গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জোরালো হচ্ছে। আরব দেশগুলো অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। আরব দুনিয়ার বাইরেও অনেকে এই দাবি তুলেছেন। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘এটা যুদ্ধের সময়। গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে না’।
যুদ্ধবিরতিতে সায় দেয়নি ইসরায়েলের মিত্ররাও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, এখন যুদ্ধবিরতি হলে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসকে দমন করা সম্ভব হবে না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে যুদ্ধবিরোধী মনোভাব তীব্র হচ্ছে। অনেক দল, সংগঠন ও ব্যক্তি যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। চাপের মুখে দেশটি ‘মানবিক বিরতি’র কথা বলছে। যাতে করে গাজায় বন্দী বা জিম্মি মানুষ মুক্তি পেতে পারে। তবে এতেও রাজি হয়নি ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলের ভেতরে যেভাবে হামলা চালিয়েছে সেটা সমর্থনযোগ্য নয়। তবে সেই হামলা কেন করা হয়েছে সেটা ওয়াকিবহাল মানুষ মাত্রই জানেন। হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় যা করছে সেটাকে বর্বর বললেও কম বলা হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রায় সাড়ে নয় হাজার মানুষ মারা গেছে। তাদের হামলা থেকে হাসপাতাল বা স্কুলও রক্ষা পায়নি। নারী, শিশু, অসুস্থ মানুষও তাদের হামলার করুণ লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। সেখানে পানি, বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট সেবা বিপর্যয়ের কারণে মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে উদ্ভুত সংকট নিরসনে শক্তিধর কোনো কোনো রাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইসরায়েলের মিত্রদের বিরুদ্ধে ‘দ্বিচারিতার নীতি’ অনুসরণের অভিযোগ উঠেছে। মিত্র কোনো দেশ অন্যায়-অনাচার করলেও তার পক্ষে দাঁড়ানো, তাকে দৃঢ় সমর্থন দেয়া আর প্রতিপক্ষ কোনো দেশের ন্যায় বা ন্যায়সঙ্গত দাবিকে উপেক্ষা করা দ্বিচারিতারই নামান্তর। আমরা মনে করি, এই দ্বিচারিতার কারণেই ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের টেকসই সমাধান হচ্ছে না। বিশ্বে আরও অনেক সংকটেরই কারণই হচ্ছে শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর দ্বিমুখী আচরণ।
আমরা মনে করি, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা মানে গণহত্যাকে সমর্থন করা। আত্মরক্ষার নামে মানুষ হত্যা মানা যায় না। মানবতাকে পদদলিত করে কোথাও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না আর কোনো দেশের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যায় না। আমরা আশা করব, শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর দ্বিচারিতার অবসান হবে। তারা দ্বিমুখী আচরণ থেকে বিরত থাকবে। গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বর্বর হামলা বন্ধ করতে হবে।
আশার কথা হচ্ছে, যুদ্ধের বিরুদ্ধে ও মানবতার পক্ষে অনেকেই সোচ্চার হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রেও অনেকে আওয়াজ তুলেছেন। আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই। আমরা আশা করব, সব পক্ষের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, গাজায় যুদ্ধবিরতি দেয়া হবে। পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবির যথাযথ সুরাহা হওয়া দরকার। এটা না হওয়া পর্যন্ত ওই অঞ্চলে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা পাবে না।
রোববার, ০৫ নভেম্বর ২০২৩
গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জোরালো হচ্ছে। আরব দেশগুলো অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। আরব দুনিয়ার বাইরেও অনেকে এই দাবি তুলেছেন। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘এটা যুদ্ধের সময়। গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে না’।
যুদ্ধবিরতিতে সায় দেয়নি ইসরায়েলের মিত্ররাও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, এখন যুদ্ধবিরতি হলে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসকে দমন করা সম্ভব হবে না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে যুদ্ধবিরোধী মনোভাব তীব্র হচ্ছে। অনেক দল, সংগঠন ও ব্যক্তি যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। চাপের মুখে দেশটি ‘মানবিক বিরতি’র কথা বলছে। যাতে করে গাজায় বন্দী বা জিম্মি মানুষ মুক্তি পেতে পারে। তবে এতেও রাজি হয়নি ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলের ভেতরে যেভাবে হামলা চালিয়েছে সেটা সমর্থনযোগ্য নয়। তবে সেই হামলা কেন করা হয়েছে সেটা ওয়াকিবহাল মানুষ মাত্রই জানেন। হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় যা করছে সেটাকে বর্বর বললেও কম বলা হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রায় সাড়ে নয় হাজার মানুষ মারা গেছে। তাদের হামলা থেকে হাসপাতাল বা স্কুলও রক্ষা পায়নি। নারী, শিশু, অসুস্থ মানুষও তাদের হামলার করুণ লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। সেখানে পানি, বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট সেবা বিপর্যয়ের কারণে মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে উদ্ভুত সংকট নিরসনে শক্তিধর কোনো কোনো রাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইসরায়েলের মিত্রদের বিরুদ্ধে ‘দ্বিচারিতার নীতি’ অনুসরণের অভিযোগ উঠেছে। মিত্র কোনো দেশ অন্যায়-অনাচার করলেও তার পক্ষে দাঁড়ানো, তাকে দৃঢ় সমর্থন দেয়া আর প্রতিপক্ষ কোনো দেশের ন্যায় বা ন্যায়সঙ্গত দাবিকে উপেক্ষা করা দ্বিচারিতারই নামান্তর। আমরা মনে করি, এই দ্বিচারিতার কারণেই ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের টেকসই সমাধান হচ্ছে না। বিশ্বে আরও অনেক সংকটেরই কারণই হচ্ছে শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর দ্বিমুখী আচরণ।
আমরা মনে করি, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা মানে গণহত্যাকে সমর্থন করা। আত্মরক্ষার নামে মানুষ হত্যা মানা যায় না। মানবতাকে পদদলিত করে কোথাও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না আর কোনো দেশের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যায় না। আমরা আশা করব, শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর দ্বিচারিতার অবসান হবে। তারা দ্বিমুখী আচরণ থেকে বিরত থাকবে। গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বর্বর হামলা বন্ধ করতে হবে।
আশার কথা হচ্ছে, যুদ্ধের বিরুদ্ধে ও মানবতার পক্ষে অনেকেই সোচ্চার হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রেও অনেকে আওয়াজ তুলেছেন। আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই। আমরা আশা করব, সব পক্ষের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, গাজায় যুদ্ধবিরতি দেয়া হবে। পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবির যথাযথ সুরাহা হওয়া দরকার। এটা না হওয়া পর্যন্ত ওই অঞ্চলে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা পাবে না।