কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
জার্মানি রবিবার স্পেনের কাছে পরাজয় এড়িয়ে নক আউট পর্বে ওঠার আশা বাচিয়ে রেখেছে। নিকোলাস ফুয়েলক্রুগের ৮৩ মিনিটের গোল জার্মানিকে এনে দেয় স্পেনের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র। দেশের হয়ে নিজের তৃতীয় ম্যাচ খেলা ফুয়েলক্রুগ আপাতত বাচিয়ে রেখেছেন দেশের আশা।
এ ম্যাচে পরাজয় এড়ানোয় জার্মানিকে নক আউট পর্বে খেলতে হলে শেষ ম্যাচে অবশ্যই কোস্টা রিকাকে পরাজিত করতে হবে। ম্যাচটি ড্র হওয়ায় স্পেনেরও নক আউট পর্ব নিশ্চিত হয়নি। গ্রুপের বাকি দুই দল জাপান এবং কোস্টা রিকার সামনেও আছে নক আউট পর্বে খেলার হাতছানি।
প্রথম ম্যাচে জাপানের কাছে পরাজিত হওয়ার পর জার্মানির আত্মবিশ^াসেই চিড় ধরেছিল। এ ম্যাচের ৬২ মিনিটে তারা গোল খেয়ে বসলে মনে হচ্ছিল নক আউটের আগেই হয়তো বিদায় নিতে হবে সাবেক চ্যাম্পিয়নদের। আলভারো মোরাতা বদলি হিসেবে মাঠে নামার আট মিনিটের মধ্যেই জর্দি আলবার ক্রসে ফ্লিক করে স্পেনকে এগিয়ে দেন। স্পেনের কাছে পরাজিত হলে জার্মানির সামনে নক আউটে খেলার কোন রাস্তাই বাস্তবে খোলা থাকতো না।
এমন কঠিন পরিস্থিতি ভেঙ্গে না পড়ে জার্মানি চেষ্টা অব্যাহত রাখে এবং ৮৩ মিনিটে সমতা ফেরায়। জামাল মুসিয়ালা দুজন ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বল দেন ফুয়েলক্রুগপকে এবং তিনি বল জালে পাঠিয়ে সমতা ফেরান। থমাস মুলারের বদলি হিসেবে মাঠে নামানো হয় ফুয়েলবোর্গকে। অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার মুলারের সময়টা ভাল যাচ্ছে না। তিনি জাপানের বিপক্ষেও ব্যর্থ হয়েছিলেন।
জার্মানির কোচ ফ্লিক বলেন, ‘আমরা জানতাম পরিস্থিতি কতটা কঠিন এবং আমাদের করনীয় কী। দল যখন জিততে থাকে তখন কোন সমস্যা থাকে না। এ ম্যাচে পাওয়া গোল আমাদের আস্থা বাড়িয়ে দেবে এবং পরের ম্যাচ ভাল খেলতে উজ্জীবিত করবে।’
স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে ম্যাচ ড্র করায় হতাশ। তিনি বলেন, ‘দুই ম্যাচ শেষে আমরা পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছি। আমাদেরটি একটি কঠিন গ্রুপ। আমাদের ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে পরের ম্যাচ খেলতে হবে।’
প্রথম ম্যাচে কোস্টা রিকার জালে সাত গোল দেয়ায় স্পেনিশরা ছিল বেশ আত্মবিশ^াসী। তারা হালকা মেজাজেই ম্যাচটি শুরু করে। সাত মিনিটে গোলের সুযোগও তৈরী করে স্পেন। দানি ওলমোর শট দুই হাতে বাচিয়ে দেন ম্যানুয়েল নয়্যার। ৩৯ মিনিটে জশুয়া কিমিখের ফ্রি কিকে হেড দিয়ে অ্যান্টনিও রুডিগার বল জালে পাঠিয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন। কিন্তু রেফারি ভিএআর দেখে অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল করে দেন।
৫৬ মিনিটে উনাই সিমন দারুন দক্ষতায় বাচিয়ে দেন কিমিখের একটি শট।
দুই ম্যাচ থেকে স্পেনের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। শেষ ম্যাচে জাপানের সাথে ড্র করলেই তারা নক আউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। জাপানকে পরাজিত করতে পারলে তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে।
এক পয়েন্ট নিয়ে জার্মানি আছে সবার নিচে। শেষ ম্যাচে কোস্টারিকাকে পরাজিত করার পর তাদের প্রত্যাশা থাকবে জাপানের পরাজয়। যদি জাপান ড্র করে ফেলে তাহলে দুই দলের পয়েন্ট সমান হয়ে যাবে এবং তখন গোল পার্থক্য এগিয়ে থাকা দল নক আউট পর্বে খেলার সুযোগ পাবে।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২
