alt

সম্পাদকীয়

রাজধানীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি : দায় কার

: রোববার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজধানীতে গত বৃহস্পতিবার মালিবাগ ও বনানী রেলগেট এলাকায় দুটি পৃথক ট্রেন দুর্ঘটনায় দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং পরিবহন ব্যবস্থার সঠিক ব্যবস্থাপনা যে এখনও ঢাকা শহরে একটি বড় চ্যালেঞ্জ, তা এই দুর্ঘটনা আবারও প্রমাণ করে দিল।

প্রথম ঘটনাটি ঘটে মালিবাগ রেলগেট এলাকায়, যেখানে একটি ট্রেনের ধাক্কায় ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হন। স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই ব্যক্তি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে পড়ে ছিলেন এবং তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে বনানী রেলগেটে, যেখানে আনুমানিক ২৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী এক যুবক ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারান। দুটো ঘটনাই রাত ৮টা থেকে ১২টার মধ্যে ঘটে।

এ ধরনের দুর্ঘটনার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। ট্রেনের গতির কারণে প্রাকৃতিক বা মানবিক অসাবধানতাও ঘটতে পারে। রেলগেট এলাকায় যথাযথ সিগন্যালিং এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ায়। আবার রেলওয়ে লাইনে মানুষের চলাচল এবং ট্রেনের গতির সংমিশ্রণ কখনো কখনো বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।

ঢাকা শহরের রেলগেট এলাকা, বিশেষত মালিবাগ ও বনানী, যেখানে ট্রেন চলাচল ও পথচারীদের চলাফেরা সমানতালে ঘটে, সেখানে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বেশি। অথচ, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং রেলওয়ে প্রশাসন যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারছে না। যারা রেলগেট এলাকায় চলাচল করেন, তারা জানেন, এসব এলাকায় সিগন্যাল বা বাধার ব্যবস্থা তেমন কার্যকর নয়। অনেক সময়ই গেট বন্ধ হওয়ার আগেই লোকজন লাইন পার হয়ে যান। আবার, ট্রেনের গতিও হয়ে থাকে অনেক দ্রুত, যা দুর্ঘটনাকে আরও ভয়াবহ করে তোলে।

এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে আমাদের সবার সচেতনতা প্রয়োজন। শুধু জনগণের সচেতনতাই যথেষ্ট নয়; রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনকেও আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সিগন্যাল ব্যবস্থা উন্নত করা, গেটের নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং জনগণের জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো আবশ্যক।

বোয়ালখালী রেললাইন বাজার : জীবন ও নিরাপত্তার চরম সংকট

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি

আঠারোবাড়ী হাওরের সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

পাঠ্যবই বিতরণে বিলম্ব : শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আঘাত

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়ম কাম্য নয়

রিওভাইরাস: আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

সড়ক দুর্ঘটনা : বেপরোয়া গতি আর অব্যবস্থাপনার মাশুল

সংরক্ষিত বনের গাছ রক্ষায় উদাসীনতার অভিযোগ আমলে নিন

চালের দাম বাড়ছে: সংকট আরও বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষের দুর্ভোগ কবে দূর হবে

রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি : সমাধান কোথায়?

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

বরুড়ায় খালের দুর্দশা

টেকনাফে অপহরণ: স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের প্রয়োজনীয়তা

স্কুল মাঠে মাটি কাটার অভিযোগ

কিশোর গ্যাং : আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা ও সামাজিক সংকট

বই বিতরণে স্বচ্ছতা প্রয়োজন

পরিবেশ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

প্রাথমিক শিক্ষা : উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য ভিত্তি

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

বনে কেন করাতকল

গণপিটুনির দুঃসহ চিত্র

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যা : সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

tab

সম্পাদকীয়

রাজধানীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি : দায় কার

রোববার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজধানীতে গত বৃহস্পতিবার মালিবাগ ও বনানী রেলগেট এলাকায় দুটি পৃথক ট্রেন দুর্ঘটনায় দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং পরিবহন ব্যবস্থার সঠিক ব্যবস্থাপনা যে এখনও ঢাকা শহরে একটি বড় চ্যালেঞ্জ, তা এই দুর্ঘটনা আবারও প্রমাণ করে দিল।

প্রথম ঘটনাটি ঘটে মালিবাগ রেলগেট এলাকায়, যেখানে একটি ট্রেনের ধাক্কায় ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হন। স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই ব্যক্তি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে পড়ে ছিলেন এবং তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে বনানী রেলগেটে, যেখানে আনুমানিক ২৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী এক যুবক ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারান। দুটো ঘটনাই রাত ৮টা থেকে ১২টার মধ্যে ঘটে।

এ ধরনের দুর্ঘটনার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। ট্রেনের গতির কারণে প্রাকৃতিক বা মানবিক অসাবধানতাও ঘটতে পারে। রেলগেট এলাকায় যথাযথ সিগন্যালিং এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ায়। আবার রেলওয়ে লাইনে মানুষের চলাচল এবং ট্রেনের গতির সংমিশ্রণ কখনো কখনো বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।

ঢাকা শহরের রেলগেট এলাকা, বিশেষত মালিবাগ ও বনানী, যেখানে ট্রেন চলাচল ও পথচারীদের চলাফেরা সমানতালে ঘটে, সেখানে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বেশি। অথচ, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং রেলওয়ে প্রশাসন যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারছে না। যারা রেলগেট এলাকায় চলাচল করেন, তারা জানেন, এসব এলাকায় সিগন্যাল বা বাধার ব্যবস্থা তেমন কার্যকর নয়। অনেক সময়ই গেট বন্ধ হওয়ার আগেই লোকজন লাইন পার হয়ে যান। আবার, ট্রেনের গতিও হয়ে থাকে অনেক দ্রুত, যা দুর্ঘটনাকে আরও ভয়াবহ করে তোলে।

এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে আমাদের সবার সচেতনতা প্রয়োজন। শুধু জনগণের সচেতনতাই যথেষ্ট নয়; রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনকেও আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সিগন্যাল ব্যবস্থা উন্নত করা, গেটের নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং জনগণের জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো আবশ্যক।

back to top