরা শর্ট লিস্ট করেছিলাম, সে ওই লিস্টে ছিল। আমাদের এখানে ২১ তারিখ দুপুরবেলা আসার কথা তার। সে কোচ হিসেবে আসছে না, নিশ্চিতভাবেই প্রধান কোচ হিসেবে আসছে না। সে আসছে টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত থাকবে সে’ জানান পাপন।
বর্তমান প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব থেকে মুক্তি দিতে চায় বিসিবি। ডমিঙ্গো, শ্রীরাম ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে আগামী সোমবার এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান বিসিবি সভাপতি।
শ্রীরামকে দায়িত্ব দেওয়ার কারণ হিসেবে বিসিবি সভাপতি জানালেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার অভিজ্ঞতার কথা।
‘কতগুলো বিবেচনায় তাকে আনা হয়েছে। যেহেতু আইপিএল দলের সঙ্গে কাজ করছে, তার সম্পৃক্ততা আছে। আমরা এমন কাউকে চাচ্ছিলাম, যার ‘হাই গ্রেড’ টি-টোয়েন্টির অভিজ্ঞতা আছে। এটা একটা কারণ।’
কারণ আরও আছে, বললেন পাপন। ‘অস্ট্রেলিয়াতে এবার বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়াতে সে বহুদিন কাজ করেছে। এই দুটি কারণে তাকে আমরা বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিয়েছি টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে।’
বিসিবি সভাপতির ভাষায়, শ্রীরামকে নিয়োগ দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের খোলনলচে পাল্টে ফেলার শুরু হলো। এই সংস্করণের কোচিং স্টাফ পুরো আলাদা করে দিতে চায় বিসিবি।
খেলোয়াড়ি জীবনে শ্রীরাম ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরমার হলেও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বলার মতো তেমন উজ্জ্বল নয়। ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল, এই সময়ে ৮টি ওয়ানডে খেলেছেন, শেষটি বাংলাদেশের মাটিতেই। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের রঞ্জি রেকর্ড অবশ্য বেশ ভাল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫২.৯৯ গড়ে তার রান ৯ হাজার ৫৩৯, বাঁহাতি স্পিনে উইকেট ৮৫টি।
তবে ২০১২ সালে খেলা ছাড়ার পর কোচ হিসেবে দ্রুতই জায়গা করে নেন বিশ্ব ক্রিকেটে। আইপিএলে বিভিন্ন দলে নানা ভূমিকায় কাজ করেছেন।
অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলে কোচ হিসেবে ভাল কাজের ফল হিসেবে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যান। ২০১৬ সালে ড্যারেন লিমান অস্ট্রেলিয়ার কোচ হওয়ার পর স্পিন পরামর্শক করা হয় শ্রীরামকে।
অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার ন্যাথান লায়ন, অ্যাডাম জাম্পা, অ্যাশটন অ্যাগারদের শানিত করে তোলায় তার বড় ভূমিকা আছে বলে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে আলোচনা আছে। এর পাশাপাশি শ্রীরাম বিভিন্ন আইপিএল দলেও কাজ করছিলেন।
ছয় বছর গত জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের দায়িত্ব ছেড়ে দেন শ্রীরাম। কারণ আইপিএলের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের কোচিংয়ে পুরো মনোযোগ দেওয়া।
৪৬ বছর বয়সী এই কোচ এবার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন বাংলাদেশে।
শুক্রবার, ১৯ আগস্ট ২০২২
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোচিং স্টাফে নতুন একজন যোগ দিচ্ছেন। বাংলাদেশ দলের ‘টেকনিকাল কনসালটেন্ট’ হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার ও বিশ্ব ক্রিকেটে মোটামুটি পরিচিত কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আজ শুক্রবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে নিশ্চিত করেন শ্রীরামকে নিয়োগ দেওয়ার কথা। কুড়ি-বিশের ক্রিকেটে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙার চেষ্টায় বিসিবির এই উদ্যোগ।
‘শ্রীরামকে আমরা শর্ট লিস্ট করেছিলাম, সে ওই লিস্টে ছিল। আমাদের এখানে ২১ তারিখ দুপুরবেলা আসার কথা তার। সে কোচ হিসেবে আসছে না, নিশ্চিতভাবেই প্রধান কোচ হিসেবে আসছে না। সে আসছে টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত থাকবে সে’ জানান পাপন।
বর্তমান প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব থেকে মুক্তি দিতে চায় বিসিবি। ডমিঙ্গো, শ্রীরাম ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে আগামী সোমবার এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান বিসিবি সভাপতি।
শ্রীরামকে দায়িত্ব দেওয়ার কারণ হিসেবে বিসিবি সভাপতি জানালেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার অভিজ্ঞতার কথা।
‘কতগুলো বিবেচনায় তাকে আনা হয়েছে। যেহেতু আইপিএল দলের সঙ্গে কাজ করছে, তার সম্পৃক্ততা আছে। আমরা এমন কাউকে চাচ্ছিলাম, যার ‘হাই গ্রেড’ টি-টোয়েন্টির অভিজ্ঞতা আছে। এটা একটা কারণ।’
কারণ আরও আছে, বললেন পাপন। ‘অস্ট্রেলিয়াতে এবার বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়াতে সে বহুদিন কাজ করেছে। এই দুটি কারণে তাকে আমরা বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিয়েছি টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে।’
বিসিবি সভাপতির ভাষায়, শ্রীরামকে নিয়োগ দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের খোলনলচে পাল্টে ফেলার শুরু হলো। এই সংস্করণের কোচিং স্টাফ পুরো আলাদা করে দিতে চায় বিসিবি।
খেলোয়াড়ি জীবনে শ্রীরাম ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরমার হলেও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বলার মতো তেমন উজ্জ্বল নয়। ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল, এই সময়ে ৮টি ওয়ানডে খেলেছেন, শেষটি বাংলাদেশের মাটিতেই। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের রঞ্জি রেকর্ড অবশ্য বেশ ভাল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫২.৯৯ গড়ে তার রান ৯ হাজার ৫৩৯, বাঁহাতি স্পিনে উইকেট ৮৫টি।
তবে ২০১২ সালে খেলা ছাড়ার পর কোচ হিসেবে দ্রুতই জায়গা করে নেন বিশ্ব ক্রিকেটে। আইপিএলে বিভিন্ন দলে নানা ভূমিকায় কাজ করেছেন।
অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলে কোচ হিসেবে ভাল কাজের ফল হিসেবে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যান। ২০১৬ সালে ড্যারেন লিমান অস্ট্রেলিয়ার কোচ হওয়ার পর স্পিন পরামর্শক করা হয় শ্রীরামকে।
অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার ন্যাথান লায়ন, অ্যাডাম জাম্পা, অ্যাশটন অ্যাগারদের শানিত করে তোলায় তার বড় ভূমিকা আছে বলে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে আলোচনা আছে। এর পাশাপাশি শ্রীরাম বিভিন্ন আইপিএল দলেও কাজ করছিলেন।
ছয় বছর গত জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের দায়িত্ব ছেড়ে দেন শ্রীরাম। কারণ আইপিএলের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের কোচিংয়ে পুরো মনোযোগ দেওয়া।
৪৬ বছর বয়সী এই কোচ এবার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন বাংলাদেশে।