টি-২০ ফরম্যাটে লম্বা সময় ধরে হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এই বৃত্ত ভাঙার চেষ্টায় কোন কৌশলই কাজে লাগছেনা। কোচিং প্যানেলে শ্রীধরণ শ্রীরামের নিয়োগ বা মেকশিফট ওপেনার দিয়ে ইনিংস উদ্বোধন--কত পরীক্ষা নিরীক্ষাই না হলো। প্রাপ্তির ঘরটা থেকে গেছে ফাঁকা। প্রতিটা টি-২০ ম্যাচই বাংলাদেশ দল খেলতে নামে জয়ের ধারায় ফেরার লক্ষ্য নিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে জয় আছে কেবল ক্রিকেট বিশ্বে ‘পুঁচকে’ নামে পরিচিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠানরত টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে আগামীকাল বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যাচ। প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। হারের বৃত্ত ভাঙাসহ জয় দিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ শুরুর প্রত্যাশা নিয়ে যথারীতি মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। ডাচরা যে বাংলাদেশ দলের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে অপেক্ষায় আছে, সেটাও বাস্তবতা। বেলেরিভ ওভালে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় শুরু হবে ম্যাচটি
টুর্নামেন্টের মূল পর্বের শুরুতেই ছিটকে যাবার শংকা থেকে রক্ষা পেতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টাইগারদের জয় পাওয়াটা খুবই জরুরি।
টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম আসরে ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাওয়া জয়টাই ক্রিকেটের ছোটো ফরম্যাটের বিশ্বকাপের মূল পর্বে একমাত্র জয় টাইগারদের। ২০২১ সালের সর্বশেষ আসরেও কোন মতে প্রথম রাউন্ড টপকানোর পর মূল পর্বের পাঁচ ম্যাচের সবগুলোতেই হেরেছিল টাইগাররা।
নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে র্যাংকিংয়ে ভালো অবস্থায় থাকায় এবার সরাসরি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে সুযোগ পায় বাংলাদেশ দল। ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপ থেকেই ভালো পারফরমেন্স করতে পারছে না বাংলাদেশ। এই সময় থেকে ২৭টি ম্যাচ খেলে ২০টিতে পরাজিত হওয়ায় হতাশ করেছে ভক্তরা।
এ সময়ে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেট থেকে কিছু সিনিয়র খেলোয়াড় অবসর নিয়েছেন। পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠায় টি-২০ থেকে অবসর নেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। টি-২০ দল থেকে বাদ পড়েন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দলে এখন একমাত্র সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তিনি এমন একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যেখানে বেশিরভাগ খেলোয়াড় ভালো করতে পারছেন না।
টানা চার ম্যাচে পরাজিত হয়ে বিশ্বকাপে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে সবগুলো ম্যাচেই হারে টাইগাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ অনুশীলন ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার আগে নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ৬২ রানে হারে বাংলাদেশ।
এ দিকে অবশ্য ভাগ্যের সহায়তায় সুপার টুয়েলভে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে নেদারল্যান্ডস। ডাচদের শক্ত প্রতিপক্ষ ছিল বিশ^কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলংকাকে হারানো নামিবিয়া। কিন্তু নানা সমীকরণে শেষ পর্যন্ত সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত হয় নেদারল্যান্ডসের।
নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের জন্য সহজ প্রতিপক্ষ- ক্রিকেট ভক্তদের এমন বিশ্বাস থাকলেও শেষ কিছু ম্যাচে টাইগারদের পারফরম্যান্স সাফল্যের কথা বলে না। নেদারল্যান্ডসকে হালকাভাবে নিতে রাজি নন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সুপার টুয়েলভে পাঁচ প্রতিপক্ষের জন্য একইরকম প্রস্তুতি নিয়েছে টাইগাররা।
সাকিব বলেছেন, নেদারল্যান্ডস যোগ্যতা অর্জন করেই এখানে এসেছে এবং তাদের ভালো করার সামর্থ রয়েছে। কেউ হয়তো ধারণা করছেন, নেদারল্যান্ডসকে পেয়ে বাংলাদেশ স্বস্তি পেয়েছে। আমরা কখনও এমন ভাবি না। পৃথিবীর কোন দলই ম্যাচের আগে ভালো-খারাপ প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবেনা। সব দলই সাফল্য পেতে সম্ভাব্য সব কিছুই চেষ্টা করে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বকাপে পাঁচটি ম্যাচ রয়েছে। এই পাঁচ ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়েই আমরা এখানে এসেছি। আমরা এখানে যেভাবেই খেলবো, প্রস্তুতি একই হবে।
এ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচ খেলে দুইটিতে জয় পেলেও একটিতে হেরেছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ১৩৮টি টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। সেখানে ৪৭টি ম্যাচে জয়ের বিপরীতে ৮৯টিতে পরাজয়। বাকি তিনটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
