alt

সম্পাদকীয়

শহরাঞ্চলে জলাবদ্ধতা : টেকসই সমাধান কী

: বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

খুলনা শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যা নতুন কিছু নয়; তবে গত কয়েক বছর ধরে এই সমস্যার ভয়াবহতা বেড়েছে। শহরবাসী প্রতি বর্ষায় একই দুর্ভোগে পড়ছেন। খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ৫০২ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তবে জনগণের প্রত্যাশিত সুফল মিলছে না। প্রতিবছর বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায় নগরের অধিকাংশ সড়ক ও নিম্নাঞ্চল, আর এ সময় বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা হয়ে ওঠে কষ্টকর। অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজে এত বিপুল অর্থ বিনিয়োগ সত্ত্বেও দৃশ্যমান সুফল না পাওয়া জনমনে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি করেছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু খুলনা নয়, দেশের অনেক শহর-নগরে বর্ষা মৌসুম এলেই জলাবদ্ধতা একটি অভিশাপে পরিণত হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ অন্যান্য প্রধান শহরগুলোতে বৃষ্টি হলেই রাস্তা, গলিপথ, এমনকি বাসা-বাড়ির আঙিনা পর্যন্ত পানিতে ডুবে যায়। জলাবদ্ধতা শুধু নাগরিক জীবনের দৈনন্দিন কার্যক্রমকেই ব্যাহত করছে না, বরং জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং অর্থনৈতিক কর্মকা-ের ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এ অবস্থায় শহরাঞ্চলে টেকসই জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।

অপরিকল্পিত নগরায়ণ, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব, নদী ও খালের ভরাট এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এসব সমস্যার জন্য দায়ী। শহরের খালগুলো দখল ও বর্জ্য জমে সংকুচিত হয়েছে, ফলে পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। পরিকল্পনাবিহীনভাবে অবকাঠামো নির্মাণের ফলে নগরায়ণের চাপ বেড়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, বাসাবাড়ির নির্মাণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন সবকিছুই হচ্ছে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় না রেখে। শহরগুলোতে প্রতিবছর প্রায় দুই হাজার মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। শহরাঞ্চলের অধিকাংশ জায়গায় ইমারত, রাস্তা ও বিভিন্ন অবকাঠামোতে পিচঢালা এবং কংক্রিট ব্যবহৃত হওয়ায় বৃষ্টির পানি মাটিতে শোষিত হতে পারে না। ফলে পানি দ্রুত বৃষ্টির পর জমা হয়ে যায়, এবং স্বাভাবিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অবিরাম বৃষ্টিপাত এবং অপ্রত্যাশিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণও বাড়ছে, যা জলাবদ্ধতা সমস্যা আরও জটিল করে তুলেছে।

শহরাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সমাধানে যথাযথ পরিকল্পনার পাশাপাশি কার্যকর ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন। প্রথমত, শহরের নদী ও খালগুলোকে দখলমুক্ত করে পুনরায় ড্রেজিং করতে হবে। এটি পানি প্রবাহের বাধা দূর করতে এবং বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া, ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন অপরিহার্য। পুরনো ড্রেনগুলোর সংস্কার এবং নতুনভাবে পরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণ করতে হবে, যা শহরের বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন করতে সহায়ক হবে।

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

রাজধানীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি : দায় কার

সয়াবিন তেল সংকট : কারসাজি অভিযোগের সুরাহা করুন

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য

সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষায় সময় বিভ্রাট

রেলওয়ের জমির অপব্যবহার কাম্য নয়

গ্রাহক সেবায় কেন পিছিয়ে তিতাস গ্যাস

মহাসড়কে ময়লার ভাগাড় : পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সংকট

নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়

জনস্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতা : চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অপব্যবহার

অবৈধ রেলক্রসিং : মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি ব্যবস্থা

রক্তদহ বিল : পরিবেশ বিপর্যয়ের করুণ চিত্র

পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমছে কেন, প্রতিকার কী

পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বাকু জলবায়ু সম্মেলন ও উন্নয়নশীল দেশের অধিকার

সেতুটি সংস্কার করুন

চট্টগ্রামে খাবার পানির নমুনায় টাইফয়েডের জীবাণু : জনস্বাস্থ্যের জন্য অশুভ বার্তা

কুকুরের কামড় : ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করুন

লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি : জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

পরিযায়ী পাখি রক্ষা করতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে উপকূল

সেতুগুলো চলাচল উপযোগী করুন

ব্যাটারিচালিত রিকশা : সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে

বীজ আলুর বাড়তি দামে কৃষকের হতাশা

টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক সংকট দূর করা জরুরি

সাময়িকী কবিতা

ফলে রাসায়নিক ব্যবহার : জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি

নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা আয়োজনে বাধা, কেন?

