লিভারপুল প্রিমিয়ার লিগের সাম্প্রতিক ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ২-০ গোলে রেঞ্জার্সকে পরাজিত করে এ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে। প্রথমার্ধে ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ড ফ্রি কিক থেকে গোল করার পর দ্বিতীয়ার্ধে মোহামেদ সালাহ পেনাল্টি থেকে করেন দ্বিতীয় গোল।

এ ম্যাচে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে লিভারপুল। তিন ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ছয় পয়েন্ট। ন্যাপোলি নয় পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। স্কটিশ দলটি এ ম্যাচে প্রতিপক্ষের উপর বলতে গেলে কোন প্রভাবই ফেলতে পারেনি। তারা এখন পর্যন্ত কোন পয়েন্টও সংগ্রহ করতে পারেনি।

প্রিমিয়ার লিগে তেমন সুবিধা করতে না পারা লিভারপুল এ ম্যাচে আক্রমনাত্মক ফুটবল খেলে। আক্রমনভাগে চার জন খেলোয়াড় নিয়ে একাদশ গঠন করেন কোচ ইয়োর্গেন ক্লপ। সালাহ ছাড়াও ছিলেন দিয়োগো জোতা, লুইস দিয়াজ এবং ডারউইন নুনেজ। অপর দিকে রেঞ্জার্স মাত্র একজন স্ট্রাইকার নিয়ে মাঠে নামে। আলফ্রেডো মোরালেসকে সেভাবে কোন বলই দিতে পারেনি অন্যরা।

এ ম্যাচে জয়ী হওয়ায় বেশ খুশী লিভারপুলের কোচ ক্লপ। তিনি মনে করেন এ জয় দলের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ^াসী করে তুলবে। বিশেষ করে তিনি প্রশংসা করেন আর্নল্ডের। সাম্প্রতিক সময়ে আর্নল্ড বেশ সমালোচনার শিকার হয়েছেন। আর্নল্ড তেমন একটা ভাল করতে না পারায় ইংল্যান্ড দলের হয়ে তিনি বিশ^কাপে খেলতে পারবেন কিনা তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

লিভারপুলের নুনেজ প্রথমার্ধে হ্যাটট্রিক করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকতো না। কিন্তু প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক ম্যাকগ্রেগরের দুরন্ত সেভ তাকে গোল বঞ্চিত রেখেছে। দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুলের পেনাল্টিটিও আদায় করেন দিয়াজ। তিনি ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় লিভারপুল এবং সেটি থেকে গোল করেন সালাহ।

সাম্প্রতিক সময়ে ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইকও বেশ সমালোচিত হয়েছেন। এ ম্যাচে অবশ্য তাকে তেমন কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়নি। লিভারপুলের প্রশংসা করেছেন প্রতিপক্ষের কোচ জিওভানি ভ্যান ব্রোঙ্কর্স্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা খেলেছি ইউরোপের অন্যতম সেরা একটি দলের বিপক্ষে। তাদের মতো দলের বিপক্ষে জেতার জন্য যেভাবে খেলা দরকার ছিল সেভাবে আমরা খেলতে পারিনি।’ তিনি প্রশংসা করেন গোলরক্ষক ম্যাকগ্রেগরের। গোলরক্ষক দারুন দক্ষতা না দেখালে পরাজয়ের ব্যবধান আরো অনেক বড় হতে পারতো।