জার্মানি রবিবার স্পেনের কাছে পরাজয় এড়িয়ে নক আউট পর্বে ওঠার আশা বাচিয়ে রেখেছে। নিকোলাস ফুয়েলক্রুগের ৮৩ মিনিটের গোল জার্মানিকে এনে দেয় স্পেনের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র। দেশের হয়ে নিজের তৃতীয় ম্যাচ খেলা ফুয়েলক্রুগ আপাতত বাচিয়ে রেখেছেন দেশের আশা।
এ ম্যাচে পরাজয় এড়ানোয় জার্মানিকে নক আউট পর্বে খেলতে হলে শেষ ম্যাচে অবশ্যই কোস্টা রিকাকে পরাজিত করতে হবে। ম্যাচটি ড্র হওয়ায় স্পেনেরও নক আউট পর্ব নিশ্চিত হয়নি। গ্রুপের বাকি দুই দল জাপান এবং কোস্টা রিকার সামনেও আছে নক আউট পর্বে খেলার হাতছানি।
প্রথম ম্যাচে জাপানের কাছে পরাজিত হওয়ার পর জার্মানির আত্মবিশ^াসেই চিড় ধরেছিল। এ ম্যাচের ৬২ মিনিটে তারা গোল খেয়ে বসলে মনে হচ্ছিল নক আউটের আগেই হয়তো বিদায় নিতে হবে সাবেক চ্যাম্পিয়নদের। আলভারো মোরাতা বদলি হিসেবে মাঠে নামার আট মিনিটের মধ্যেই জর্দি আলবার ক্রসে ফ্লিক করে স্পেনকে এগিয়ে দেন। স্পেনের কাছে পরাজিত হলে জার্মানির সামনে নক আউটে খেলার কোন রাস্তাই বাস্তবে খোলা থাকতো না।
এমন কঠিন পরিস্থিতি ভেঙ্গে না পড়ে জার্মানি চেষ্টা অব্যাহত রাখে এবং ৮৩ মিনিটে সমতা ফেরায়। জামাল মুসিয়ালা দুজন ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বল দেন ফুয়েলক্রুগপকে এবং তিনি বল জালে পাঠিয়ে সমতা ফেরান। থমাস মুলারের বদলি হিসেবে মাঠে নামানো হয় ফুয়েলবোর্গকে। অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার মুলারের সময়টা ভাল যাচ্ছে না। তিনি জাপানের বিপক্ষেও ব্যর্থ হয়েছিলেন।
জার্মানির কোচ ফ্লিক বলেন, ‘আমরা জানতাম পরিস্থিতি কতটা কঠিন এবং আমাদের করনীয় কী। দল যখন জিততে থাকে তখন কোন সমস্যা থাকে না। এ ম্যাচে পাওয়া গোল আমাদের আস্থা বাড়িয়ে দেবে এবং পরের ম্যাচ ভাল খেলতে উজ্জীবিত করবে।’
স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে ম্যাচ ড্র করায় হতাশ। তিনি বলেন, ‘দুই ম্যাচ শেষে আমরা পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছি। আমাদেরটি একটি কঠিন গ্রুপ। আমাদের ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে পরের ম্যাচ খেলতে হবে।’
প্রথম ম্যাচে কোস্টা রিকার জালে সাত গোল দেয়ায় স্পেনিশরা ছিল বেশ আত্মবিশ^াসী। তারা হালকা মেজাজেই ম্যাচটি শুরু করে। সাত মিনিটে গোলের সুযোগও তৈরী করে স্পেন। দানি ওলমোর শট দুই হাতে বাচিয়ে দেন ম্যানুয়েল নয়্যার। ৩৯ মিনিটে জশুয়া কিমিখের ফ্রি কিকে হেড দিয়ে অ্যান্টনিও রুডিগার বল জালে পাঠিয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন। কিন্তু রেফারি ভিএআর দেখে অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল করে দেন।
৫৬ মিনিটে উনাই সিমন দারুন দক্ষতায় বাচিয়ে দেন কিমিখের একটি শট।
দুই ম্যাচ থেকে স্পেনের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। শেষ ম্যাচে জাপানের সাথে ড্র করলেই তারা নক আউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। জাপানকে পরাজিত করতে পারলে তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে।
এক পয়েন্ট নিয়ে জার্মানি আছে সবার নিচে। শেষ ম্যাচে কোস্টারিকাকে পরাজিত করার পর তাদের প্রত্যাশা থাকবে জাপানের পরাজয়। যদি জাপান ড্র করে ফেলে তাহলে দুই দলের পয়েন্ট সমান হয়ে যাবে এবং তখন গোল পার্থক্য এগিয়ে থাকা দল নক আউট পর্বে খেলার সুযোগ পাবে।