alt

সম্পাদকীয়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

: বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সাতক্ষীরার বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত ৯৫টি ইটভাটার মধ্যে ৬৫টির নেই পরিবেশ ছাড়পত্র। অবৈধ ইটভাটাগুলো দিব্যি চলছে।

আইন অনুযায়ী, কৃষিজমিতে ইটভাটা স্থাপন করা যায় না, তবে অনেক ভাটাই এই নিয়ম ভেঙে তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি, ১ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল বা রেলপথের কাছেও ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ, যা সাতক্ষীরার বেশ কিছু অঞ্চলে মানা হচ্ছে না।

এছাড়া, ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো বা ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করাও আইনবিরোধী। কিন্তু, সেগুলোর বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ এখনও দেখা যাচ্ছে না। অধিকাংশ ইটভাটার মালিকরা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন, ফলে প্রশাসনও কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারছে না।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতে রিটের কারণে তারা নির্দিষ্ট ভাটাগুলো বন্ধ করতে পারছেন না। তবে, আদালতের রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব নয়। এই অবস্থায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেন তারা দ্রুত এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে? যদি পরিবেশ অধিদপ্তর আরও তৎপরতা দেখাত, তবে হয়তো এসব অবৈধ ভাটা বন্ধ করা সম্ভব হতো।

সাতক্ষীরার অবৈধ ইটভাটাগুলোর কারণে পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যের ওপর যে বিপজ্জনক প্রভাব পড়ছে, তা সহজে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের অবহেলা এবং কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এই সমস্যাকে আরও বড় করেছে। সরকারের উচিত অবিলম্বে এসব ভাটার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা। না হলে, এই সমস্যা শুধু সাতক্ষীরা নয়, দেশের অন্যান্য এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা ভবিষ্যতে আরও বড় বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

tab

সম্পাদকীয়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সাতক্ষীরার বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত ৯৫টি ইটভাটার মধ্যে ৬৫টির নেই পরিবেশ ছাড়পত্র। অবৈধ ইটভাটাগুলো দিব্যি চলছে।

আইন অনুযায়ী, কৃষিজমিতে ইটভাটা স্থাপন করা যায় না, তবে অনেক ভাটাই এই নিয়ম ভেঙে তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি, ১ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল বা রেলপথের কাছেও ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ, যা সাতক্ষীরার বেশ কিছু অঞ্চলে মানা হচ্ছে না।

এছাড়া, ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো বা ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করাও আইনবিরোধী। কিন্তু, সেগুলোর বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ এখনও দেখা যাচ্ছে না। অধিকাংশ ইটভাটার মালিকরা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন, ফলে প্রশাসনও কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারছে না।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতে রিটের কারণে তারা নির্দিষ্ট ভাটাগুলো বন্ধ করতে পারছেন না। তবে, আদালতের রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব নয়। এই অবস্থায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেন তারা দ্রুত এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে? যদি পরিবেশ অধিদপ্তর আরও তৎপরতা দেখাত, তবে হয়তো এসব অবৈধ ভাটা বন্ধ করা সম্ভব হতো।

সাতক্ষীরার অবৈধ ইটভাটাগুলোর কারণে পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যের ওপর যে বিপজ্জনক প্রভাব পড়ছে, তা সহজে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের অবহেলা এবং কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এই সমস্যাকে আরও বড় করেছে। সরকারের উচিত অবিলম্বে এসব ভাটার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা। না হলে, এই সমস্যা শুধু সাতক্ষীরা নয়, দেশের অন্যান্য এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা ভবিষ্যতে আরও বড় বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।

back to top