গৌরীপুরের রেলস্টেশনের বেহাল দশা : পরিকল্পনার অভাবে হারাচ্ছে সম্ভাবনা

বোরো চাষে জলাবদ্ধতার সংকট : খুলনাঞ্চলে কৃষির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

অযত্ন-অবহেলায় বেহাল রায়পুর উপজেলা প্রশাসন শিশুপার্ক

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

tab

সম্পাদকীয়

শহরাঞ্চলে জলাবদ্ধতা : টেকসই সমাধান কী

বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

খুলনা শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যা নতুন কিছু নয়; তবে গত কয়েক বছর ধরে এই সমস্যার ভয়াবহতা বেড়েছে। শহরবাসী প্রতি বর্ষায় একই দুর্ভোগে পড়ছেন। খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ৫০২ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তবে জনগণের প্রত্যাশিত সুফল মিলছে না। প্রতিবছর বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায় নগরের অধিকাংশ সড়ক ও নিম্নাঞ্চল, আর এ সময় বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা হয়ে ওঠে কষ্টকর। অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজে এত বিপুল অর্থ বিনিয়োগ সত্ত্বেও দৃশ্যমান সুফল না পাওয়া জনমনে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি করেছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু খুলনা নয়, দেশের অনেক শহর-নগরে বর্ষা মৌসুম এলেই জলাবদ্ধতা একটি অভিশাপে পরিণত হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ অন্যান্য প্রধান শহরগুলোতে বৃষ্টি হলেই রাস্তা, গলিপথ, এমনকি বাসা-বাড়ির আঙিনা পর্যন্ত পানিতে ডুবে যায়। জলাবদ্ধতা শুধু নাগরিক জীবনের দৈনন্দিন কার্যক্রমকেই ব্যাহত করছে না, বরং জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং অর্থনৈতিক কর্মকা-ের ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এ অবস্থায় শহরাঞ্চলে টেকসই জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।

অপরিকল্পিত নগরায়ণ, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব, নদী ও খালের ভরাট এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এসব সমস্যার জন্য দায়ী। শহরের খালগুলো দখল ও বর্জ্য জমে সংকুচিত হয়েছে, ফলে পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। পরিকল্পনাবিহীনভাবে অবকাঠামো নির্মাণের ফলে নগরায়ণের চাপ বেড়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, বাসাবাড়ির নির্মাণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন সবকিছুই হচ্ছে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় না রেখে। শহরগুলোতে প্রতিবছর প্রায় দুই হাজার মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। শহরাঞ্চলের অধিকাংশ জায়গায় ইমারত, রাস্তা ও বিভিন্ন অবকাঠামোতে পিচঢালা এবং কংক্রিট ব্যবহৃত হওয়ায় বৃষ্টির পানি মাটিতে শোষিত হতে পারে না। ফলে পানি দ্রুত বৃষ্টির পর জমা হয়ে যায়, এবং স্বাভাবিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অবিরাম বৃষ্টিপাত এবং অপ্রত্যাশিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণও বাড়ছে, যা জলাবদ্ধতা সমস্যা আরও জটিল করে তুলেছে।

শহরাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সমাধানে যথাযথ পরিকল্পনার পাশাপাশি কার্যকর ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন। প্রথমত, শহরের নদী ও খালগুলোকে দখলমুক্ত করে পুনরায় ড্রেজিং করতে হবে। এটি পানি প্রবাহের বাধা দূর করতে এবং বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া, ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন অপরিহার্য। পুরনো ড্রেনগুলোর সংস্কার এবং নতুনভাবে পরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণ করতে হবে, যা শহরের বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন করতে সহায়ক হবে।

back to top