ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভার মালাং শহরে কানজুরুহান ফুটবল স্টেডিয়ামে পুলিশের সঙ্গে সমর্থকদের সংঘর্ষের পর পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৪ জনে। শনিবার (১ অক্টোবর) রাতে ম্যাচ শেষে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পর পদদলিত হয়ে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। আরেমা এফসি প্রতিদ্বন্দ্বী পারসেবায়া সুরাবায়ার কাছে হেরে যাওয়ার পর পরাজিত দলের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
ফুটবল মাঠে এর আগেও বেশ কিছু বড় বড় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রাণ হারায় অনেক মানুষ।
রোববার (২ অক্টোবর) ফুটবল মাঠে সংঘটিত ১০টি বড় সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
পেরু, মে ১৯৬৪
১৯৬৪ সালের ২৪ মে পেরুর রাজধানী লিমার জাতীয় স্টেডিয়ামে পেরু-আর্জেন্টিনা অলিম্পিক বাছাইপর্বের ম্যাচে পদদলিত হয়ে ৩২০ জন নিহত ও ১ হাজারের বেশি মানুষ আহত হন।
রাশিয়া, অক্টোবর ১৯৮২
১৯৮২ সালের ২০ অক্টোবর মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে উয়েফা কাপের ম্যাচে মুখোমুখি হয় স্পার্টাক মস্কো বনাম ডাচ হারলেম। সেই ম্যাচে সিঁড়িতে পিষ্ট হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। আনুষ্ঠানিকভাবে ৬৬ জন নিহতের কথা জানানো হয়, এর মধ্যে ৪৫ জনই কিশোর। কিন্তু সোভিয়েতস্কি স্পোর্ট অনুসারে, নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। তারা জানায়, ৩৪০ জন নিহত হয়েছে।
ঘানা, মে ২০০১
২০০১ সালের ৯ মে ঘানার রাজধানী আক্রায় মুখোমুখি হয় হার্টস অব ওকস বনাম কুমাসি। কুমাসি ম্যাচে হারলে সংঘর্ষে জড়ায় তাঁদের সমর্থকেরা। তারা চেয়ার ভেঙে মাঠে নিক্ষেপ করে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এ সময় হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে ১২৬ জনের প্রাণ যায়।
ইংল্যান্ড, এপ্রিল ১৯৮৯
১৯৮৯ সালের ১৫ এপ্রিল শেফিল্ডের হিলসবরো স্টেডিয়ামে এফএ কাপের সেমিফাইনালে সংঘর্ষে ৯৭ জন লিভারপুল সমর্থক নিহত হন।
গুয়াতেমালা, অক্টোবর ১৯৯৬
১৯৯৬ সালের ১৬ অক্টোবর মাতেও ফ্লোরেস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয় গুয়াতেমালা বনাম কোস্টারিকা। সেই ম্যাচে পদদলিত হয়ে প্রাণ হারায় ৮০ জন দর্শক।
স্কটল্যান্ড, জানুয়ারি ১৯৭১
১৯৭১ সালের ২ জানুয়ারি আইব্রক্স স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় রেঞ্জারস বনাম শেলটিক ডার্বি। সেই ম্যাচে সংঘর্ষে প্রাণ হারায় ৬৬ জন।
মিসর, ফেব্রয়ারি ২০১২
২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিসরের পোর্ট সাইদ শহরে আল-মাসরি ও আল-আহলি ক্লাবের ম্যাচ শেষে ভক্তদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে নিহত হয় ৭৪ জন।
দক্ষিণ আফ্রিকা, এপ্রিল ২০০১
২০০১ সালের ১১ এপ্রিল জোহানেসবার্গের এলিস পার্ক স্টেডিয়ামে অরল্যান্ডো পাইরেটস বনাম কাইজার চিফসের ম্যাচে পদদলিত হয়ে নিহত হন ৪৩ জন।
বেলজিয়াম, মে ১৯৮৫
১৯৮৫ সালের ২৯ মে ব্রাসেলসের হেইসেল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় জুভেন্টাস বনাম লিভারপুল। ম্যাচের আগে ভক্তদের মধ্যে সংঘর্ষে ৩৯ জন নিহত হন।
ক্যামেরুন, জানুয়ারি ২০২২
২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি ক্যামেরুনের রাজধানী ইয়াউন্দেতে আফ্রিকান কাপ অব নেশনস টুর্নামেন্টের ম্যাচে মুখোমুখি হয় ক্যামেরুন ও কমোরোস। সেখানে দর্শকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পদদলিত হয়ে ৮ জন নিহত হন।
