প্রত্যাশা মতোই হাসলো বিরাট কোহলির ‘বিরাট ব্যাট’। ৩৭ বলে অর্ধশতরান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ফিফটি। এশিয়া কাপের পর রোহিতের ব্যাটে অর্ধশতরানের দেখা মিলল। রোহিতের রানে ফেরাটা প্রয়োজন ছিল। পাকিস্তান ম্যাচ বাদ দিলে ফের সফল সূর্যকুমার যাদব। ২৫ বলে ৫১ রান। তিন হাফসেঞ্চুরিতে নেদারল্যান্ডসকে ১৮০ রানের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল ‘মেন ইন ব্লু’ টিম।
সিডনির উইকেটে পেসার ও স্পিনারদের সাফল্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সাক্ষাতে নেদারল্যান্ডসকে সহজে হারাল ভারত। একমাত্র আইসিসির সহযোগী দেশ হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে খেলছে নেদারল্যান্ডস। তবে এর থেকে বেশি হয়তো এগোনো সম্ভব হচ্ছে না স্কট এডওয়ার্ডসের দলের।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হারের পর আজ ভারতের বিরুদ্ধে ৫৬ রানে হার। ভারতের দেওয়া ১৭৯ রান তাড়া করতে নেমে ১২৩ রানে আটকে যায় ডাচরা। টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতল ভারত। হার্দিক পান্ডিয়া ছাড়া দলের বাকি বোলাররা উইকেট পেলেন। ম্যাচে দীনেশ কার্তিক জোড়া স্টাম্পিং মিস করেন। পরিবার গ্যালারিতে থাকায় কী নার্ভাস ছিলেন কার্তিক? কে জানে।
টস ভাগ্য এদিনও সঙ্গ দেয় ভারতকে। সিডনির উইকেটে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের বিরুদ্ধে দ্রুত রান তুলে নেট রান রেট বাড়িয়ে নেওয়া লক্ষ্য ছিল রোহিত শর্মার। যদিও রান রেট বাড়ানোর সুযোগ হয়নি। এদিনও শুরুটা ভাল হয়নি ভারতের। পাওয়ার প্লে-তে ১ উইকেট হারিয়ে ওঠে মাত্র ৩২ রান। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হলেন লোকেশ রাহুল। ভ্যান মিরিকেনের বলে লেগ বিফোর হন রাহুল। আম্পায়ার আউট দিলেও অধিনায়ক রোহিতের পরামর্শে রিভিউ না নিয়েই সাজঘরে ফিরে যান রাহুল। পরে দেখা যায় বল লেগ স্টাম্পের বাইরে ছিল।
এদিকে পাওয়ার প্লে-তে জোড়া উইকেট হারাতে পারত ভারত। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে রোহিতের ক্যাচ ফেলেন প্রিঙ্গল। সে সময় ১৩ রানে ব্যাট করছিলেন রোহিত। জীবন পেয়ে বেশ কিছুদিন পর রোহিতের ব্যাটে অর্ধশতরানের দেখা মিলল। শেষবার হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন এশিয়া কাপে। তবে এখনও সেই আগের মতো সহজাত ব্যাটিং দেখা যায়নি হিটম্যানের। ৩৯ বলে ৫৩ রান করে ফেরেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে রোহিতের রানে ফেরাটা প্রয়োজন ছিল। পাকিস্তান ম্যাচ বাদ দিলে এদিন ফের সফল সূর্যকুমার যাদব। ২৫ বলে ৫১ রান সূর্যের।
রোহিত আউট না হওয়া ইস্তক সতর্ক হয়ে ব্যাট করছিলেন বিরাট কোহলি। পাকিস্তানকে হারের স্বাদ দেওয়া রানমেশিনের ব্যাটে আজও বড় ইনিংস দেখার আশা ছিল ভারতীয় সমর্থকদের। নিরাশ করেননি প্রাক্তন অধিনায়ক। রোহিত আউট হতেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বিরাট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৫তম অর্ধশতরান হাঁকালেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে অর্ধশতরান। ৩৭ বলে অর্ধশতরান। ৪৪ বলে ৬২ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলে পরবর্তী প্রতিপক্ষ প্রোটিয়াদের বার্তা দিয়ে রাখলেন। কোহলি-সূর্যর অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ওঠে ৪৮ বলে ৯৫ রান।
