ম্যাচ একেবারেই হাতে ছিল জিম্বাবুয়ের। রোডেশীয়দের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯ বলে ১৯ রান। দলটির সামনে হাতছানি দিচ্ছিল আরও একটি জয়।
সাকিব আল হাসানের সেই ওভারে বল হালকা ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেলের জন্য দৌড় দেন শন উইলিয়ামস। বোলিং প্রান্ত থেকে দৌড়ে গিয়ে বল ধরে সেকেন্ড বিলম্ব না করে স্ট্যাম্পে থ্রো করেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।
সেই থ্রোতেই রান আউট হন উইলিয়ামস। আর তাতেই ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়।
দলটির সামনে জয়ের জন্য দরকার ছিল এক বলে চার রান। শেষ বলের সে রোমাঞ্চে ৩ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখল টাইগাররা।
বাংলাদেশের দেয়া ১৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। ওভারের তৃতীয় বলেই তাসকিন আহমেদ তুলে নেন ওয়েসলি মাধেভেরের উইকেট।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ফের আঘাত হানেন তাসকিন। এবার তার শিকার বনে ৭ বলে ৮ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় অধিনায়ক ক্রেইগ এরভিনকে।
ষষ্ঠ ওভারে ব্যাক টু ব্যাক আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগেই ফিজের শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় মিল্টন শুম্বা ও সিকান্দার রাজাকে।
সাকিবের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে শুম্বা করেন ৮ রান। আর আফিফের হাতে ধরা দিয়ে রাজা মাঠ ছাড়েন রানের খাতা খোলার আগেই। আর তাতেই ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে রোডেশীয়রা।
পরে দলকে এগিয়ে নেয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন শন উইলিয়ামস ও রেগিস চাকাভা। এই দুই দায়িত্বশীল ব্যাটার শক্ত হাতে টেনে ধরেন উইকেট পতনের লাগাম। সেই সুবাদে ১০ ওভারে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৬৫ রান তোলে জিম্বাবুয়ে।
থিতু হয়ে বসা এ জুটি দ্বাদশ ওভারেই ভাঙেন তাসকিন। চাকাভাকে ফিরিয়ে আনেন ব্রেক থ্রু। উইকেটের পেছনে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে রোডেশীয় এ ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান।
শেষের দিকে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা চালান শন উইলিয়ামস। পৌঁছে দিয়েছিলেন দলকে প্রায় জয়ের দোরগোড়ায়, কিন্তু সাকিবের দুর্দান্ত এক রান আউটের শিকার বনে ৪২ বলে ৬৪ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি।
উইলিয়ামস মাঠ ছাড়ার পর জিম্বাবুয়ের জয়ের আশা এক প্রকার শেষ ধরে নেয়া হয়েছিল, কিন্তু নাটকের বাকি তখনও। শেষ ওভারে বল করতে আসেন পুরো ম্যাচে বল হাতে মার খাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। জয়ের জন্য সে ওভারে রোডেশীয়দের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান।
প্রথম বল লেগ বাই দেন এ স্পিনার। পরের বলে ইভান্সের উইকেট তুলে নিলেও তৃতীয় বলে লেগ বাইয়ের সুবাদে আসে ৪। আর চতুর্থ বলে মোসাদ্দেককে ছক্কা হাঁকান এনগার্ভা।
ছক্কা হজম করেই ওভারের পঞ্চম বলে এনগার্ভার উইকেট তুলে নেন মোসাদ্দেক। জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ১ বলে ৫ রান। শেষ বলটি উইকেটের পেছনে চলে যায় আর সেটি ধরে মুজরাবানিকে স্ট্যাম্পিং করেন নুরুল হাসান সোহান। তাতেই ৪ রানের জয় নিয়ে উল্লাস করতে করতে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।
সে সময় বিধাতা হয়তো লিখে রেখেছিলেন অন্য এক নাটক। এ কারণে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার পরও ফের একই জায়গায় ফিরতে হয় টাইগারদের।
সোহান স্টাম্পের আগে এসে বল রিসিভ করায় আম্পায়ার সেটি নো কল করেন। এর ফলে ১ বল করতে আরও একবার মাঠে নামতে হয় টাইগারদের।
জয়ের মিশনে হন্য হয়ে থাকা টাইগারদের সামনে মিশন ছিল কোনো মতে বলটি মিস করানো। আর জিম্বাবুয়ের একটি চার মারা, তবে শেষ হাসিটা হেসেছে বাংলাদেশই।
৩ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে টাইগাররা। এ জয়ে সেমির স্বপ্ন এখনও টিকে রইল বাংলাদেশের।
রোববার, ৩০ অক্টোবর ২০২২
