ইংল্যান্ড গতকাল রোববার বিশ্বকাপ ফুটবলের দ্বিতীয় রাউন্ডে ৩-০ গোলে আফ্রিকার দেশ সেনেগালকে পরাজিত করে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড মুখোমুখি হবে ফ্রান্সের। ফ্রান্স এর আগে ৩-১ গোলে পোল্যান্ডকে পরাজিত করে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে।

এবারের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে অঘটন ঘটলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে এখন পর্যন্ত ফেবারিটরাই জিতেছে। এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে নেদারল্যান্ডস, আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের মতো দলগুলো। এবার তাদের সঙ্গে যোগ হলো ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড মূলত পেশাদার দলের মতো খেলেই জয়ী হয়েছে আফ্রিকান দলটির বিপক্ষে।

সেনেগাল ম্যাচের প্রথম দিকে দু-একটি সুযোগ সৃষ্টি করতে পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে তেমন কিছুই করতে পারেনি। শুরুর দিকে ইসমাইলা সার একবার পোস্টে শট মারার সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু সেটি ধরে নেন ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। এছাড়া হ্যামি ম্যাগুইর দুইবার বল দিয়ে দেন প্রতিপক্ষের পায়ে। আরেকবার ঠিকমতো বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন জুড বেলিংহ্যাম। কোচ সাউদগেট আতঙ্কিত না হয়ে তাদের উপরই আস্থা রাখেন এবং ধীরে ধীরে তারা নিজেদের সুধরে নেন। এছাড়া সেনেগাল একবার পেনাল্টির দাবি করেছিল। কিন্তু ভিএআর-এ দেখা যায় যে বল জন স্টোন্সের হাতে লাগার আগে হাঁটুতে লেগেছিল। তাই রেফারি পেনাল্টির দাবি নাকচ করে দেন।

এ সময় পর্যন্ত সেনেগাল হয়তো ম্যাচ জেতার স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু এর পরই কাউন্টার অ্যাটাকে ইংল্যান্ড গোল করে পরিস্থিতি পাল্টে দেয়। ৩৮ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম গোলটি করেন জর্ডান হেন্ডারসন। বেলিংহ্যামের কাট ব্যাক থেকে তিনি পরাস্ত করেন এডুয়ার্ডো মেন্ডিকে। বিরতির আগেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অধিনায়ক হ্যারি কেইন। বাম দিক থেকে ফিল ফোডেনের চমৎকার পাসে পা লাগিয়ে গোলটি করেন কেইন। ইংল্যান্ড বিরতিতে যায় ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে। চলতি বিশ্বকাপে কেইনের এটা ছিল প্রথম গোল।

প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ায় ইংল্যান্ডের জয় নিয়ে তেমন কোন সংশয় ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে ইংল্যান্ড পেশাদারি ফুটবল খেলা সুযোগ পেয়েছে। কোচও সুযোগ পেয়েছেন কয়েকজন খেলোয়াড়কে মাঠে নামিয়ে তাদের খেলার সুযোগ করে দেয়ার। কারণ কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলার জন্য প্রচুর এনার্জি থাকতে হবে।

বুকায়ো সাকা করেন তৃতীয় গোল। ৫৭ মিনিটে তিনি গোলটি করেন। কেইন ও লুক শ মিলে চমৎকারভাবে আক্রমণটি গড়েন এবং পেনাল্টি বক্সে বল দিলে সাকা সেটিকে গোলে পরিণত করেন। এর মাধ্যমে ইংল্যান্ড টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো।