গত এক মাস ধরে দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। অবশ্য গত বছরের বিবেচনায় এ বছর ডেঙ্গুর সংক্রমণ কম হয়েছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, গত বছরের তুলনায় এবার সংক্রমিত মানুষের মৃত্যুহার বেশি। ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার ছিল শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ, চলতি বছর মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ।
এ বছর মৃত্যুহার বাড়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুর চারটি ধরন রয়েছে। গত বছরের জুন থেকে ডেঙ্গু২ বিস্তৃত হচ্ছে। এর আগে যেসব রোগী ডেঙ্গুর ধরন ডেঙ্গু৩-এ আক্রান্ত হয়েছিলেন তারা এবার আক্রান্ত হলে তাদের ঝুঁকি বেশি। এ কারণে মৃত্যুহার এবার বেড়েছে।
এবার এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে দুশ্চিন্তার আরও কিছু জায়গা রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো কার্যকর করা যায়নি। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পরিবর্তে দায়িত্ব পাওয়া প্রশাসকরা আশার বাণী শোনাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি নেই। এই পরিস্থিতিতে দেশে বৃষ্টি বেড়েছে। জনস্বাস্থ্যবিদরা আশাঙ্কা করছেন, যথা সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া না গেলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনজন। এ নিয়ে ডেঙ্গু রোগে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯১ জন মারা গেছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৬৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত বছর ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। দেশে ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড মৃত্যুও হয়েছিল গতবছর- ১ হাজার ৭০৫ জন।
বৃষ্টির সঙ্গে এডিস মশার প্রজননের যোগসূত্র রয়েছে। বর্ষা চলে গেলেও দেশের অনেক স্থানেই বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী এ মাসেও বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকবে। কাজেই সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে। মশার বংশবিস্তার রোধে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে তৎপর হতে হবে। তাদেরকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি নাগরিকদেরও সচেতন থাকতে হবে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় জনসাধারণের সচেতনতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গত এক মাস ধরে দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। অবশ্য গত বছরের বিবেচনায় এ বছর ডেঙ্গুর সংক্রমণ কম হয়েছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, গত বছরের তুলনায় এবার সংক্রমিত মানুষের মৃত্যুহার বেশি। ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার ছিল শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ, চলতি বছর মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ।
এ বছর মৃত্যুহার বাড়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুর চারটি ধরন রয়েছে। গত বছরের জুন থেকে ডেঙ্গু২ বিস্তৃত হচ্ছে। এর আগে যেসব রোগী ডেঙ্গুর ধরন ডেঙ্গু৩-এ আক্রান্ত হয়েছিলেন তারা এবার আক্রান্ত হলে তাদের ঝুঁকি বেশি। এ কারণে মৃত্যুহার এবার বেড়েছে।
এবার এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে দুশ্চিন্তার আরও কিছু জায়গা রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো কার্যকর করা যায়নি। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পরিবর্তে দায়িত্ব পাওয়া প্রশাসকরা আশার বাণী শোনাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি নেই। এই পরিস্থিতিতে দেশে বৃষ্টি বেড়েছে। জনস্বাস্থ্যবিদরা আশাঙ্কা করছেন, যথা সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া না গেলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনজন। এ নিয়ে ডেঙ্গু রোগে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯১ জন মারা গেছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৬৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত বছর ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। দেশে ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড মৃত্যুও হয়েছিল গতবছর- ১ হাজার ৭০৫ জন।
বৃষ্টির সঙ্গে এডিস মশার প্রজননের যোগসূত্র রয়েছে। বর্ষা চলে গেলেও দেশের অনেক স্থানেই বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী এ মাসেও বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকবে। কাজেই সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে। মশার বংশবিস্তার রোধে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে তৎপর হতে হবে। তাদেরকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি নাগরিকদেরও সচেতন থাকতে হবে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় জনসাধারণের সচেতনতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।