alt

সম্পাদকীয়

অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

: সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সরইখাল ও সফুরাখাল থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। এ কারণে হুমকির মুখে পড়েছে লোহাগাড়া-লামা সংযোগ রক্ষাকারী সেতু ও জঙ্গল পদুয়ার রাস্তা। পাশাপাশি বিলীন হচ্ছে এলাকার জনগণের ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বালু তোলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

বালু তোলার কারণে পাঁচ বছর আগে সেতুটি ভেঙে গিয়েছিল। পরে সেটা পুনঃনির্মাণ করা হয়। আবারও যদি সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে সমস্যায় পড়বে এলাকার জনগণ। শুধু যে লোহাগাড়ার দুটি খাল থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে তা নয়। দেশের বহু নদ-নদী ও জলাধার থেকে বালু তোলার খবর গণমাধ্যমে পাওয়া যায়।

বালু তোলার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানতে হবে। প্রকৃতির বিভিন্ন উৎস থেকে নিয়ম মেনে বালু তোলার ভালো দিকও রয়েছে। বালু তুলে দারিদ্র্যবিমোচন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব। আবার উদ্ভিদ ও প্রাণীর নতুন আবাস ও নতুন জলাধার সৃষ্টি করা যায়।

বালু উত্তোলনের ক্ষেত্রে স্থান, আয়তন, সময় এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার জীববৈচিত্র্যের কথাটিও মাথায় রাখতে হবে; কিন্তু দেশে বালু তোলার ক্ষেত্রে সেসব কি মানা হয়- এটা একটা প্রশ্ন। যথেচ্ছভাবে বালু তোলা হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়।

২০১০ সালের বালুমহাল আইনে বলা আছে- বিপণনের উদ্দেশ্যে কোনো উন্মুক্ত স্থান, চা-বাগানের ছড়া বা নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন করা যাবে না। এটা যে কেউ অমান্য করলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গন্য হবে।

আমরা বলতে চাই, যারা নিয়মের তোয়াক্কা না করে বালু তুলছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে জনগণের ভোগান্তির কোনো শেষ থাকবে না। লোহাগাড়াসহ দেশের যেখানেই অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে তা বন্ধ করতে হবে। আর যারা এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

বনদস্যুদের অত্যাচার থেকে জেলে-বাওয়ালিদের রক্ষা করুন

আবার শ্রমিক অসন্তোষ

রংপুরে খাদ্যগুদামের চাল-গম আত্মসাতের অভিযোগ

পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করুন

ঈদে মিলাদুন্নবী

মজুদ যথেষ্ট, তারপরও কেন বাড়ছে চালের দাম

গ্রামগঞ্জেও বিস্তৃত হচ্ছে ডেঙ্গু, সতর্ক থাকতে হবে

নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি মিলছে না

স্টিয়ারিং নয়, এসব শিশু-কিশোরে হাতে বই-খাতা দেখতে চাই

শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিক অসন্তোষ দূর হোক

নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ করুন

পাহাড় ধসে মর্মান্তিক মৃত্যু

লক্ষ্মীপুরে বন্যার পানি ধীরে নামছে কেন

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ : দালাল চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শ্রমিক বিক্ষোভ : আলোচনায় সমাধান খুঁজুন

ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা

গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও বিচার করা জরুরি

লুটপাট-অগ্নিকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

সচিবালয়ে সংঘাত-সংঘর্ষ : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

ভয়াবহ বন্যা : বিভ্রান্তি নয়, মানুষকে প্রকৃত তথ্য জানান

পাট জাগ দিতে ‘রিবন রেটিং’ পদ্ধতির প্রসার বাড়াতে হবে

মানুষ হিসেবে অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান

দখল-লুটপাটের অপসংস্কৃতি

বিচার বিভাগে রদবদল

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে কিছু প্রশ্ন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: শুভকামনা, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন

মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন, প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরান

এই অরাজকতা চলতে দেওয়া যায় না, সবাইকে সংযত হতে হবে

অরাজকতা বন্ধ হোক, শান্তি ফিরুক

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

tab

সম্পাদকীয়

অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সরইখাল ও সফুরাখাল থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। এ কারণে হুমকির মুখে পড়েছে লোহাগাড়া-লামা সংযোগ রক্ষাকারী সেতু ও জঙ্গল পদুয়ার রাস্তা। পাশাপাশি বিলীন হচ্ছে এলাকার জনগণের ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বালু তোলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

বালু তোলার কারণে পাঁচ বছর আগে সেতুটি ভেঙে গিয়েছিল। পরে সেটা পুনঃনির্মাণ করা হয়। আবারও যদি সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে সমস্যায় পড়বে এলাকার জনগণ। শুধু যে লোহাগাড়ার দুটি খাল থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে তা নয়। দেশের বহু নদ-নদী ও জলাধার থেকে বালু তোলার খবর গণমাধ্যমে পাওয়া যায়।

বালু তোলার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানতে হবে। প্রকৃতির বিভিন্ন উৎস থেকে নিয়ম মেনে বালু তোলার ভালো দিকও রয়েছে। বালু তুলে দারিদ্র্যবিমোচন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব। আবার উদ্ভিদ ও প্রাণীর নতুন আবাস ও নতুন জলাধার সৃষ্টি করা যায়।

বালু উত্তোলনের ক্ষেত্রে স্থান, আয়তন, সময় এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার জীববৈচিত্র্যের কথাটিও মাথায় রাখতে হবে; কিন্তু দেশে বালু তোলার ক্ষেত্রে সেসব কি মানা হয়- এটা একটা প্রশ্ন। যথেচ্ছভাবে বালু তোলা হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়।

২০১০ সালের বালুমহাল আইনে বলা আছে- বিপণনের উদ্দেশ্যে কোনো উন্মুক্ত স্থান, চা-বাগানের ছড়া বা নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন করা যাবে না। এটা যে কেউ অমান্য করলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গন্য হবে।

আমরা বলতে চাই, যারা নিয়মের তোয়াক্কা না করে বালু তুলছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে জনগণের ভোগান্তির কোনো শেষ থাকবে না। লোহাগাড়াসহ দেশের যেখানেই অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে তা বন্ধ করতে হবে। আর যারা এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top