দেশের বেদে সম্প্রদায়ের অনেক শিশু এখনো শিক্ষাবঞ্চিত। এ সম্প্রদায়ের মানুষ সাধারণত নির্দিষ্ট জায়গায় বসবাস করে না। এটা তাদের শিশুদের শিক্ষা প্রাপ্তির পথে একটা বাধা।
তবে এর বাইরে আরও অনেক কারণ রয়েছে। কখনো কখনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও অবহেলার শিকার হয় তারা। এক্ষেত্রে হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌর শহরের নোয়াগাঁও বেদেপল্লীর শিশুদের কথা বলা যায়। সেখানে বেদে শিশুদের জন্মসনদ দিচ্ছে না পৌর কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ উঠেছে যে, নানা অজুহাত দেখিয়ে বেদে শিশুদের বাবা-মাকে ঘোরানো হচ্ছে।
নোয়াগাঁও বেদেপল্লীতে ১৫ বছর ধরে বাস করছে শতাধিক পরিবার। জন্মসনদের অভাবে অনেক শিশু স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না। আবার যারা ভর্তি হতে পেরেছে তারা বঞ্চিত হচ্ছে উপবৃত্তি থেকে। ফলে যারা ভর্তি হয়েছিল, তারা উপবৃত্তি না পেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
দেশে বেদে সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা ৮ লাখ। এরা দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৬ হাজারটি দলে বিভক্ত হয়ে বাস করে। আর বছরের প্রায় ১০ মাসই এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়ায়। শতকরা ৯৮ ভাগেরও বেশি বেদে দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। তারাও রাষ্ট্রের নাগরিক। রাষ্ট্রের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার অধিকার তাদের আছে। তাহলে নোয়াগাঁও বেদেপল্লীর সন্তানদের জন্মসনদ দিতে বাধা কোথায়?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ শিশুদের মতো মূলধারার শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বেদেপল্লীর শিশুদের। প্রয়োজন হলে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ শিক্ষা কর্মসূচি চালু করতে হবে।
নোয়াগাঁও বেদেপল্লীর শিশুরা যাতে দ্রুত জন্মসনদ ও তাদের বাবা-মা জাতীয় পরিচয়পত্র পায় সে ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নেবে- এটা আমরা আশা করব। পৌর কর্তৃপক্ষ বেদে শিশুদের জন্মসনদ দিতে নানান অজুহাত দেখাচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে সেটি আমলে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কারও কোনো গাফিলতি বা অবহেলা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশের বেদে সম্প্রদায়ের অনেক শিশু এখনো শিক্ষাবঞ্চিত। এ সম্প্রদায়ের মানুষ সাধারণত নির্দিষ্ট জায়গায় বসবাস করে না। এটা তাদের শিশুদের শিক্ষা প্রাপ্তির পথে একটা বাধা।
তবে এর বাইরে আরও অনেক কারণ রয়েছে। কখনো কখনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও অবহেলার শিকার হয় তারা। এক্ষেত্রে হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌর শহরের নোয়াগাঁও বেদেপল্লীর শিশুদের কথা বলা যায়। সেখানে বেদে শিশুদের জন্মসনদ দিচ্ছে না পৌর কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ উঠেছে যে, নানা অজুহাত দেখিয়ে বেদে শিশুদের বাবা-মাকে ঘোরানো হচ্ছে।
নোয়াগাঁও বেদেপল্লীতে ১৫ বছর ধরে বাস করছে শতাধিক পরিবার। জন্মসনদের অভাবে অনেক শিশু স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না। আবার যারা ভর্তি হতে পেরেছে তারা বঞ্চিত হচ্ছে উপবৃত্তি থেকে। ফলে যারা ভর্তি হয়েছিল, তারা উপবৃত্তি না পেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
দেশে বেদে সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা ৮ লাখ। এরা দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৬ হাজারটি দলে বিভক্ত হয়ে বাস করে। আর বছরের প্রায় ১০ মাসই এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়ায়। শতকরা ৯৮ ভাগেরও বেশি বেদে দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। তারাও রাষ্ট্রের নাগরিক। রাষ্ট্রের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার অধিকার তাদের আছে। তাহলে নোয়াগাঁও বেদেপল্লীর সন্তানদের জন্মসনদ দিতে বাধা কোথায়?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ শিশুদের মতো মূলধারার শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বেদেপল্লীর শিশুদের। প্রয়োজন হলে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ শিক্ষা কর্মসূচি চালু করতে হবে।
নোয়াগাঁও বেদেপল্লীর শিশুরা যাতে দ্রুত জন্মসনদ ও তাদের বাবা-মা জাতীয় পরিচয়পত্র পায় সে ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নেবে- এটা আমরা আশা করব। পৌর কর্তৃপক্ষ বেদে শিশুদের জন্মসনদ দিতে নানান অজুহাত দেখাচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে সেটি আমলে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কারও কোনো গাফিলতি বা অবহেলা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।