অ্যাডিলেডে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে জয় অবশ্য এসেছে অস্ট্রেলিয়ার কোনও মতে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ার এই ম্যাচ ছিল ‘মাস্ট উইন’। শুক্রবার ম্যাথিউ ওয়েডের টিম ৪ রানে মোহাম্মাদ নবিদের হারিয়ে সাময়িক স্বস্তি পেল। বলা ভালো বেঁচে গেল কোনও মতে।
আফগানিস্তানকে ৪ রানে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া উঠে এল পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। তবে এটাই এ বারের প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ার শেষ ম্যাচ হতে চলেছে কি না তা জানা যাবে শনিবার। সে দিন শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। জস বাটলারের দল জিতলে দু’দলের পয়েন্ট সমান থাকলেও নেট রান রেটের বিচারে সেমিফাইনালে চলে যাবে ইংল্যান্ড। কারণ, সে ক্ষেত্রে দু’দলের জয়ের সংখ্যা হবে একই।
পাঁচ ম্যাচে সাত পয়েন্ট তুলেছে নিউজিল্যান্ড। তাদের নেট রান রেট +২.১১৩ হওয়ায় গ্রুপ সেরা হওয়াও এক প্রকার নিশ্চিত তাদের। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়াও ৭ পয়েন্ট তুলেছে। তবে তাদের নেট রান রেট -০.১৭৩। ইংল্যান্ডের পয়েন্ট চার ম্যাচে পাঁচ। তাদের নেট রান রেট +০.৫৪৭। শেষ ম্যাচে লঙ্কানদের হারালেই ইংলিশদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে। হারলে নিতে হবে বিদায়।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়া টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ১৬৮ রান তোলে। জবাবে আফগানিস্তান গুটিয়ে যায় ১৬৪ রানে। বলা ভালো অল্পের জন্য আফগানরা এই ম্যাচে শেষ হাসি হাসতে পারলেন না!
একার হাতেই ম্যাচ প্রায় কেড়ে নিয়েছিলেন রশিদ খান। বিগ ব্যাশ লিগে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সে খেলার সুবাদে তিনি এই মাঠ দারুণ চেনেন। ফলে কোথায় কী রকম শট মারতে হবে তিনি জানেন। নাজিবুল্লাহ জ়াদরান আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসেছিলেন রশিদ। জশ হেজলউড, প্যাট কামিন্স, মার্কাস স্টোইনিসদের পিটিয়ে প্রায় জয়ের রান তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ করে আসতে পারলেন না।
‘মাস্ট উইন’ ম্যাচে ব্যাটে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় টিম অস্ট্রেলিয়া। আফগান বলার ফজলহক ফারুকি বলে শুরুতেই প্যাভিলিওয়নে ফেরেন অস্ট্রেলিয়ার মারকুটে ব্যাটার ক্যামেরন গ্রিন। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে শুরু করলেও বেশি ক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নার (২৫)। স্টিভ স্মিথের (৪) খারাপ ছন্দ অব্যাহত। এই অবস্থায় দলের হাল ধরে মিচেল মার্শ। তিনটি ৪ এবং দু’টি ৬ সাহায্যে ৩০ বলে ৪৫ করেন তিনি।
পরের দিকে অস্ট্রেলিয়ার হাল ধরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। শুরুর দিকে ধরে খেললেও পরের দিকে হাত তুলে খেলেন। শেষ পর্যন্ত ৩২ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৬টি চার এবং ২টি ছয় মেরেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ১৬৮ রানে। অস্ট্রেলিয়া ১৮৫ রান তুলতে না পারায় নিউজ়িল্যান্ডের সেমিফাইনালে ওঠা তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়।
১৬৯ রানে লক্ষ্যে ব্যাটে আফগানিস্তান শুরুতেই উসমান ঘানিকে হারায়। ভাল খেলছিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ় (৩০)। কিন্তু অতিরিক্ত মারতে গিয়ে উইকেট খোয়ালেন তিনি। ইব্রাহিম জ়াদরান (২৬) এবং গুলবাদিন নাইব (৩৯) চেষ্টা করলেও এক সময় অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেকটাই দূরে চলে যায় আফগানিস্তান।
এখানেই নেমে খেলা ঘোরাতে থাকেন রশিদ। ১৫তম ওভারে রশিদ যখন নামেন, তখন আফগানিস্তানের জিততে প্রায় ৬৬ রান বাকি। প্রথম দিকে কয়েকটি বল খেলে নেন রশিদ। ১৮তম ওভারের শেষ দু’টি বলে কেন রিচার্ডসনকে বিরাট ছক্কা হাঁকান। দু’ওভারে দরকার ছিল ৩৩। পরের ওভারে হেজলউডকে একটি চার এবং একটি ছয় মারেন। শেষ ওভারে বল করতে আসেন স্টোইনিস। দরকার ছিল ২২ রান। প্রথম বলেই ফেরেন দারউইশ রসুলি। কিন্তু রশিদকে স্ট্রাইকে দিয়ে যান। স্টোইনিসকে দু’টি চার এবং একটি ছয় মারলেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি রশিদ। ৪ রানে হেরে যায় তার দল।
