alt

সম্পাদকীয়

ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা

: শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গত এক মাস ধরে দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। অবশ্য গত বছরের বিবেচনায় এ বছর ডেঙ্গুর সংক্রমণ কম হয়েছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, গত বছরের তুলনায় এবার সংক্রমিত মানুষের মৃত্যুহার বেশি। ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার ছিল শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ, চলতি বছর মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এ বছর মৃত্যুহার বাড়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুর চারটি ধরন রয়েছে। গত বছরের জুন থেকে ডেঙ্গু২ বিস্তৃত হচ্ছে। এর আগে যেসব রোগী ডেঙ্গুর ধরন ডেঙ্গু৩-এ আক্রান্ত হয়েছিলেন তারা এবার আক্রান্ত হলে তাদের ঝুঁকি বেশি। এ কারণে মৃত্যুহার এবার বেড়েছে।

এবার এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে দুশ্চিন্তার আরও কিছু জায়গা রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো কার্যকর করা যায়নি। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পরিবর্তে দায়িত্ব পাওয়া প্রশাসকরা আশার বাণী শোনাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি নেই। এই পরিস্থিতিতে দেশে বৃষ্টি বেড়েছে। জনস্বাস্থ্যবিদরা আশাঙ্কা করছেন, যথা সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া না গেলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনজন। এ নিয়ে ডেঙ্গু রোগে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯১ জন মারা গেছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৬৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত বছর ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। দেশে ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড মৃত্যুও হয়েছিল গতবছর- ১ হাজার ৭০৫ জন।

বৃষ্টির সঙ্গে এডিস মশার প্রজননের যোগসূত্র রয়েছে। বর্ষা চলে গেলেও দেশের অনেক স্থানেই বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী এ মাসেও বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকবে। কাজেই সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে। মশার বংশবিস্তার রোধে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে তৎপর হতে হবে। তাদেরকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি নাগরিকদেরও সচেতন থাকতে হবে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় জনসাধারণের সচেতনতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি : সমাধান কোন পথে

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

tab

সম্পাদকীয়

ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা

শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গত এক মাস ধরে দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। অবশ্য গত বছরের বিবেচনায় এ বছর ডেঙ্গুর সংক্রমণ কম হয়েছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, গত বছরের তুলনায় এবার সংক্রমিত মানুষের মৃত্যুহার বেশি। ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার ছিল শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ, চলতি বছর মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এ বছর মৃত্যুহার বাড়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুর চারটি ধরন রয়েছে। গত বছরের জুন থেকে ডেঙ্গু২ বিস্তৃত হচ্ছে। এর আগে যেসব রোগী ডেঙ্গুর ধরন ডেঙ্গু৩-এ আক্রান্ত হয়েছিলেন তারা এবার আক্রান্ত হলে তাদের ঝুঁকি বেশি। এ কারণে মৃত্যুহার এবার বেড়েছে।

এবার এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে দুশ্চিন্তার আরও কিছু জায়গা রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো কার্যকর করা যায়নি। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পরিবর্তে দায়িত্ব পাওয়া প্রশাসকরা আশার বাণী শোনাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি নেই। এই পরিস্থিতিতে দেশে বৃষ্টি বেড়েছে। জনস্বাস্থ্যবিদরা আশাঙ্কা করছেন, যথা সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া না গেলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনজন। এ নিয়ে ডেঙ্গু রোগে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯১ জন মারা গেছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৬৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত বছর ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। দেশে ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড মৃত্যুও হয়েছিল গতবছর- ১ হাজার ৭০৫ জন।

বৃষ্টির সঙ্গে এডিস মশার প্রজননের যোগসূত্র রয়েছে। বর্ষা চলে গেলেও দেশের অনেক স্থানেই বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী এ মাসেও বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকবে। কাজেই সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে। মশার বংশবিস্তার রোধে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে তৎপর হতে হবে। তাদেরকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি নাগরিকদেরও সচেতন থাকতে হবে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় জনসাধারণের সচেতনতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

back to top