ভারতীয় ব্যাটারদের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের বোলারদের কেউই তেমন সুবিধা করতে পারেননি। নেদারল্যান্ডসের সফলতম বোলার পল ভ্যান মিকিরেন ৩২ রানে ১ উইকেট নিলেন। ফ্রেড ক্লাসেন ১ উইকেট নিলেন ৩৩ রান দিয়ে।
জয়ের জন্য ১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সাধ্য মতো লড়াই করল স্কট এডওয়ার্ডসের দল। সেই সাধ্যে অবশ্য তাদের ভারতকে হারানোর সাধ পূর্ণ হল না। ভারতীয় বোলিং আক্রমণের সামনে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাল নেদারল্যান্ডস। ম্যাক্স ও’ডাউড (১০ বলে ১৬), বাস ডি লিড (২৩ বলে ১৬), কলিন অ্যাকারম্যানরা (২১ বলে ১৭) লড়াই করার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। অক্ষর পটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের স্পিন পড়তে না পেরেই উইকেট দিলেন নেদারল্যান্ডসের অধিকাংশ ব্যাটার। অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসও পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারলেন না ভারতীয় শিবিরে। তিনি করলেন ৫ রান। যদিও টিম প্রিঙ্গল আগ্রাসী মেজাজে ১৫ বলে ২০ রান করলেন একটি চার এবং একটি ছয়ের সাহায্যে। শেষে পল ভ্যান মিকিরেন অপরাজিত থাকলেন ৬ বলে ১৪ রান করে।
ভারতের সফলতম বোলার ভুবনেশ্বর কুমার ২ উইকেট নিলেন মাত্র ৯ রান খরচ করে। ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট অক্ষরের। অশ্বিনও ২ উইকেট নিলেন ২১ রানে। ২ উইকেট পেলেন আরশদীপও। বাঁহাতি জোরে বোলার অবশ্য খরচ করলেন ৩৭ রান। ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট পেলেন মহম্মদ শামি। তবে তুলনামুলক দুর্বল নেদারল্যান্ডসের ১০ উইকেট তুলতে পারলেন না ভারতীয় বোলাররা।
বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২
প্রত্যাশা মতোই হাসলো বিরাট কোহলির ‘বিরাট ব্যাট’। ৩৭ বলে অর্ধশতরান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ফিফটি। এশিয়া কাপের পর রোহিতের ব্যাটে অর্ধশতরানের দেখা মিলল। রোহিতের রানে ফেরাটা প্রয়োজন ছিল। পাকিস্তান ম্যাচ বাদ দিলে ফের সফল সূর্যকুমার যাদব। ২৫ বলে ৫১ রান। তিন হাফসেঞ্চুরিতে নেদারল্যান্ডসকে ১৮০ রানের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল ‘মেন ইন ব্লু’ টিম।
সিডনির উইকেটে পেসার ও স্পিনারদের সাফল্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সাক্ষাতে নেদারল্যান্ডসকে সহজে হারাল ভারত। একমাত্র আইসিসির সহযোগী দেশ হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে খেলছে নেদারল্যান্ডস। তবে এর থেকে বেশি হয়তো এগোনো সম্ভব হচ্ছে না স্কট এডওয়ার্ডসের দলের।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হারের পর আজ ভারতের বিরুদ্ধে ৫৬ রানে হার। ভারতের দেওয়া ১৭৯ রান তাড়া করতে নেমে ১২৩ রানে আটকে যায় ডাচরা। টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতল ভারত। হার্দিক পান্ডিয়া ছাড়া দলের বাকি বোলাররা উইকেট পেলেন। ম্যাচে দীনেশ কার্তিক জোড়া স্টাম্পিং মিস করেন। পরিবার গ্যালারিতে থাকায় কী নার্ভাস ছিলেন কার্তিক? কে জানে।
টস ভাগ্য এদিনও সঙ্গ দেয় ভারতকে। সিডনির উইকেটে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের বিরুদ্ধে দ্রুত রান তুলে নেট রান রেট বাড়িয়ে নেওয়া লক্ষ্য ছিল রোহিত শর্মার। যদিও রান রেট বাড়ানোর সুযোগ হয়নি। এদিনও শুরুটা ভাল হয়নি ভারতের। পাওয়ার প্লে-তে ১ উইকেট হারিয়ে ওঠে মাত্র ৩২ রান। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হলেন লোকেশ রাহুল। ভ্যান মিরিকেনের বলে লেগ বিফোর হন রাহুল। আম্পায়ার আউট দিলেও অধিনায়ক রোহিতের পরামর্শে রিভিউ না নিয়েই সাজঘরে ফিরে যান রাহুল। পরে দেখা যায় বল লেগ স্টাম্পের বাইরে ছিল।