শুক্রবার, ০৪ নভেম্বর ২০২২
অ্যাডিলেডে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে জয় অবশ্য এসেছে অস্ট্রেলিয়ার কোনও মতে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ার এই ম্যাচ ছিল ‘মাস্ট উইন’। শুক্রবার ম্যাথিউ ওয়েডের টিম ৪ রানে মোহাম্মাদ নবিদের হারিয়ে সাময়িক স্বস্তি পেল। বলা ভালো বেঁচে গেল কোনও মতে।
আফগানিস্তানকে ৪ রানে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া উঠে এল পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। তবে এটাই এ বারের প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ার শেষ ম্যাচ হতে চলেছে কি না তা জানা যাবে শনিবার। সে দিন শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। জস বাটলারের দল জিতলে দু’দলের পয়েন্ট সমান থাকলেও নেট রান রেটের বিচারে সেমিফাইনালে চলে যাবে ইংল্যান্ড। কারণ, সে ক্ষেত্রে দু’দলের জয়ের সংখ্যা হবে একই।
পাঁচ ম্যাচে সাত পয়েন্ট তুলেছে নিউজিল্যান্ড। তাদের নেট রান রেট +২.১১৩ হওয়ায় গ্রুপ সেরা হওয়াও এক প্রকার নিশ্চিত তাদের। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়াও ৭ পয়েন্ট তুলেছে। তবে তাদের নেট রান রেট -০.১৭৩। ইংল্যান্ডের পয়েন্ট চার ম্যাচে পাঁচ। তাদের নেট রান রেট +০.৫৪৭। শেষ ম্যাচে লঙ্কানদের হারালেই ইংলিশদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে। হারলে নিতে হবে বিদায়।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়া টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ১৬৮ রান তোলে। জবাবে আফগানিস্তান গুটিয়ে যায় ১৬৪ রানে। বলা ভালো অল্পের জন্য আফগানরা এই ম্যাচে শেষ হাসি হাসতে পারলেন না!
একার হাতেই ম্যাচ প্রায় কেড়ে নিয়েছিলেন রশিদ খান। বিগ ব্যাশ লিগে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সে খেলার সুবাদে তিনি এই মাঠ দারুণ চেনেন। ফলে কোথায় কী রকম শট মারতে হবে তিনি জানেন। নাজিবুল্লাহ জ়াদরান আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসেছিলেন রশিদ। জশ হেজলউড, প্যাট কামিন্স, মার্কাস স্টোইনিসদের পিটিয়ে প্রায় জয়ের রান তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ করে আসতে পারলেন না।
‘মাস্ট উইন’ ম্যাচে ব্যাটে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় টিম অস্ট্রেলিয়া। আফগান বলার ফজলহক ফারুকি বলে শুরুতেই প্যাভিলিওয়নে ফেরেন অস্ট্রেলিয়ার মারকুটে ব্যাটার ক্যামেরন গ্রিন। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে শুরু করলেও বেশি ক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নার (২৫)। স্টিভ স্মিথের (৪) খারাপ ছন্দ অব্যাহত। এই অবস্থায় দলের হাল ধরে মিচেল মার্শ। তিনটি ৪ এবং দু’টি ৬ সাহায্যে ৩০ বলে ৪৫ করেন তিনি।
পরের দিকে অস্ট্রেলিয়ার হাল ধরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। শুরুর দিকে ধরে খেললেও পরের দিকে হাত তুলে খেলেন। শেষ পর্যন্ত ৩২ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৬টি চার এবং ২টি ছয় মেরেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ১৬৮ রানে। অস্ট্রেলিয়া ১৮৫ রান তুলতে না পারায় নিউজ়িল্যান্ডের সেমিফাইনালে ওঠা তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়।
১৬৯ রানে লক্ষ্যে ব্যাটে আফগানিস্তান শুরুতেই উসমান ঘানিকে হারায়। ভাল খেলছিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ় (৩০)। কিন্তু অতিরিক্ত মারতে গিয়ে উইকেট খোয়ালেন তিনি। ইব্রাহিম জ়াদরান (২৬) এবং গুলবাদিন নাইব (৩৯) চেষ্টা করলেও এক সময় অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেকটাই দূরে চলে যায় আফগানিস্তান।
এখানেই নেমে খেলা ঘোরাতে থাকেন রশিদ। ১৫তম ওভারে রশিদ যখন নামেন, তখন আফগানিস্তানের জিততে প্রায় ৬৬ রান বাকি। প্রথম দিকে কয়েকটি বল খেলে নেন রশিদ। ১৮তম ওভারের শেষ দু’টি বলে কেন রিচার্ডসনকে বিরাট ছক্কা হাঁকান। দু’ওভারে দরকার ছিল ৩৩। পরের ওভারে হেজলউডকে একটি চার এবং একটি ছয় মারেন। শেষ ওভারে বল করতে আসেন স্টোইনিস। দরকার ছিল ২২ রান। প্রথম বলেই ফেরেন দারউইশ রসুলি। কিন্তু রশিদকে স্ট্রাইকে দিয়ে যান। স্টোইনিসকে দু’টি চার এবং একটি ছয় মারলেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি রশিদ। ৪ রানে হেরে যায় তার দল।