alt

সম্পাদকীয়

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ও শক্তিমানের দ্বিচারিতা

: রোববার, ০৫ নভেম্বর ২০২৩

গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জোরালো হচ্ছে। আরব দেশগুলো অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। আরব দুনিয়ার বাইরেও অনেকে এই দাবি তুলেছেন। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘এটা যুদ্ধের সময়। গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে না’।

যুদ্ধবিরতিতে সায় দেয়নি ইসরায়েলের মিত্ররাও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, এখন যুদ্ধবিরতি হলে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসকে দমন করা সম্ভব হবে না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে যুদ্ধবিরোধী মনোভাব তীব্র হচ্ছে। অনেক দল, সংগঠন ও ব্যক্তি যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। চাপের মুখে দেশটি ‘মানবিক বিরতি’র কথা বলছে। যাতে করে গাজায় বন্দী বা জিম্মি মানুষ মুক্তি পেতে পারে। তবে এতেও রাজি হয়নি ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলের ভেতরে যেভাবে হামলা চালিয়েছে সেটা সমর্থনযোগ্য নয়। তবে সেই হামলা কেন করা হয়েছে সেটা ওয়াকিবহাল মানুষ মাত্রই জানেন। হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় যা করছে সেটাকে বর্বর বললেও কম বলা হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রায় সাড়ে নয় হাজার মানুষ মারা গেছে। তাদের হামলা থেকে হাসপাতাল বা স্কুলও রক্ষা পায়নি। নারী, শিশু, অসুস্থ মানুষও তাদের হামলার করুণ লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। সেখানে পানি, বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট সেবা বিপর্যয়ের কারণে মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যে উদ্ভুত সংকট নিরসনে শক্তিধর কোনো কোনো রাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইসরায়েলের মিত্রদের বিরুদ্ধে ‘দ্বিচারিতার নীতি’ অনুসরণের অভিযোগ উঠেছে। মিত্র কোনো দেশ অন্যায়-অনাচার করলেও তার পক্ষে দাঁড়ানো, তাকে দৃঢ় সমর্থন দেয়া আর প্রতিপক্ষ কোনো দেশের ন্যায় বা ন্যায়সঙ্গত দাবিকে উপেক্ষা করা দ্বিচারিতারই নামান্তর। আমরা মনে করি, এই দ্বিচারিতার কারণেই ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের টেকসই সমাধান হচ্ছে না। বিশ্বে আরও অনেক সংকটেরই কারণই হচ্ছে শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর দ্বিমুখী আচরণ।

আমরা মনে করি, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা মানে গণহত্যাকে সমর্থন করা। আত্মরক্ষার নামে মানুষ হত্যা মানা যায় না। মানবতাকে পদদলিত করে কোথাও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না আর কোনো দেশের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যায় না। আমরা আশা করব, শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর দ্বিচারিতার অবসান হবে। তারা দ্বিমুখী আচরণ থেকে বিরত থাকবে। গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বর্বর হামলা বন্ধ করতে হবে।

আশার কথা হচ্ছে, যুদ্ধের বিরুদ্ধে ও মানবতার পক্ষে অনেকেই সোচ্চার হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রেও অনেকে আওয়াজ তুলেছেন। আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই। আমরা আশা করব, সব পক্ষের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, গাজায় যুদ্ধবিরতি দেয়া হবে। পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবির যথাযথ সুরাহা হওয়া দরকার। এটা না হওয়া পর্যন্ত ওই অঞ্চলে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা পাবে না।

কৃষিঋণ বিতরণে অনিয়ম বন্ধে ব্যবস্থা নিন

গোয়ালন্দে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করার অভিযোগ আমলে নিন

বনভূমি দখল বন্ধে ব্যবস্থা নিন

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন

ছবি

মার্কেজের নিঃসঙ্গতা ও সংহতি

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ট্রমা সেন্টার দ্রুত চালু করুন

বিষ দিয়ে মাছ ধরা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

আর্সেনিক দূষণ মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

তাজরীন ট্র্যাজেডি : বিচার পেতে আর কত অপেক্ষা

সওজের জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণের অভিযোগ আমলে নিন

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

কুতুবপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করুন

পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

শিক্ষা আইন প্রণয়ন করা গেল না কেন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবার রক্ত ঝরল

বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তা চাই

নারী ফায়ার ফাইটার : সমাজের সব স্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে

মদনে বর্ণি নদীর সেতুর কাজে বিলম্ব কেন

খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

কুমারখালীর বিল দখলমুক্ত করুন

বন্যপ্রাণীদের খাবারের সংকট

পৌর নাগরিকদের দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে চাই আন্তরিকতা