ম্যাচ একেবারেই হাতে ছিল জিম্বাবুয়ের। রোডেশীয়দের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯ বলে ১৯ রান। দলটির সামনে হাতছানি দিচ্ছিল আরও একটি জয়।
সাকিব আল হাসানের সেই ওভারে বল হালকা ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেলের জন্য দৌড় দেন শন উইলিয়ামস। বোলিং প্রান্ত থেকে দৌড়ে গিয়ে বল ধরে সেকেন্ড বিলম্ব না করে স্ট্যাম্পে থ্রো করেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।
সেই থ্রোতেই রান আউট হন উইলিয়ামস। আর তাতেই ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়।
দলটির সামনে জয়ের জন্য দরকার ছিল এক বলে চার রান। শেষ বলের সে রোমাঞ্চে ৩ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখল টাইগাররা।
বাংলাদেশের দেয়া ১৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। ওভারের তৃতীয় বলেই তাসকিন আহমেদ তুলে নেন ওয়েসলি মাধেভেরের উইকেট।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ফের আঘাত হানেন তাসকিন। এবার তার শিকার বনে ৭ বলে ৮ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় অধিনায়ক ক্রেইগ এরভিনকে।
ষষ্ঠ ওভারে ব্যাক টু ব্যাক আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগেই ফিজের শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় মিল্টন শুম্বা ও সিকান্দার রাজাকে।
সাকিবের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে শুম্বা করেন ৮ রান। আর আফিফের হাতে ধরা দিয়ে রাজা মাঠ ছাড়েন রানের খাতা খোলার আগেই। আর তাতেই ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে রোডেশীয়রা।
পরে দলকে এগিয়ে নেয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন শন উইলিয়ামস ও রেগিস চাকাভা। এই দুই দায়িত্বশীল ব্যাটার শক্ত হাতে টেনে ধরেন উইকেট পতনের লাগাম। সেই সুবাদে ১০ ওভারে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৬৫ রান তোলে জিম্বাবুয়ে।
থিতু হয়ে বসা এ জুটি দ্বাদশ ওভারেই ভাঙেন তাসকিন। চাকাভাকে ফিরিয়ে আনেন ব্রেক থ্রু। উইকেটের পেছনে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে রোডেশীয় এ ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান।
শেষের দিকে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা চালান শন উইলিয়ামস। পৌঁছে দিয়েছিলেন দলকে প্রায় জয়ের দোরগোড়ায়, কিন্তু সাকিবের দুর্দান্ত এক রান আউটের শিকার বনে ৪২ বলে ৬৪ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি।
উইলিয়ামস মাঠ ছাড়ার পর জিম্বাবুয়ের জয়ের আশা এক প্রকার শেষ ধরে নেয়া হয়েছিল, কিন্তু নাটকের বাকি তখনও। শেষ ওভারে বল করতে আসেন পুরো ম্যাচে বল হাতে মার খাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। জয়ের জন্য সে ওভারে রোডেশীয়দের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান।
প্রথম বল লেগ বাই দেন এ স্পিনার। পরের বলে ইভান্সের উইকেট তুলে নিলেও তৃতীয় বলে লেগ বাইয়ের সুবাদে আসে ৪। আর চতুর্থ বলে মোসাদ্দেককে ছক্কা হাঁকান এনগার্ভা।
ছক্কা হজম করেই ওভারের পঞ্চম বলে এনগার্ভার উইকেট তুলে নেন মোসাদ্দেক। জিম্বাবুয়ের জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ১ বলে ৫ রান। শেষ বলটি উইকেটের পেছনে চলে যায় আর সেটি ধরে মুজরাবানিকে স্ট্যাম্পিং করেন নুরুল হাসান সোহান। তাতেই ৪ রানের জয় নিয়ে উল্লাস করতে করতে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।
সে সময় বিধাতা হয়তো লিখে রেখেছিলেন অন্য এক নাটক। এ কারণে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার পরও ফের একই জায়গায় ফিরতে হয় টাইগারদের।
সোহান স্টাম্পের আগে এসে বল রিসিভ করায় আম্পায়ার সেটি নো কল করেন। এর ফলে ১ বল করতে আরও একবার মাঠে নামতে হয় টাইগারদের।
জয়ের মিশনে হন্য হয়ে থাকা টাইগারদের সামনে মিশন ছিল কোনো মতে বলটি মিস করানো। আর জিম্বাবুয়ের একটি চার মারা, তবে শেষ হাসিটা হেসেছে বাংলাদেশই।
৩ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে টাইগাররা। এ জয়ে সেমির স্বপ্ন এখনও টিকে রইল বাংলাদেশের।