কাতারে নিজেদের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নামবেন বিশ্বের অন্যতম দুই সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এই প্রথম দু’জনে এক সঙ্গে অংশ নিলেন বিশ্বকাপের প্রচারে। দুই ফুটবলারকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসেছে ফরাসি ফ্যাশন ব্র্যান্ড। ফুটবলজীবনে কখনও এক সঙ্গে খেলেননি মেসি এবং রোনালদো। বরং পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছেন অনেক বার। বিশেষ করে ক্লাব ফুটবলে তাদের দ্বৈরথকে কেন্দ্র করে বহু বার উত্তাল হয়েছে ফুটবল বিশ্ব। আড়াআড়ি বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা। সেই মেসি এবং রোনালদোই এ বার এক সঙ্গে। এক ফ্রেমে। কাতার বিশ্বকাপের প্রচারের জন্য পাশাপাশি এসেছেন আর্জেন্টিনা এবং পর্তুগালের অধিনায়ক। ফরাসি ফ্যাশন ব্র্যান্ড লুই ভিতঁ, তাদের নতুন বিজ্ঞাপনে এক সঙ্গে হাজির করিয়েছে দু’জনকে। পাশাপাশি নয়। এখানেও তাদের অবস্থান মুখোমুখি। প্রতিপক্ষের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে তাদের। ১০ জনের বদলে ১৬ জন সতীর্থ নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছেন দুই তারকা। তারাই চালনা করছেন সতীর্থদের। বিশ্বকাপের প্রচারের লড়াইয়ে মেসি এবং রোনালদোর সতীর্থরা সকলেই দাবার ঘুঁটি। চোয়াল শক্ত করে ৬৪ ঘরের লড়াইয়ে পরস্পরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন। তাদের দু’জনের এই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজিকমাধ্যমেও। মেসির প্রশংসা শোনা গিয়েছে রোনালদোর মুখে। পর্তুগিজ ফুটবলার বলেছেন, ‘দুর্দান্ত খেলোয়াড়, জাদুকর। মানুষ হিসাবেও দুর্দান্ত। ১৬ বছর ধরে আমরা এই মঞ্চে রয়েছি। ভাবতে পারেন ১৬ বছর! ওর সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক। সে অর্থে আমি ওর বন্ধু নই। ওর সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয় না। কেউ কারও বাড়িতেও যাই না। তবু মেসি আমার কাছে এক জন সতীর্থের মতো।’ রোনালদো আরও বলেছেন, ‘মেসি এমন এক জন মানুষ, যাকে আমি সত্যিই শ্রদ্ধা করি। আমার সম্পর্কে সব সময় ভালো কথা বলে। ওর স্ত্রী এবং আমার বান্ধবীর মধ্যেও পারস্পরিক শ্রদ্ধা রয়েছে। ওরা দু’জনেই আর্জেন্টিনার। আমার বান্ধবীও আর্জেন্টিনার মানুষ। মেসি সম্পর্কে আর কী বলব! ও এক জন দুর্দান্ত মানুষ যে ফুটবলকে অনেক কিছু দিয়েছে।’ ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে কারোরই খেলার সম্ভাবনা নেই। মেসি জানিয়ে দিয়েছেন, কাতারই তার শেষ বিশ্বকাপ। রোনালদো আরও কয়েক বছর খেলার কথা জানালেও পরের বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করা হচ্ছে। ফুটবল মাঠে তাদের শেষ লড়াই হয়তো দেখা যাবে কাতারেই। কারণ, ক্লাব ফুটবলেও তাদের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা এখন বেশ কম। মেসি এবং রোনালদো ফুটবলজীবনে একাধিক খেতাব জিতলেও বিশ্বকাপ দু’জনের কাছেই অধরা।
রোববার, ২০ নভেম্বর ২০২২
কাতারে নিজেদের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নামবেন বিশ্বের অন্যতম দুই সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এই প্রথম দু’জনে এক সঙ্গে অংশ নিলেন বিশ্বকাপের প্রচারে। দুই ফুটবলারকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসেছে ফরাসি ফ্যাশন ব্র্যান্ড। ফুটবলজীবনে কখনও এক সঙ্গে খেলেননি মেসি এবং রোনালদো। বরং পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছেন অনেক বার। বিশেষ করে ক্লাব ফুটবলে তাদের দ্বৈরথকে কেন্দ্র করে বহু বার উত্তাল হয়েছে ফুটবল বিশ্ব। আড়াআড়ি বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা। সেই মেসি এবং রোনালদোই এ বার এক সঙ্গে। এক ফ্রেমে। কাতার বিশ্বকাপের প্রচারের জন্য পাশাপাশি এসেছেন আর্জেন্টিনা এবং পর্তুগালের অধিনায়ক। ফরাসি ফ্যাশন ব্র্যান্ড লুই ভিতঁ, তাদের নতুন বিজ্ঞাপনে এক সঙ্গে হাজির করিয়েছে দু’জনকে। পাশাপাশি নয়। এখানেও তাদের অবস্থান মুখোমুখি। প্রতিপক্ষের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে তাদের। ১০ জনের বদলে ১৬ জন সতীর্থ নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছেন দুই তারকা। তারাই চালনা করছেন সতীর্থদের। বিশ্বকাপের প্রচারের লড়াইয়ে মেসি এবং রোনালদোর সতীর্থরা সকলেই দাবার ঘুঁটি। চোয়াল শক্ত করে ৬৪ ঘরের লড়াইয়ে পরস্পরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন। তাদের দু’জনের এই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজিকমাধ্যমেও। মেসির প্রশংসা শোনা গিয়েছে রোনালদোর মুখে। পর্তুগিজ ফুটবলার বলেছেন, ‘দুর্দান্ত খেলোয়াড়, জাদুকর। মানুষ হিসাবেও দুর্দান্ত। ১৬ বছর ধরে আমরা এই মঞ্চে রয়েছি। ভাবতে পারেন ১৬ বছর! ওর সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক। সে অর্থে আমি ওর বন্ধু নই। ওর সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয় না। কেউ কারও বাড়িতেও যাই না। তবু মেসি আমার কাছে এক জন সতীর্থের মতো।’ রোনালদো আরও বলেছেন, ‘মেসি এমন এক জন মানুষ, যাকে আমি সত্যিই শ্রদ্ধা করি। আমার সম্পর্কে সব সময় ভালো কথা বলে। ওর স্ত্রী এবং আমার বান্ধবীর মধ্যেও পারস্পরিক শ্রদ্ধা রয়েছে। ওরা দু’জনেই আর্জেন্টিনার। আমার বান্ধবীও আর্জেন্টিনার মানুষ। মেসি সম্পর্কে আর কী বলব! ও এক জন দুর্দান্ত মানুষ যে ফুটবলকে অনেক কিছু দিয়েছে।’ ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে কারোরই খেলার সম্ভাবনা নেই। মেসি জানিয়ে দিয়েছেন, কাতারই তার শেষ বিশ্বকাপ। রোনালদো আরও কয়েক বছর খেলার কথা জানালেও পরের বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করা হচ্ছে। ফুটবল মাঠে তাদের শেষ লড়াই হয়তো দেখা যাবে কাতারেই। কারণ, ক্লাব ফুটবলেও তাদের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা এখন বেশ কম। মেসি এবং রোনালদো ফুটবলজীবনে একাধিক খেতাব জিতলেও বিশ্বকাপ দু’জনের কাছেই অধরা।