ডেঙ্গুর প্রকোপ কেন কমছে না

ভেজাল প্যারাসিটামলে শিশুমৃত্যু ও আদালতের নির্দেশনা

এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিআরএম প্রকল্প : ক্ষতিপূরণের টাকা কবে মিলবে

সমস্যা-সংকটে কৃষকদের পাশে থাকতে হবে

খাল ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন ঘটাতে হবে

পোশাক শ্রমিকদের ক্ষোভ আমলে নিন, তাদের অসন্তোষ দূর করুন

রাজধানীতে সুষ্ঠু বর্জ্যব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

ইভটিজিং বন্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বেড়েছে মূল্যস্ফীতি, ‘কারসাজির’ বিরুদ্ধে আর কবে ব্যবস্থা নেয়া হবে

রাজনীতি : সংঘাত, সহিংসতা সমাধান নয়, বিপদ বাড়াবে

তারাকান্দায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওয়ার্ডসেবা চালু করুন

tab

সম্পাদকীয়

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ও শক্তিমানের দ্বিচারিতা

রোববার, ০৫ নভেম্বর ২০২৩

গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জোরালো হচ্ছে। আরব দেশগুলো অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। আরব দুনিয়ার বাইরেও অনেকে এই দাবি তুলেছেন। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘এটা যুদ্ধের সময়। গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে না’।

যুদ্ধবিরতিতে সায় দেয়নি ইসরায়েলের মিত্ররাও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, এখন যুদ্ধবিরতি হলে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসকে দমন করা সম্ভব হবে না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে যুদ্ধবিরোধী মনোভাব তীব্র হচ্ছে। অনেক দল, সংগঠন ও ব্যক্তি যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। চাপের মুখে দেশটি ‘মানবিক বিরতি’র কথা বলছে। যাতে করে গাজায় বন্দী বা জিম্মি মানুষ মুক্তি পেতে পারে। তবে এতেও রাজি হয়নি ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলের ভেতরে যেভাবে হামলা চালিয়েছে সেটা সমর্থনযোগ্য নয়। তবে সেই হামলা কেন করা হয়েছে সেটা ওয়াকিবহাল মানুষ মাত্রই জানেন। হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় যা করছে সেটাকে বর্বর বললেও কম বলা হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রায় সাড়ে নয় হাজার মানুষ মারা গেছে। তাদের হামলা থেকে হাসপাতাল বা স্কুলও রক্ষা পায়নি। নারী, শিশু, অসুস্থ মানুষও তাদের হামলার করুণ লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। সেখানে পানি, বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট সেবা বিপর্যয়ের কারণে মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যে উদ্ভুত সংকট নিরসনে শক্তিধর কোনো কোনো রাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইসরায়েলের মিত্রদের বিরুদ্ধে ‘দ্বিচারিতার নীতি’ অনুসরণের অভিযোগ উঠেছে। মিত্র কোনো দেশ অন্যায়-অনাচার করলেও তার পক্ষে দাঁড়ানো, তাকে দৃঢ় সমর্থন দেয়া আর প্রতিপক্ষ কোনো দেশের ন্যায় বা ন্যায়সঙ্গত দাবিকে উপেক্ষা করা দ্বিচারিতারই নামান্তর। আমরা মনে করি, এই দ্বিচারিতার কারণেই ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের টেকসই সমাধান হচ্ছে না। বিশ্বে আরও অনেক সংকটেরই কারণই হচ্ছে শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর দ্বিমুখী আচরণ।

আমরা মনে করি, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা মানে গণহত্যাকে সমর্থন করা। আত্মরক্ষার নামে মানুষ হত্যা মানা যায় না। মানবতাকে পদদলিত করে কোথাও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না আর কোনো দেশের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যায় না। আমরা আশা করব, শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর দ্বিচারিতার অবসান হবে। তারা দ্বিমুখী আচরণ থেকে বিরত থাকবে। গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বর্বর হামলা বন্ধ করতে হবে।

আশার কথা হচ্ছে, যুদ্ধের বিরুদ্ধে ও মানবতার পক্ষে অনেকেই সোচ্চার হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রেও অনেকে আওয়াজ তুলেছেন। আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই। আমরা আশা করব, সব পক্ষের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, গাজায় যুদ্ধবিরতি দেয়া হবে। পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবির যথাযথ সুরাহা হওয়া দরকার। এটা না হওয়া পর্যন্ত ওই অঞ্চলে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা পাবে না।

back to top