টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিতর্ক চলছেই। যার ফলে ক্রিকেট সংশ্লিষ্ঠ কিংবা সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেই এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন। সুপার টুয়েলভের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অ্যাডিলেড ওভালে বৃষ্টি আইনে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৫ রানের হারের ম্যাচ নিয়ে এখনও চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে ক্রিকেট বিশ্বে। এই ম্যাচে ভেজা মাঠে খেলতে চাননি টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে আম্পায়াররা তার কথায় কর্ণপাত করেননি, যা পরে বাংলাদেশের পরাজয়ে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছিল।
এমনিতেই ভারত ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরাজয়ে সেমিফাইনালের দৌড়ে পিছিয়ে ছিল পাকিস্তান। তার মধ্যে আবার বাংলাদেশের হারে আরও পিছিয়ে পড়ে বাবর আজমের দল। তাই পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা এ ঘটনা নিয়ে বেশ সরব। সাকিবদের এই ম্যাচে হারের পর মুখ খোলেন পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সামা টিভিতে তারকা এই অলরাউন্ডার বলেছিলেন, ‘বৈশ্বিক আসরে ভারত খেললে আইসিসি চাপে থাকে। কারণ এখানে আরও অনেক বিষয় জড়িত থাকে।’
এবার আফ্রিদির মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) নতুন সভাপতি রজার বিনি। ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জেতা সাবেক এই অলরাউন্ডার ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি ভারতের পক্ষ নেওয়ার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন।
আফ্রিদির মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সাবেক এই অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘এভাবে বলা ঠিক হয়নি। আইসিসি আমাদের পক্ষ নেয় বলে মনে করি না। সবাইকে সমান চোখেই দেখা হয়। তাই ওই অভিযোগের কোনো জায়গাই নেই। অন্য দলগুলোর চেয়ে আমরা বেশি কী পেয়ে থাকি? ভারত ক্রিকেটের বড় শক্তি হতে পারে, কিন্তু সবাইকে সমান চোখেই দেখা হয়।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ভারত প্রথমে ব্যাটিং করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান করে। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ৭ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৬ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর বৃষ্টি নামায় বন্ধ হয় খেলা। বৃষ্টি শেষে খেলা পুনরায় শুরু হলে ডাকওয়ার্থ–লুইস নিয়মে বাংলাদেশের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ১৫১।
কিন্তু ম্যাচের মাঝপথে ৫২ মিনিট বৃষ্টির পর খেলা কি দ্রুতই শুরু করা হয়? মাঠ কি তখন প্রস্তুত ছিল? এসব প্রশ্ন উঠছে। বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আরেকটু সময় নিয়ে মাঠ খেলার জন্য প্রস্তুত করতে বলেছিলেন আম্পায়ারদের। কিন্তু তার কথা কর্ণপাত করেননি আম্পায়াররা। ৭ ওভার শেষে যখন বৃষ্টি নামে, খেলা বন্ধ হয়ে গেলে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ১৭ রানে জিতে যেত বাংলাদেশ।
সে ক্ষেত্রে সেমিফাইনালে ওঠার সমীকরণ অনেকটাই কঠিন হয়ে যেত ভারতের। এমনিতেই ভারতকে আইসিসি বাড়তি সুযোগ দেয়, এমন কথা ক্রিকেট মহলে কান পাতলেই শোনা যায়। তাই এ ঘটনার পর অনেকেই দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাচ্ছেন।
বৃষ্টি থামার পর বাংলাদেশ ৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ৭৯ রান। সব মিলিয়ে ৬ উইকেটে ১৪৫ রান তুলে বাংলাদেশ হারে ৫ রানে। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারে সেমিফাইনালের পথ কঠিন হয়ে পড়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের।
আগামীকাল অ্যাডিলেডে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নরা। এই ম্যাচের জয়ী দল সেমিফাইনালের দৌড়ে ঠিকে থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকা-নেদারল্যান্ডস ও ভারত-জিম্বাবুয়ে ম্যাচের ওপর নির্ভর করতে হবে। ফলে মাঠের লড়াইয়ের সঙ্গে বাইরে কথার লড়াই চলছেই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২