এদিকে পাওয়ার প্লে-তে জোড়া উইকেট হারাতে পারত ভারত। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে রোহিতের ক্যাচ ফেলেন প্রিঙ্গল। সে সময় ১৩ রানে ব্যাট করছিলেন রোহিত। জীবন পেয়ে বেশ কিছুদিন পর রোহিতের ব্যাটে অর্ধশতরানের দেখা মিলল। শেষবার হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন এশিয়া কাপে। তবে এখনও সেই আগের মতো সহজাত ব্যাটিং দেখা যায়নি হিটম্যানের। ৩৯ বলে ৫৩ রান করে ফেরেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে রোহিতের রানে ফেরাটা প্রয়োজন ছিল। পাকিস্তান ম্যাচ বাদ দিলে এদিন ফের সফল সূর্যকুমার যাদব। ২৫ বলে ৫১ রান সূর্যের।
রোহিত আউট না হওয়া ইস্তক সতর্ক হয়ে ব্যাট করছিলেন বিরাট কোহলি। পাকিস্তানকে হারের স্বাদ দেওয়া রানমেশিনের ব্যাটে আজও বড় ইনিংস দেখার আশা ছিল ভারতীয় সমর্থকদের। নিরাশ করেননি প্রাক্তন অধিনায়ক। রোহিত আউট হতেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বিরাট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৫তম অর্ধশতরান হাঁকালেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে অর্ধশতরান। ৩৭ বলে অর্ধশতরান। ৪৪ বলে ৬২ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলে পরবর্তী প্রতিপক্ষ প্রোটিয়াদের বার্তা দিয়ে রাখলেন। কোহলি-সূর্যর অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ওঠে ৪৮ বলে ৯৫ রান।
ভারতীয় ব্যাটারদের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের বোলারদের কেউই তেমন সুবিধা করতে পারেননি। নেদারল্যান্ডসের সফলতম বোলার পল ভ্যান মিকিরেন ৩২ রানে ১ উইকেট নিলেন। ফ্রেড ক্লাসেন ১ উইকেট নিলেন ৩৩ রান দিয়ে।
জয়ের জন্য ১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সাধ্য মতো লড়াই করল স্কট এডওয়ার্ডসের দল। সেই সাধ্যে অবশ্য তাদের ভারতকে হারানোর সাধ পূর্ণ হল না। ভারতীয় বোলিং আক্রমণের সামনে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাল নেদারল্যান্ডস। ম্যাক্স ও’ডাউড (১০ বলে ১৬), বাস ডি লিড (২৩ বলে ১৬), কলিন অ্যাকারম্যানরা (২১ বলে ১৭) লড়াই করার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। অক্ষর পটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের স্পিন পড়তে না পেরেই উইকেট দিলেন নেদারল্যান্ডসের অধিকাংশ ব্যাটার। অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসও পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারলেন না ভারতীয় শিবিরে। তিনি করলেন ৫ রান। যদিও টিম প্রিঙ্গল আগ্রাসী মেজাজে ১৫ বলে ২০ রান করলেন একটি চার এবং একটি ছয়ের সাহায্যে। শেষে পল ভ্যান মিকিরেন অপরাজিত থাকলেন ৬ বলে ১৪ রান করে।
ভারতের সফলতম বোলার ভুবনেশ্বর কুমার ২ উইকেট নিলেন মাত্র ৯ রান খরচ করে। ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট অক্ষরের। অশ্বিনও ২ উইকেট নিলেন ২১ রানে। ২ উইকেট পেলেন আরশদীপও। বাঁহাতি জোরে বোলার অবশ্য খরচ করলেন ৩৭ রান। ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট পেলেন মহম্মদ শামি। তবে তুলনামুলক দুর্বল নেদারল্যান্ডসের ১০ উইকেট তুলতে পারলেন না ভারতীয় বোলাররা।