পাবনায় পদ্মা ও যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করছে প্রভাবশালী চক্র। নদী দুটির বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন কয়েক লাখ ঘনফুট বালু তোলা হয় মেশিন দিয়ে। এর প্রভাবে নদীর তলদেশের ভূ-স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তন করছে।
সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ, সাতবাড়িয়া, বরকাপুর, অধিননগর, পেঁচাকোলা, নটাখোলা, খানপুরা এবং ঢালারচরে শক্তিশালী ড্রেজার ও বলগেটের সাহায্যে নদীর তলদেশের প্রায় ৩০ ফুট নিচ থেকে একটি চক্র দিনরাত বালু তুলে বিক্রি করছে। অভিযোগ উঠেছে, চক্রটি এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের এক নেতার ইন্ধনে। এ কারণে নদী ও পরিবেশের ক্ষতি করে বালু তোলা হলেও প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে না।
বালু তোলারও প্রয়োজন আছে। তবে বালু তোলার নিয়মও আছে। এভাবে নির্বিচারে বালু তোলা যায় না। অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলার কারণে নদীর ভূ-স্তরের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তখন নদ-নদীর পানিতে অক্সিজেন কমে যায়। যদি পদ্মা ও যমুনা নদীর বালু তোলা বন্ধ করা না হয় তাহলে ভবিষ্যতে কখনও রিখটার স্কেলে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হলেও সংশ্লিষ্ট অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা।
পানি উন্নয়ন বিভাগ জানাচ্ছে, যমুনা ও পদ্মার ভাঙন প্রতিরক্ষার কাজ চলছে। বালু তোলা হলে প্রতিরক্ষা কাজের মারাত্মক ক্ষতি হবে। চার পাশে ধসে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। প্রশাসনকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
শুধু সুজানগরের নদ-নদীগুলো থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে প্রভাবশালী চক্র ‘বালুবাণিজ্য’ ফেঁদে বসেছে তা নয়। দেশের বেশিরভাগ নদ-নদীতে এ অপকর্মটি চলমান রয়েছে। সুজানগরে পদ্মা ও যমুনার বালু তোলাসহ দেশের যেসব নদীতে বালুখেকোদের যে ‘বালুবাণিজ্য’ গড়ে উঠেছে তা কর্তৃপক্ষকে যে কোন উপায়ে বন্ধ করতে হবে।
নদী-প্রকৃতি-জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য টিকিয়ে রাখতে দেশের সব নদ-নদীর বালু তোলা বন্ধ করতে হবে। নদ-নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। আইনকে যারা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বালুবাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
মঙ্গলবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৩
পাবনায় পদ্মা ও যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করছে প্রভাবশালী চক্র। নদী দুটির বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন কয়েক লাখ ঘনফুট বালু তোলা হয় মেশিন দিয়ে। এর প্রভাবে নদীর তলদেশের ভূ-স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তন করছে।
সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ, সাতবাড়িয়া, বরকাপুর, অধিননগর, পেঁচাকোলা, নটাখোলা, খানপুরা এবং ঢালারচরে শক্তিশালী ড্রেজার ও বলগেটের সাহায্যে নদীর তলদেশের প্রায় ৩০ ফুট নিচ থেকে একটি চক্র দিনরাত বালু তুলে বিক্রি করছে। অভিযোগ উঠেছে, চক্রটি এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের এক নেতার ইন্ধনে। এ কারণে নদী ও পরিবেশের ক্ষতি করে বালু তোলা হলেও প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে না।
বালু তোলারও প্রয়োজন আছে। তবে বালু তোলার নিয়মও আছে। এভাবে নির্বিচারে বালু তোলা যায় না। অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলার কারণে নদীর ভূ-স্তরের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তখন নদ-নদীর পানিতে অক্সিজেন কমে যায়। যদি পদ্মা ও যমুনা নদীর বালু তোলা বন্ধ করা না হয় তাহলে ভবিষ্যতে কখনও রিখটার স্কেলে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হলেও সংশ্লিষ্ট অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা।
পানি উন্নয়ন বিভাগ জানাচ্ছে, যমুনা ও পদ্মার ভাঙন প্রতিরক্ষার কাজ চলছে। বালু তোলা হলে প্রতিরক্ষা কাজের মারাত্মক ক্ষতি হবে। চার পাশে ধসে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। প্রশাসনকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
শুধু সুজানগরের নদ-নদীগুলো থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে প্রভাবশালী চক্র ‘বালুবাণিজ্য’ ফেঁদে বসেছে তা নয়। দেশের বেশিরভাগ নদ-নদীতে এ অপকর্মটি চলমান রয়েছে। সুজানগরে পদ্মা ও যমুনার বালু তোলাসহ দেশের যেসব নদীতে বালুখেকোদের যে ‘বালুবাণিজ্য’ গড়ে উঠেছে তা কর্তৃপক্ষকে যে কোন উপায়ে বন্ধ করতে হবে।
নদী-প্রকৃতি-জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য টিকিয়ে রাখতে দেশের সব নদ-নদীর বালু তোলা বন্ধ করতে হবে। নদ-নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। আইনকে যারা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বালুবাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।