চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সরইখাল ও সফুরাখাল থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। এ কারণে হুমকির মুখে পড়েছে লোহাগাড়া-লামা সংযোগ রক্ষাকারী সেতু ও জঙ্গল পদুয়ার রাস্তা। পাশাপাশি বিলীন হচ্ছে এলাকার জনগণের ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বালু তোলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
বালু তোলার কারণে পাঁচ বছর আগে সেতুটি ভেঙে গিয়েছিল। পরে সেটা পুনঃনির্মাণ করা হয়। আবারও যদি সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে সমস্যায় পড়বে এলাকার জনগণ। শুধু যে লোহাগাড়ার দুটি খাল থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে তা নয়। দেশের বহু নদ-নদী ও জলাধার থেকে বালু তোলার খবর গণমাধ্যমে পাওয়া যায়।
বালু তোলার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানতে হবে। প্রকৃতির বিভিন্ন উৎস থেকে নিয়ম মেনে বালু তোলার ভালো দিকও রয়েছে। বালু তুলে দারিদ্র্যবিমোচন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব। আবার উদ্ভিদ ও প্রাণীর নতুন আবাস ও নতুন জলাধার সৃষ্টি করা যায়।
বালু উত্তোলনের ক্ষেত্রে স্থান, আয়তন, সময় এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার জীববৈচিত্র্যের কথাটিও মাথায় রাখতে হবে; কিন্তু দেশে বালু তোলার ক্ষেত্রে সেসব কি মানা হয়- এটা একটা প্রশ্ন। যথেচ্ছভাবে বালু তোলা হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
২০১০ সালের বালুমহাল আইনে বলা আছে- বিপণনের উদ্দেশ্যে কোনো উন্মুক্ত স্থান, চা-বাগানের ছড়া বা নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন করা যাবে না। এটা যে কেউ অমান্য করলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গন্য হবে।
আমরা বলতে চাই, যারা নিয়মের তোয়াক্কা না করে বালু তুলছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে জনগণের ভোগান্তির কোনো শেষ থাকবে না। লোহাগাড়াসহ দেশের যেখানেই অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে তা বন্ধ করতে হবে। আর যারা এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সরইখাল ও সফুরাখাল থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। এ কারণে হুমকির মুখে পড়েছে লোহাগাড়া-লামা সংযোগ রক্ষাকারী সেতু ও জঙ্গল পদুয়ার রাস্তা। পাশাপাশি বিলীন হচ্ছে এলাকার জনগণের ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বালু তোলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
বালু তোলার কারণে পাঁচ বছর আগে সেতুটি ভেঙে গিয়েছিল। পরে সেটা পুনঃনির্মাণ করা হয়। আবারও যদি সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে সমস্যায় পড়বে এলাকার জনগণ। শুধু যে লোহাগাড়ার দুটি খাল থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে তা নয়। দেশের বহু নদ-নদী ও জলাধার থেকে বালু তোলার খবর গণমাধ্যমে পাওয়া যায়।
বালু তোলার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানতে হবে। প্রকৃতির বিভিন্ন উৎস থেকে নিয়ম মেনে বালু তোলার ভালো দিকও রয়েছে। বালু তুলে দারিদ্র্যবিমোচন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব। আবার উদ্ভিদ ও প্রাণীর নতুন আবাস ও নতুন জলাধার সৃষ্টি করা যায়।
বালু উত্তোলনের ক্ষেত্রে স্থান, আয়তন, সময় এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার জীববৈচিত্র্যের কথাটিও মাথায় রাখতে হবে; কিন্তু দেশে বালু তোলার ক্ষেত্রে সেসব কি মানা হয়- এটা একটা প্রশ্ন। যথেচ্ছভাবে বালু তোলা হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
২০১০ সালের বালুমহাল আইনে বলা আছে- বিপণনের উদ্দেশ্যে কোনো উন্মুক্ত স্থান, চা-বাগানের ছড়া বা নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন করা যাবে না। এটা যে কেউ অমান্য করলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গন্য হবে।
আমরা বলতে চাই, যারা নিয়মের তোয়াক্কা না করে বালু তুলছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে জনগণের ভোগান্তির কোনো শেষ থাকবে না। লোহাগাড়াসহ দেশের যেখানেই অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে তা বন্ধ করতে হবে। আর যারা এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।