রাজধানীতে গত বৃহস্পতিবার মালিবাগ ও বনানী রেলগেট এলাকায় দুটি পৃথক ট্রেন দুর্ঘটনায় দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং পরিবহন ব্যবস্থার সঠিক ব্যবস্থাপনা যে এখনও ঢাকা শহরে একটি বড় চ্যালেঞ্জ, তা এই দুর্ঘটনা আবারও প্রমাণ করে দিল।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে মালিবাগ রেলগেট এলাকায়, যেখানে একটি ট্রেনের ধাক্কায় ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হন। স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই ব্যক্তি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে পড়ে ছিলেন এবং তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে বনানী রেলগেটে, যেখানে আনুমানিক ২৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী এক যুবক ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারান। দুটো ঘটনাই রাত ৮টা থেকে ১২টার মধ্যে ঘটে।
এ ধরনের দুর্ঘটনার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। ট্রেনের গতির কারণে প্রাকৃতিক বা মানবিক অসাবধানতাও ঘটতে পারে। রেলগেট এলাকায় যথাযথ সিগন্যালিং এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ায়। আবার রেলওয়ে লাইনে মানুষের চলাচল এবং ট্রেনের গতির সংমিশ্রণ কখনো কখনো বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
ঢাকা শহরের রেলগেট এলাকা, বিশেষত মালিবাগ ও বনানী, যেখানে ট্রেন চলাচল ও পথচারীদের চলাফেরা সমানতালে ঘটে, সেখানে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বেশি। অথচ, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং রেলওয়ে প্রশাসন যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারছে না। যারা রেলগেট এলাকায় চলাচল করেন, তারা জানেন, এসব এলাকায় সিগন্যাল বা বাধার ব্যবস্থা তেমন কার্যকর নয়। অনেক সময়ই গেট বন্ধ হওয়ার আগেই লোকজন লাইন পার হয়ে যান। আবার, ট্রেনের গতিও হয়ে থাকে অনেক দ্রুত, যা দুর্ঘটনাকে আরও ভয়াবহ করে তোলে।
এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে আমাদের সবার সচেতনতা প্রয়োজন। শুধু জনগণের সচেতনতাই যথেষ্ট নয়; রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনকেও আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সিগন্যাল ব্যবস্থা উন্নত করা, গেটের নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং জনগণের জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো আবশ্যক।
রোববার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজধানীতে গত বৃহস্পতিবার মালিবাগ ও বনানী রেলগেট এলাকায় দুটি পৃথক ট্রেন দুর্ঘটনায় দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং পরিবহন ব্যবস্থার সঠিক ব্যবস্থাপনা যে এখনও ঢাকা শহরে একটি বড় চ্যালেঞ্জ, তা এই দুর্ঘটনা আবারও প্রমাণ করে দিল।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে মালিবাগ রেলগেট এলাকায়, যেখানে একটি ট্রেনের ধাক্কায় ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হন। স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই ব্যক্তি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে পড়ে ছিলেন এবং তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে বনানী রেলগেটে, যেখানে আনুমানিক ২৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী এক যুবক ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারান। দুটো ঘটনাই রাত ৮টা থেকে ১২টার মধ্যে ঘটে।
এ ধরনের দুর্ঘটনার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। ট্রেনের গতির কারণে প্রাকৃতিক বা মানবিক অসাবধানতাও ঘটতে পারে। রেলগেট এলাকায় যথাযথ সিগন্যালিং এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ায়। আবার রেলওয়ে লাইনে মানুষের চলাচল এবং ট্রেনের গতির সংমিশ্রণ কখনো কখনো বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
ঢাকা শহরের রেলগেট এলাকা, বিশেষত মালিবাগ ও বনানী, যেখানে ট্রেন চলাচল ও পথচারীদের চলাফেরা সমানতালে ঘটে, সেখানে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বেশি। অথচ, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং রেলওয়ে প্রশাসন যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারছে না। যারা রেলগেট এলাকায় চলাচল করেন, তারা জানেন, এসব এলাকায় সিগন্যাল বা বাধার ব্যবস্থা তেমন কার্যকর নয়। অনেক সময়ই গেট বন্ধ হওয়ার আগেই লোকজন লাইন পার হয়ে যান। আবার, ট্রেনের গতিও হয়ে থাকে অনেক দ্রুত, যা দুর্ঘটনাকে আরও ভয়াবহ করে তোলে।
এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে আমাদের সবার সচেতনতা প্রয়োজন। শুধু জনগণের সচেতনতাই যথেষ্ট নয়; রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনকেও আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সিগন্যাল ব্যবস্থা উন্নত করা, গেটের নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং জনগণের জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো আবশ্যক।