টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই ব্যাটিং তান্ডব। চার-ছক্কার ফুল ঝুড়ি। পার্থের মতো গতিসম্পন্ন উইকেট থাকলে টি-টোয়েন্টি খেলাটা আর ব্যাটারদের থাকে না। ঠিক তেমনই দেখা গেল পার্থে ইংল্যান্ড-আফগানিস্তান সুপার-টুয়েলভ ম্যাচে। ইংলিশ বোলার স্যাম কারানের গতির দাপটে বিধ্বস্ত আফগান ব্যাটিং লাইন আপ। ১০ রান খরচে একাই ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।
দুর্বল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যাল্ড ৫ উইকেটে জয় তুলে নিলেও যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। জয় সহজে আসেনি জস বাটলারের দলের। আফগান স্পিনার বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াই করতে হল ইংল্যান্ড ব্যাটারদের, ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত। আফগানিস্তানের তোলা ১১২ রান তাড়া করতে গিয়ে ৫ উইকেট হারাতে হয় ইংল্যান্ডকে। জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছতে লেগে যায় ১৮.১ ওভার।
দারুণ ছন্দে থাকা ইংল্যান্ডের কাছে ১১৩ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন ছিল না। জস বাটলার, অ্যালেক্স হালেসরাও ঝুঁকি নিতে চাননি। তবে শেষরক্ষা করতে পারেননি এই দুই ইংল্যান্ড ওপেনার। পঞ্চম ওভারে ফারুকির শেষ বল ফ্লিক করে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে মুজিবের হাতে সহজ ক্যাচ দেন বাটলার (১৮ বলে ১৮)। নবম ওভারে ফরিদ আহমেদের বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে ফারুকির হাতে ধরা পড়েন হালেস (২০ বলে ১৯)।
এরপর দলীয় ৬৫, ৮১ ও ৯৭ রানের মাথায় যথাক্রমে বেন স্টোকস (২), ডেভিড মালান (১৮) ও হ্যারি ব্রুককে (৭) আউট করে মাঠ ছাড়া করেন মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবি ও রশিদ খানরা।
তবে তিন চারের মারে ২১ বলে ২৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ১০ বলে ৮ রান নিয়ে তাকে সঙ্গ দেন মঈন আলী।
এর আগে চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড। পার্থে সুপার টুয়েলভের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে একেবারেই ব্যর্থ হয় আফগানিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার।
১৯.৪ ওভারে মাত্র ১১২ রানে অল আউট হয়ে যায় তারা। ইব্রাহিম জাদরানের ৩২ এবং উসমান ঘানির ৩০-এর বাইরে বাকিদের অবস্থা তথৈবচ। নাজিবুল্লাহ জাদরান ১৩ এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজের ১০-এর বাইরে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেনি কেউ।
একাই ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ইংল্যান্ডের স্যাম কারান। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন বেন স্টোকস এবং মার্ক উড। একটি উইকেট নিয়েছেন ক্রিস ওকস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ১৯.৪ ওভারে ১১২ (গুরবাজ ১০, জাদরান ৩২, গনি ৩০, নাজিবুল্লাহ ১৩ ; কারান ১০/৫, স্টোকস ১৯/২, মার্ক ২৩/২)।
ইংল্যান্ড: ১৮.১ ওভারে ১১৩/৫ (লিভিংস্টোন ২৯*, হেলস ১৯, মালান ১৮, বাটলার ১৮, মঈন ১০; রশিদ খান ১৭/১, ফারুকি ২৪/১)।
ফলাফল: ইংল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী।
শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই ব্যাটিং তান্ডব। চার-ছক্কার ফুল ঝুড়ি। পার্থের মতো গতিসম্পন্ন উইকেট থাকলে টি-টোয়েন্টি খেলাটা আর ব্যাটারদের থাকে না। ঠিক তেমনই দেখা গেল পার্থে ইংল্যান্ড-আফগানিস্তান সুপার-টুয়েলভ ম্যাচে। ইংলিশ বোলার স্যাম কারানের গতির দাপটে বিধ্বস্ত আফগান ব্যাটিং লাইন আপ। ১০ রান খরচে একাই ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।
দুর্বল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যাল্ড ৫ উইকেটে জয় তুলে নিলেও যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। জয় সহজে আসেনি জস বাটলারের দলের। আফগান স্পিনার বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াই করতে হল ইংল্যান্ড ব্যাটারদের, ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত। আফগানিস্তানের তোলা ১১২ রান তাড়া করতে গিয়ে ৫ উইকেট হারাতে হয় ইংল্যান্ডকে। জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছতে লেগে যায় ১৮.১ ওভার।
দারুণ ছন্দে থাকা ইংল্যান্ডের কাছে ১১৩ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন ছিল না। জস বাটলার, অ্যালেক্স হালেসরাও ঝুঁকি নিতে চাননি। তবে শেষরক্ষা করতে পারেননি এই দুই ইংল্যান্ড ওপেনার। পঞ্চম ওভারে ফারুকির শেষ বল ফ্লিক করে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে মুজিবের হাতে সহজ ক্যাচ দেন বাটলার (১৮ বলে ১৮)। নবম ওভারে ফরিদ আহমেদের বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে ফারুকির হাতে ধরা পড়েন হালেস (২০ বলে ১৯)।
এরপর দলীয় ৬৫, ৮১ ও ৯৭ রানের মাথায় যথাক্রমে বেন স্টোকস (২), ডেভিড মালান (১৮) ও হ্যারি ব্রুককে (৭) আউট করে মাঠ ছাড়া করেন মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবি ও রশিদ খানরা।
তবে তিন চারের মারে ২১ বলে ২৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ১০ বলে ৮ রান নিয়ে তাকে সঙ্গ দেন মঈন আলী।
এর আগে চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড। পার্থে সুপার টুয়েলভের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে একেবারেই ব্যর্থ হয় আফগানিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার।
১৯.৪ ওভারে মাত্র ১১২ রানে অল আউট হয়ে যায় তারা। ইব্রাহিম জাদরানের ৩২ এবং উসমান ঘানির ৩০-এর বাইরে বাকিদের অবস্থা তথৈবচ। নাজিবুল্লাহ জাদরান ১৩ এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজের ১০-এর বাইরে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেনি কেউ।
একাই ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ইংল্যান্ডের স্যাম কারান। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন বেন স্টোকস এবং মার্ক উড। একটি উইকেট নিয়েছেন ক্রিস ওকস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ১৯.৪ ওভারে ১১২ (গুরবাজ ১০, জাদরান ৩২, গনি ৩০, নাজিবুল্লাহ ১৩ ; কারান ১০/৫, স্টোকস ১৯/২, মার্ক ২৩/২)।
ইংল্যান্ড: ১৮.১ ওভারে ১১৩/৫ (লিভিংস্টোন ২৯*, হেলস ১৯, মালান ১৮, বাটলার ১৮, মঈন ১০; রশিদ খান ১৭/১, ফারুকি ২৪/১)।
ফলাফল: ইংল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী।