ইনিংসের শেষ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৩ রান। ইভান্সের ফুল বলে লং অনে ড্রাইভ করেন শাহীন শাহ আফ্রিদী। বল কুড়িয়ে মুহুর্তেই উইকেটরক্ষক চাকাভার কাছে পাঠিয়ে দেন সিকান্দার রাজা। রোমাঞ্চিত চাকাভা বেশ কয়েকবারের চেষ্টায় স্ট্যাম্প ভাঙ্গেন। ১ রানের বেশি নিতে পারেননি আফ্রিদী। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ১ রানে হার পাকিস্তানের।
শক্তির বিচারে পাকিস্তান জিম্বাবুয়ের চেয়ে কয়েকগুণ এগিয়ে। কিন্তু পার্থে দুদলের ম্যাচে যারা চোখ রেখেছেন, তারা হয়তো একপাক্ষিকতার কোনো আভাসই পাননি! পাকিস্তানের চোখে চোখ রেখে সমানে সমালে লড়েছে জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ের ১৩০ রানের অল্প পুঁজি স্কোরবোর্ডে। তবে মানসিকতায় ছিল দৃড়তা। সেটারই পুরষ্কার পেলো জিম্বাবুয়ে। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় যেন বিশ্বাসই হয়নি ব্রাড ইভান্সের। তাইতো জয়ের পর উইকেটে শুয়ে অঝোরে কাঁদলেন। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন শান মাসুদ। সিকান্দার রাজা নিয়েছেন ৩ উইকেট।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) পার্থে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে জিম্বাবুয়ে ৮ উইকেটে ১৩০ রান করে। রান তাড়ায় নেমে ৮ উইকেটে ১২৯ রান করে পাকিস্তান। সুপার টুয়েলভের একমাত্র দল পাকিস্তান যারা দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই হেরেছে।
জিম্বাবুয়ের ১৩০ রানের অল্প পুঁজিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে জিম্বাবুয়ের পেস তোপে পড়ে পাকিস্তান। ১৩ রানে বাবর আজম, ২৩ রানে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ৩৬ রানে ইফতিখার আহমেদের উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। ইনিংস ধরে খেলতে থাকেন শান মাসুদ। তার সঙ্গে শাদাব খান গড়েন ৫২ রানের জুটি। শাদাব বিদায় নেন সিকান্দার রাজার বলে ক্যাচ দিয়ে। শাদাব করেন ১৭ রান। একই ওভারের পরের বলে রাজা শিকার করেন হায়দার আলির উইকেটও।
অ্যাংকরিং করতে থাকা শান মাসুদ ফিরে যান সেই রাজার বলে। ৩৮ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন এ ব্যাটার। এরপর হারের শঙ্কা ঝেঁকে বসে পাকিস্তান শিবিরে। নেওয়াজ আউট হন ২২ রানে, ওয়াসিম করেন ১২ রান। জিম্বাবুয়ের হয়ে ২৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন রাজা, ব্রাড ইভান্স নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পান ব্লেজিং মুজারাবানি ও লুক জংউই।
এর আগে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৩০ রানের অল্প পুঁজি পায় জিম্বাবুয়ে। টস হেরে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয় প্রথম দুই ওভার শেষে তুলে ২৩ রান। কিন্তু বড় ইনিংসের আশা জাগিয়েও শেষমেশ ৮ উইকেটে ১৩০ রানে থামে তাদের রানের চাকা।
মোহাম্মদ ওয়াসিম ও শাদাব খানের বোলিংয়েট সামনে দাঁড়াতেই পারেনি তারা। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন শন উইলিয়ামস। অধিনায়ক আরভিনের ইনিংস শেষ হয় ১৯ রানে। পাকিস্তানের পক্ষে ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম, ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে শাদাব খানের শিকার ৩ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৩০/৮ (মাধেভেরে ১৭, আরভিন ১৯, শাম্বা ৮, উইলিয়ামস ৩১, রাজা ৯, চাকাভা ০, বার্ল ১০, জংওয়ে ০, ইভান্স ১৯, এনগারাভা ৩; শাহিন আফ্রিদি ৪-০-২৯-০, নাসিম শাহ ৪-০-৩৪-০, ওয়াসিম ৪-০-২৪-৪, শাদাব ৪-০-২৩-৩, হারিস রউফ ৪-১-১২-১)
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১২৯/৮ (বাবর ৪, রিজওয়ান ১৪, শান মাসুদ ৪৪, ইফতেখার ৫, শাদাব ১৭, হায়দার ০, নওয়াজ ২২, ওয়াসিম ১২, শাহিন ১ ; মুজারাবানি ৪-০-১৮-১, রাজা ৪-০-২৫-৩, এনগারাভা ৪-০-২৪-০, ইভান্স ৪-০-২৫-২, উইলিয়ামস ২-০-১৫-০, বার্ল ১-০-৭-০, জংওয়ে ১-০-১০-১)
ফল: জিম্বাবুয়ে ১ রানে জয়ী।
বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২
ইনিংসের শেষ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৩ রান। ইভান্সের ফুল বলে লং অনে ড্রাইভ করেন শাহীন শাহ আফ্রিদী। বল কুড়িয়ে মুহুর্তেই উইকেটরক্ষক চাকাভার কাছে পাঠিয়ে দেন সিকান্দার রাজা। রোমাঞ্চিত চাকাভা বেশ কয়েকবারের চেষ্টায় স্ট্যাম্প ভাঙ্গেন। ১ রানের বেশি নিতে পারেননি আফ্রিদী। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ১ রানে হার পাকিস্তানের।
শক্তির বিচারে পাকিস্তান জিম্বাবুয়ের চেয়ে কয়েকগুণ এগিয়ে। কিন্তু পার্থে দুদলের ম্যাচে যারা চোখ রেখেছেন, তারা হয়তো একপাক্ষিকতার কোনো আভাসই পাননি! পাকিস্তানের চোখে চোখ রেখে সমানে সমালে লড়েছে জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ের ১৩০ রানের অল্প পুঁজি স্কোরবোর্ডে। তবে মানসিকতায় ছিল দৃড়তা। সেটারই পুরষ্কার পেলো জিম্বাবুয়ে। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় যেন বিশ্বাসই হয়নি ব্রাড ইভান্সের। তাইতো জয়ের পর উইকেটে শুয়ে অঝোরে কাঁদলেন। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন শান মাসুদ। সিকান্দার রাজা নিয়েছেন ৩ উইকেট।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) পার্থে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে জিম্বাবুয়ে ৮ উইকেটে ১৩০ রান করে। রান তাড়ায় নেমে ৮ উইকেটে ১২৯ রান করে পাকিস্তান। সুপার টুয়েলভের একমাত্র দল পাকিস্তান যারা দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই হেরেছে।
জিম্বাবুয়ের ১৩০ রানের অল্প পুঁজিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে জিম্বাবুয়ের পেস তোপে পড়ে পাকিস্তান। ১৩ রানে বাবর আজম, ২৩ রানে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ৩৬ রানে ইফতিখার আহমেদের উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। ইনিংস ধরে খেলতে থাকেন শান মাসুদ। তার সঙ্গে শাদাব খান গড়েন ৫২ রানের জুটি। শাদাব বিদায় নেন সিকান্দার রাজার বলে ক্যাচ দিয়ে। শাদাব করেন ১৭ রান। একই ওভারের পরের বলে রাজা শিকার করেন হায়দার আলির উইকেটও।
অ্যাংকরিং করতে থাকা শান মাসুদ ফিরে যান সেই রাজার বলে। ৩৮ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন এ ব্যাটার। এরপর হারের শঙ্কা ঝেঁকে বসে পাকিস্তান শিবিরে। নেওয়াজ আউট হন ২২ রানে, ওয়াসিম করেন ১২ রান। জিম্বাবুয়ের হয়ে ২৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন রাজা, ব্রাড ইভান্স নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পান ব্লেজিং মুজারাবানি ও লুক জংউই।
এর আগে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৩০ রানের অল্প পুঁজি পায় জিম্বাবুয়ে। টস হেরে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয় প্রথম দুই ওভার শেষে তুলে ২৩ রান। কিন্তু বড় ইনিংসের আশা জাগিয়েও শেষমেশ ৮ উইকেটে ১৩০ রানে থামে তাদের রানের চাকা।
মোহাম্মদ ওয়াসিম ও শাদাব খানের বোলিংয়েট সামনে দাঁড়াতেই পারেনি তারা। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন শন উইলিয়ামস। অধিনায়ক আরভিনের ইনিংস শেষ হয় ১৯ রানে। পাকিস্তানের পক্ষে ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম, ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে শাদাব খানের শিকার ৩ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৩০/৮ (মাধেভেরে ১৭, আরভিন ১৯, শাম্বা ৮, উইলিয়ামস ৩১, রাজা ৯, চাকাভা ০, বার্ল ১০, জংওয়ে ০, ইভান্স ১৯, এনগারাভা ৩; শাহিন আফ্রিদি ৪-০-২৯-০, নাসিম শাহ ৪-০-৩৪-০, ওয়াসিম ৪-০-২৪-৪, শাদাব ৪-০-২৩-৩, হারিস রউফ ৪-১-১২-১)
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১২৯/৮ (বাবর ৪, রিজওয়ান ১৪, শান মাসুদ ৪৪, ইফতেখার ৫, শাদাব ১৭, হায়দার ০, নওয়াজ ২২, ওয়াসিম ১২, শাহিন ১ ; মুজারাবানি ৪-০-১৮-১, রাজা ৪-০-২৫-৩, এনগারাভা ৪-০-২৪-০, ইভান্স ৪-০-২৫-২, উইলিয়ামস ২-০-১৫-০, বার্ল ১-০-৭-০, জংওয়ে ১-০-১০-১)
ফল: জিম্বাবুয়ে ১ রানে জয়ী।