নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে দারুণ সময় কাটে নিগার সুলতানা জ্যোতির। দলকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার। দারুণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে আইসিসির মাসসেরার পুরস্কার ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’- এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা হয়েছে বাংলাদেশের অধিনায়কের।
সেপ্টেম্বর মাসের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে করেই এই তালিকা প্রকাশ করেছে আইসিসি। সেরার লড়াইয়ে নিগারের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই ভারতীয় ক্রিকেটার হারমানপ্রীত কৌর এবং স্মৃতি মান্ধানা। বাংলাদেশের দ্বিতীয় নারী ক্রিকেটার হিসেবে মাসসেরার মনোনয়ন পেলেন নিগার। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে গত বছরের নভেম্বরে মনোনয়ন পেয়েছিলেন বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার।
এশিয়া কাপের আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দলের সঙ্গে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও দারুণ ছিল নিগারের। ৫ ম্যাচে ৪৫ গড়ে তিনি করেন ১৮০ রান। প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন ৬৭ রানের ইনিংস, এরপর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে করেন অপরাজিত ৫৬ রান। টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ, ফাইনালে উঠেই আগামী বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত হয় নিগারের দলের।
অন্যদিকে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত মনোনয়ন পেয়েছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পারফরম্যান্স দিয়ে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ সাদামাটা কাটানোর পর ৩ ওয়ানডেতে তিনি করেন ২২১ রান। প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ৭৪ রানের ইনিংসের পর দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেন ১৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। তাতেই ২৩ বছর পর ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয় ভারতের।
স্মৃতি অবশ্য দুই সিরিজেই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেছেন। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭৯ রানের পর প্রথম ওয়ানডেতে এ বাঁহাতি ওপেনার খেলেন ৮১ রানের ইনিংস। দুই সংস্করণ মিলিয়ে গত মাসে তাঁর গড় ছিল ৫০-এর ওপরে, টি-টোয়েন্টিতে স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩৭।
এছাড়া ছেলেদের মাসসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকাও প্রকাশ করেছে আইসিসি। পাকিস্তানের হয়ে রানের বন্যা বইয়ে দেওয়া মোহাম্মদ রিজওয়ান আছেন এই তালিকায়। এছাড়াও অজি অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনের পাশাপাশি আছেন ভারতীয় স্পিনিং অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল। মূলত সেপ্টেম্বর মাসে অসাধারণ পারফর্ম করার স্বীকৃতিই পেয়েছেন এই তিন ক্রিকেটার।
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর ব্যাটসম্যান রিজওয়ানেরও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে দারুণ ছিল গত মাস। এশিয়া কাপে ফাইনাল খেলা পাকিস্তানের হয়ে তিনটি ফিফটি করেন ওই টুর্নামেন্টে, এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেন আরও চারটি ফিফটি। সেপ্টেম্বরে ৬৯.১২ গড়ে ৫৫৩ রান করেছেন এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংসের পর ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও দুর্দান্ত ছিলেন খেলেছেন গ্রিন। তাঁর ৩০ বলে অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংসে প্রথম ম্যাচে জেতে অস্ট্রেলিয়া, সিরিজে ৩৯.৩৩ গড়ে ১১৮ রান করে দলের সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহক হন এই অলরাউন্ডার। অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে গ্রিন কেন নেই, সে আলোচনায় এমন পারফরম্যান্সে উসকে দিয়েছেন তিনি।
আর ভারতীয় স্পিনার অক্ষর প্যাটেল সেপ্টেম্বরে ১১.৪৪ গড় ও ওভারপ্রতি ৫.৭২ রান খরচ করে নিয়েছেন ৯ উইকেট।
বুধবার, ০৫ অক্টোবর ২০২২
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে দারুণ সময় কাটে নিগার সুলতানা জ্যোতির। দলকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার। দারুণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে আইসিসির মাসসেরার পুরস্কার ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’- এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা হয়েছে বাংলাদেশের অধিনায়কের।
সেপ্টেম্বর মাসের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে করেই এই তালিকা প্রকাশ করেছে আইসিসি। সেরার লড়াইয়ে নিগারের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই ভারতীয় ক্রিকেটার হারমানপ্রীত কৌর এবং স্মৃতি মান্ধানা। বাংলাদেশের দ্বিতীয় নারী ক্রিকেটার হিসেবে মাসসেরার মনোনয়ন পেলেন নিগার। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে গত বছরের নভেম্বরে মনোনয়ন পেয়েছিলেন বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার।
এশিয়া কাপের আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দলের সঙ্গে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও দারুণ ছিল নিগারের। ৫ ম্যাচে ৪৫ গড়ে তিনি করেন ১৮০ রান। প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন ৬৭ রানের ইনিংস, এরপর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে করেন অপরাজিত ৫৬ রান। টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ, ফাইনালে উঠেই আগামী বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত হয় নিগারের দলের।
অন্যদিকে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত মনোনয়ন পেয়েছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পারফরম্যান্স দিয়ে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ সাদামাটা কাটানোর পর ৩ ওয়ানডেতে তিনি করেন ২২১ রান। প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ৭৪ রানের ইনিংসের পর দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেন ১৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। তাতেই ২৩ বছর পর ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয় ভারতের।
স্মৃতি অবশ্য দুই সিরিজেই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেছেন। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭৯ রানের পর প্রথম ওয়ানডেতে এ বাঁহাতি ওপেনার খেলেন ৮১ রানের ইনিংস। দুই সংস্করণ মিলিয়ে গত মাসে তাঁর গড় ছিল ৫০-এর ওপরে, টি-টোয়েন্টিতে স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩৭।
এছাড়া ছেলেদের মাসসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকাও প্রকাশ করেছে আইসিসি। পাকিস্তানের হয়ে রানের বন্যা বইয়ে দেওয়া মোহাম্মদ রিজওয়ান আছেন এই তালিকায়। এছাড়াও অজি অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনের পাশাপাশি আছেন ভারতীয় স্পিনিং অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল। মূলত সেপ্টেম্বর মাসে অসাধারণ পারফর্ম করার স্বীকৃতিই পেয়েছেন এই তিন ক্রিকেটার।
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর ব্যাটসম্যান রিজওয়ানেরও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে দারুণ ছিল গত মাস। এশিয়া কাপে ফাইনাল খেলা পাকিস্তানের হয়ে তিনটি ফিফটি করেন ওই টুর্নামেন্টে, এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেন আরও চারটি ফিফটি। সেপ্টেম্বরে ৬৯.১২ গড়ে ৫৫৩ রান করেছেন এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংসের পর ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও দুর্দান্ত ছিলেন খেলেছেন গ্রিন। তাঁর ৩০ বলে অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংসে প্রথম ম্যাচে জেতে অস্ট্রেলিয়া, সিরিজে ৩৯.৩৩ গড়ে ১১৮ রান করে দলের সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহক হন এই অলরাউন্ডার। অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে গ্রিন কেন নেই, সে আলোচনায় এমন পারফরম্যান্সে উসকে দিয়েছেন তিনি।
আর ভারতীয় স্পিনার অক্ষর প্যাটেল সেপ্টেম্বরে ১১.৪৪ গড় ও ওভারপ্রতি ৫.৭২ রান খরচ করে নিয়েছেন ৯ উইকেট।