alt

সম্পাদকীয়

বাগাতিপাড়ার বিদ্যালয়গুলোর শৌচাগার সংকট দূর করুন

: বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগারের বেহাল অবস্থা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। অব্যবস্থাপনা, অর্থ সংকট ও দায়িত্বশীলদের অবহেলার কারণে প্রতিদিনই শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিশেষ করে কিশোরী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা হাইজেনিক কর্নার না থাকায় সমস্যাটি আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।

সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অধিকাংশ বিদ্যালয়ের শৌচাগার ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নষ্ট হয়ে থাকা পানির পাম্প, জরাজীর্ণ পানির লাইন, অকেজো ফ্লাশিং ব্যবস্থা এবং অপরিষ্কার পরিবেশ শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির অন্যতম কারণ। কিশোরী শিক্ষার্থীদের জরুরি প্রয়োজন মেটানোর কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারাও একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনেকেই অর্থ সংকটের কথা বললেও এটি একমাত্র কারণ নয়। শিক্ষার্থীদের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করা বিদ্যালয় প্রশাসনের অন্যতম দায়িত্ব, যা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে উপেক্ষা করা হচ্ছে। সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার আশ্বাস থাকলেও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপের অভাব প্রকট। প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যদি সক্রিয় হতেন, তবে এত দীর্ঘদিন এ সমস্যা বিদ্যমান থাকতো না।

সরকারকে অবশ্যই প্রতিটি বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার ও হাইজেনিক কর্ণার স্থাপনের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয় করে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিদ্যালয়গুলোর পরিচালনা কমিটিকে বাধ্যতামূলকভাবে শৌচাগার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিতে হবে। যদি তারা এ বিষয়ে অবহেলা করে, তবে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।

শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে এবং অভিভাবকদেরও এ বিষয়ে সম্পৃক্ত করতে হবে।

শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের মৌলিক চাহিদাগুলো উপেক্ষিত হলে তাদের ভবিষ্যৎও বাধাগ্রস্ত হবে। তাই বাগাতিপাড়া উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে শিক্ষার পরিবেশ আরও নাজুক হয়ে পড়বে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘব করা।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাস্তবতা ও সম্ভাবনার দ্বন্দ্ব

অস্থির চালের বাজারে সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা

রমজানের নামে নিগ্রহ : কারা এই ‘নৈতিকতার ঠিকাদার’?

সেতু নির্মাণে গাফিলতি : জনদুর্ভোগের শেষ কোথায়?

ধর্ষণ, মব ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা : শুধু যেন কথার কথা না হয়

নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

গণরোষের নামে নৃশংসতা : কোথায় সমাধান?

গাছের জীবন রক্ষায় এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

প্রকাশ্যে ধূমপান, মবের সংস্কৃতি এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বয়ান

চট্টগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

লামায় শ্রমিক অপহরণ : প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা

রেলওয়ের তেল চুরি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা

মহাসড়কে নিরাপত্তাহীনতা ও পুলিশের দায়িত্বে শৈথিল্য

দেওয়ানগঞ্জ ডাম্পিং স্টেশন প্রকল্প : দায়িত্বহীনতার প্রতিচ্ছবি

রেলপথে নিরাপত্তাহীনতা : চুরি ও অব্যবস্থাপনার দুষ্টচক্র

সবজি সংরক্ষণে হিমাগার : কৃষকদের বাঁচানোর জরুরি পদক্ষেপ

অমর একুশে

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

আইনশৃঙ্খলার অবনতি : নাগরিক নিরাপত্তা কোথায়?

হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট দূর করুন

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

নতুন পাঠ্যবই বিতরণে ধীরগতি : শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে

সরকারি জমি রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

সার বিপণনে অনিয়মের অভিযোগ, ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতার অভিশাপ : পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন ও দুর্ভোগ

সেতুর জন্য আর কত অপেক্ষা

শবে বরাত: আত্মশুদ্ধির এক মহিমান্বিত রাত

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই সংকট : ব্যর্থতার দায় কার?

মাদারীপুর পৌরসভায় ডাম্পিং স্টেশন কবে হবে

বায়ুদূষণ : আর উপেক্ষা করা যায় না

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার : সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

যৌতুকের বলি : বৈশাখীর নির্মম পরিণতি ও আমাদের করণীয়

কেশবপুরে ওএমএস কর্মসূচির সংকট

শিক্ষক সংকট : প্রাথমিক শিক্ষার চ্যালেঞ্জ

নদীভাঙনের শিকার শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে?

tab

সম্পাদকীয়

বাগাতিপাড়ার বিদ্যালয়গুলোর শৌচাগার সংকট দূর করুন

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগারের বেহাল অবস্থা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। অব্যবস্থাপনা, অর্থ সংকট ও দায়িত্বশীলদের অবহেলার কারণে প্রতিদিনই শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিশেষ করে কিশোরী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা হাইজেনিক কর্নার না থাকায় সমস্যাটি আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।

সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অধিকাংশ বিদ্যালয়ের শৌচাগার ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নষ্ট হয়ে থাকা পানির পাম্প, জরাজীর্ণ পানির লাইন, অকেজো ফ্লাশিং ব্যবস্থা এবং অপরিষ্কার পরিবেশ শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির অন্যতম কারণ। কিশোরী শিক্ষার্থীদের জরুরি প্রয়োজন মেটানোর কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারাও একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনেকেই অর্থ সংকটের কথা বললেও এটি একমাত্র কারণ নয়। শিক্ষার্থীদের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করা বিদ্যালয় প্রশাসনের অন্যতম দায়িত্ব, যা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে উপেক্ষা করা হচ্ছে। সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার আশ্বাস থাকলেও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপের অভাব প্রকট। প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যদি সক্রিয় হতেন, তবে এত দীর্ঘদিন এ সমস্যা বিদ্যমান থাকতো না।

সরকারকে অবশ্যই প্রতিটি বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার ও হাইজেনিক কর্ণার স্থাপনের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয় করে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিদ্যালয়গুলোর পরিচালনা কমিটিকে বাধ্যতামূলকভাবে শৌচাগার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিতে হবে। যদি তারা এ বিষয়ে অবহেলা করে, তবে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।

শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে এবং অভিভাবকদেরও এ বিষয়ে সম্পৃক্ত করতে হবে।

শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের মৌলিক চাহিদাগুলো উপেক্ষিত হলে তাদের ভবিষ্যৎও বাধাগ্রস্ত হবে। তাই বাগাতিপাড়া উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে শিক্ষার পরিবেশ আরও নাজুক হয়ে পড়বে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘব করা।

back to top