রোববার, ২৩ অক্টোবর ২০২২
টি-২০ ফরম্যাটে লম্বা সময় ধরে হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এই বৃত্ত ভাঙার চেষ্টায় কোন কৌশলই কাজে লাগছেনা। কোচিং প্যানেলে শ্রীধরণ শ্রীরামের নিয়োগ বা মেকশিফট ওপেনার দিয়ে ইনিংস উদ্বোধন--কত পরীক্ষা নিরীক্ষাই না হলো। প্রাপ্তির ঘরটা থেকে গেছে ফাঁকা। প্রতিটা টি-২০ ম্যাচই বাংলাদেশ দল খেলতে নামে জয়ের ধারায় ফেরার লক্ষ্য নিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে জয় আছে কেবল ক্রিকেট বিশ্বে ‘পুঁচকে’ নামে পরিচিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠানরত টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে আগামীকাল বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যাচ। প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। হারের বৃত্ত ভাঙাসহ জয় দিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ শুরুর প্রত্যাশা নিয়ে যথারীতি মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। ডাচরা যে বাংলাদেশ দলের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে অপেক্ষায় আছে, সেটাও বাস্তবতা। বেলেরিভ ওভালে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় শুরু হবে ম্যাচটি
টুর্নামেন্টের মূল পর্বের শুরুতেই ছিটকে যাবার শংকা থেকে রক্ষা পেতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টাইগারদের জয় পাওয়াটা খুবই জরুরি।
টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম আসরে ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাওয়া জয়টাই ক্রিকেটের ছোটো ফরম্যাটের বিশ্বকাপের মূল পর্বে একমাত্র জয় টাইগারদের। ২০২১ সালের সর্বশেষ আসরেও কোন মতে প্রথম রাউন্ড টপকানোর পর মূল পর্বের পাঁচ ম্যাচের সবগুলোতেই হেরেছিল টাইগাররা।
নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে র্যাংকিংয়ে ভালো অবস্থায় থাকায় এবার সরাসরি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে সুযোগ পায় বাংলাদেশ দল। ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপ থেকেই ভালো পারফরমেন্স করতে পারছে না বাংলাদেশ। এই সময় থেকে ২৭টি ম্যাচ খেলে ২০টিতে পরাজিত হওয়ায় হতাশ করেছে ভক্তরা।
এ সময়ে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেট থেকে কিছু সিনিয়র খেলোয়াড় অবসর নিয়েছেন। পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠায় টি-২০ থেকে অবসর নেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। টি-২০ দল থেকে বাদ পড়েন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দলে এখন একমাত্র সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তিনি এমন একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যেখানে বেশিরভাগ খেলোয়াড় ভালো করতে পারছেন না।
টানা চার ম্যাচে পরাজিত হয়ে বিশ্বকাপে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে সবগুলো ম্যাচেই হারে টাইগাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ অনুশীলন ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার আগে নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ৬২ রানে হারে বাংলাদেশ।
এ দিকে অবশ্য ভাগ্যের সহায়তায় সুপার টুয়েলভে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে নেদারল্যান্ডস। ডাচদের শক্ত প্রতিপক্ষ ছিল বিশ^কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলংকাকে হারানো নামিবিয়া। কিন্তু নানা সমীকরণে শেষ পর্যন্ত সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত হয় নেদারল্যান্ডসের।
নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের জন্য সহজ প্রতিপক্ষ- ক্রিকেট ভক্তদের এমন বিশ্বাস থাকলেও শেষ কিছু ম্যাচে টাইগারদের পারফরম্যান্স সাফল্যের কথা বলে না। নেদারল্যান্ডসকে হালকাভাবে নিতে রাজি নন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সুপার টুয়েলভে পাঁচ প্রতিপক্ষের জন্য একইরকম প্রস্তুতি নিয়েছে টাইগাররা।
সাকিব বলেছেন, নেদারল্যান্ডস যোগ্যতা অর্জন করেই এখানে এসেছে এবং তাদের ভালো করার সামর্থ রয়েছে। কেউ হয়তো ধারণা করছেন, নেদারল্যান্ডসকে পেয়ে বাংলাদেশ স্বস্তি পেয়েছে। আমরা কখনও এমন ভাবি না। পৃথিবীর কোন দলই ম্যাচের আগে ভালো-খারাপ প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবেনা। সব দলই সাফল্য পেতে সম্ভাব্য সব কিছুই চেষ্টা করে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বকাপে পাঁচটি ম্যাচ রয়েছে। এই পাঁচ ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়েই আমরা এখানে এসেছি। আমরা এখানে যেভাবেই খেলবো, প্রস্তুতি একই হবে।
এ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচ খেলে দুইটিতে জয় পেলেও একটিতে হেরেছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ১৩৮টি টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। সেখানে ৪৭টি ম্যাচে জয়ের বিপরীতে ৮৯টিতে পরাজয়। বাকি তিনটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।