রোববার, ০২ অক্টোবর ২০২২
ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভার মালাং শহরে কানজুরুহান ফুটবল স্টেডিয়ামে পুলিশের সঙ্গে সমর্থকদের সংঘর্ষের পর পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৪ জনে। শনিবার (১ অক্টোবর) রাতে ম্যাচ শেষে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পর পদদলিত হয়ে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। আরেমা এফসি প্রতিদ্বন্দ্বী পারসেবায়া সুরাবায়ার কাছে হেরে যাওয়ার পর পরাজিত দলের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
ফুটবল মাঠে এর আগেও বেশ কিছু বড় বড় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রাণ হারায় অনেক মানুষ।
রোববার (২ অক্টোবর) ফুটবল মাঠে সংঘটিত ১০টি বড় সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
পেরু, মে ১৯৬৪
১৯৬৪ সালের ২৪ মে পেরুর রাজধানী লিমার জাতীয় স্টেডিয়ামে পেরু-আর্জেন্টিনা অলিম্পিক বাছাইপর্বের ম্যাচে পদদলিত হয়ে ৩২০ জন নিহত ও ১ হাজারের বেশি মানুষ আহত হন।
রাশিয়া, অক্টোবর ১৯৮২
১৯৮২ সালের ২০ অক্টোবর মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে উয়েফা কাপের ম্যাচে মুখোমুখি হয় স্পার্টাক মস্কো বনাম ডাচ হারলেম। সেই ম্যাচে সিঁড়িতে পিষ্ট হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। আনুষ্ঠানিকভাবে ৬৬ জন নিহতের কথা জানানো হয়, এর মধ্যে ৪৫ জনই কিশোর। কিন্তু সোভিয়েতস্কি স্পোর্ট অনুসারে, নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। তারা জানায়, ৩৪০ জন নিহত হয়েছে।
ঘানা, মে ২০০১
২০০১ সালের ৯ মে ঘানার রাজধানী আক্রায় মুখোমুখি হয় হার্টস অব ওকস বনাম কুমাসি। কুমাসি ম্যাচে হারলে সংঘর্ষে জড়ায় তাঁদের সমর্থকেরা। তারা চেয়ার ভেঙে মাঠে নিক্ষেপ করে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এ সময় হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে ১২৬ জনের প্রাণ যায়।
ইংল্যান্ড, এপ্রিল ১৯৮৯
১৯৮৯ সালের ১৫ এপ্রিল শেফিল্ডের হিলসবরো স্টেডিয়ামে এফএ কাপের সেমিফাইনালে সংঘর্ষে ৯৭ জন লিভারপুল সমর্থক নিহত হন।
গুয়াতেমালা, অক্টোবর ১৯৯৬
১৯৯৬ সালের ১৬ অক্টোবর মাতেও ফ্লোরেস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয় গুয়াতেমালা বনাম কোস্টারিকা। সেই ম্যাচে পদদলিত হয়ে প্রাণ হারায় ৮০ জন দর্শক।
স্কটল্যান্ড, জানুয়ারি ১৯৭১
১৯৭১ সালের ২ জানুয়ারি আইব্রক্স স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় রেঞ্জারস বনাম শেলটিক ডার্বি। সেই ম্যাচে সংঘর্ষে প্রাণ হারায় ৬৬ জন।
মিসর, ফেব্রয়ারি ২০১২
২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিসরের পোর্ট সাইদ শহরে আল-মাসরি ও আল-আহলি ক্লাবের ম্যাচ শেষে ভক্তদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে নিহত হয় ৭৪ জন।
দক্ষিণ আফ্রিকা, এপ্রিল ২০০১
২০০১ সালের ১১ এপ্রিল জোহানেসবার্গের এলিস পার্ক স্টেডিয়ামে অরল্যান্ডো পাইরেটস বনাম কাইজার চিফসের ম্যাচে পদদলিত হয়ে নিহত হন ৪৩ জন।
বেলজিয়াম, মে ১৯৮৫
১৯৮৫ সালের ২৯ মে ব্রাসেলসের হেইসেল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় জুভেন্টাস বনাম লিভারপুল। ম্যাচের আগে ভক্তদের মধ্যে সংঘর্ষে ৩৯ জন নিহত হন।
ক্যামেরুন, জানুয়ারি ২০২২
২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি ক্যামেরুনের রাজধানী ইয়াউন্দেতে আফ্রিকান কাপ অব নেশনস টুর্নামেন্টের ম্যাচে মুখোমুখি হয় ক্যামেরুন ও কমোরোস। সেখানে দর্শকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পদদলিত হয়ে ৮ জন নিহত হন।