alt

সম্পাদকীয়

খাদ্যগুদামে অনিয়ম কাম্য নয়

: বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

কুড়িগ্রামের উলিপুরের সরকারি খাদ্যগুদামে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহে অনিয়মের যে চিত্র উঠে এসেছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার সঙ্গে মিল মালিকদের একটি সিন্ডিকেটের যোগসাজশে মানসম্মত চালের পরিবর্তে নিম্নমানের চাল গুদামে সরবরাহ করা হচ্ছে। এই সিন্ডিকেট বাজার থেকে সস্তায় পুরাতন ও খাবার অযোগ্য চাল সংগ্রহ করে গুদামে ঢুকিয়ে, নিয়মের তোয়াক্কা না করেই লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করছে। এমন ঘটনার মধ্য দিয়ে একদিকে সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে প্রকৃত কৃষকরা সরকারঘোষিত ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী খাদ্যগুদামে নতুন বস্তায় চাল সরবরাহ করার কথা থাকলেও, ছেঁড়া-ফাটা ও নিম্নমানের পুরাতন বস্তায় চাল সরবরাহ করা হচ্ছে। এই সিন্ডিকেট বিভিন্ন ধাপে সরকারি কর্মকর্তাদের সহায়তায় খাদ্যগুদামে নিম্নমানের চাল ঢুকিয়ে বিশাল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এই ধরনের অপকর্ম সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর আস্থা হারানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি করছে।

এমন অনিয়মের ফলে শুধু সরকারের ক্ষতি হচ্ছে না, দেশের কৃষকরাও তাদের কষ্টার্জিত ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা বন্ধ করে সিন্ডিকেট কৌশলে খাদ্যগুদামে নিম্নমানের চাল সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে। এতে প্রকৃত কৃষকদের আয় সংকুচিত হচ্ছে এবং তারা সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা চাল গুদামে ‘ভুলবশত’ ঢুকানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন, তবে তা ফেরত পাঠানো হবে বলে জানান। কিন্তু এ ধরনের অনিয়মের পুনরাবৃত্তি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং খাদ্য নিয়ন্ত্রক যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, এ ধরনের আশ্বাস অনেক সময় বাস্তবে রূপ নেয় না। তাই অবিলম্বে এই অনিয়মের যথাযথ তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন। একই সঙ্গে খাদ্যগুদামে মানসম্মত চাল সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কঠোর নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

এ ধরনের অনিয়ম শুধু সরকারের সুনাম ক্ষুণœ করে না বরং খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অনাস্থার জন্ম দেয়। সরকারের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এমন অপকর্ম রোধে উদাহরণ তৈরি করা।

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

tab

সম্পাদকীয়

খাদ্যগুদামে অনিয়ম কাম্য নয়

বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

কুড়িগ্রামের উলিপুরের সরকারি খাদ্যগুদামে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহে অনিয়মের যে চিত্র উঠে এসেছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার সঙ্গে মিল মালিকদের একটি সিন্ডিকেটের যোগসাজশে মানসম্মত চালের পরিবর্তে নিম্নমানের চাল গুদামে সরবরাহ করা হচ্ছে। এই সিন্ডিকেট বাজার থেকে সস্তায় পুরাতন ও খাবার অযোগ্য চাল সংগ্রহ করে গুদামে ঢুকিয়ে, নিয়মের তোয়াক্কা না করেই লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করছে। এমন ঘটনার মধ্য দিয়ে একদিকে সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে প্রকৃত কৃষকরা সরকারঘোষিত ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী খাদ্যগুদামে নতুন বস্তায় চাল সরবরাহ করার কথা থাকলেও, ছেঁড়া-ফাটা ও নিম্নমানের পুরাতন বস্তায় চাল সরবরাহ করা হচ্ছে। এই সিন্ডিকেট বিভিন্ন ধাপে সরকারি কর্মকর্তাদের সহায়তায় খাদ্যগুদামে নিম্নমানের চাল ঢুকিয়ে বিশাল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এই ধরনের অপকর্ম সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর আস্থা হারানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি করছে।

এমন অনিয়মের ফলে শুধু সরকারের ক্ষতি হচ্ছে না, দেশের কৃষকরাও তাদের কষ্টার্জিত ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা বন্ধ করে সিন্ডিকেট কৌশলে খাদ্যগুদামে নিম্নমানের চাল সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে। এতে প্রকৃত কৃষকদের আয় সংকুচিত হচ্ছে এবং তারা সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা চাল গুদামে ‘ভুলবশত’ ঢুকানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন, তবে তা ফেরত পাঠানো হবে বলে জানান। কিন্তু এ ধরনের অনিয়মের পুনরাবৃত্তি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং খাদ্য নিয়ন্ত্রক যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, এ ধরনের আশ্বাস অনেক সময় বাস্তবে রূপ নেয় না। তাই অবিলম্বে এই অনিয়মের যথাযথ তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন। একই সঙ্গে খাদ্যগুদামে মানসম্মত চাল সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কঠোর নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

এ ধরনের অনিয়ম শুধু সরকারের সুনাম ক্ষুণœ করে না বরং খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অনাস্থার জন্ম দেয়। সরকারের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এমন অপকর্ম রোধে উদাহরণ তৈরি করা।

back to top