শনিবার, ০৫ নভেম্বর ২০২২
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিতর্ক চলছেই। যার ফলে ক্রিকেট সংশ্লিষ্ঠ কিংবা সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেই এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন। সুপার টুয়েলভের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অ্যাডিলেড ওভালে বৃষ্টি আইনে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৫ রানের হারের ম্যাচ নিয়ে এখনও চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে ক্রিকেট বিশ্বে। এই ম্যাচে ভেজা মাঠে খেলতে চাননি টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে আম্পায়াররা তার কথায় কর্ণপাত করেননি, যা পরে বাংলাদেশের পরাজয়ে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছিল।
এমনিতেই ভারত ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরাজয়ে সেমিফাইনালের দৌড়ে পিছিয়ে ছিল পাকিস্তান। তার মধ্যে আবার বাংলাদেশের হারে আরও পিছিয়ে পড়ে বাবর আজমের দল। তাই পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা এ ঘটনা নিয়ে বেশ সরব। সাকিবদের এই ম্যাচে হারের পর মুখ খোলেন পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সামা টিভিতে তারকা এই অলরাউন্ডার বলেছিলেন, ‘বৈশ্বিক আসরে ভারত খেললে আইসিসি চাপে থাকে। কারণ এখানে আরও অনেক বিষয় জড়িত থাকে।’
এবার আফ্রিদির মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) নতুন সভাপতি রজার বিনি। ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জেতা সাবেক এই অলরাউন্ডার ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি ভারতের পক্ষ নেওয়ার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন।
আফ্রিদির মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সাবেক এই অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘এভাবে বলা ঠিক হয়নি। আইসিসি আমাদের পক্ষ নেয় বলে মনে করি না। সবাইকে সমান চোখেই দেখা হয়। তাই ওই অভিযোগের কোনো জায়গাই নেই। অন্য দলগুলোর চেয়ে আমরা বেশি কী পেয়ে থাকি? ভারত ক্রিকেটের বড় শক্তি হতে পারে, কিন্তু সবাইকে সমান চোখেই দেখা হয়।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ভারত প্রথমে ব্যাটিং করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান করে। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ৭ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৬ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর বৃষ্টি নামায় বন্ধ হয় খেলা। বৃষ্টি শেষে খেলা পুনরায় শুরু হলে ডাকওয়ার্থ–লুইস নিয়মে বাংলাদেশের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ১৫১।
কিন্তু ম্যাচের মাঝপথে ৫২ মিনিট বৃষ্টির পর খেলা কি দ্রুতই শুরু করা হয়? মাঠ কি তখন প্রস্তুত ছিল? এসব প্রশ্ন উঠছে। বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আরেকটু সময় নিয়ে মাঠ খেলার জন্য প্রস্তুত করতে বলেছিলেন আম্পায়ারদের। কিন্তু তার কথা কর্ণপাত করেননি আম্পায়াররা। ৭ ওভার শেষে যখন বৃষ্টি নামে, খেলা বন্ধ হয়ে গেলে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ১৭ রানে জিতে যেত বাংলাদেশ।
সে ক্ষেত্রে সেমিফাইনালে ওঠার সমীকরণ অনেকটাই কঠিন হয়ে যেত ভারতের। এমনিতেই ভারতকে আইসিসি বাড়তি সুযোগ দেয়, এমন কথা ক্রিকেট মহলে কান পাতলেই শোনা যায়। তাই এ ঘটনার পর অনেকেই দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাচ্ছেন।
বৃষ্টি থামার পর বাংলাদেশ ৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ৭৯ রান। সব মিলিয়ে ৬ উইকেটে ১৪৫ রান তুলে বাংলাদেশ হারে ৫ রানে। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারে সেমিফাইনালের পথ কঠিন হয়ে পড়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের।
আগামীকাল অ্যাডিলেডে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নরা। এই ম্যাচের জয়ী দল সেমিফাইনালের দৌড়ে ঠিকে থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকা-নেদারল্যান্ডস ও ভারত-জিম্বাবুয়ে ম্যাচের ওপর নির্ভর করতে হবে। ফলে মাঠের লড়াইয়ের সঙ্গে বাইরে কথার লড়াই চলছেই।