alt

সম্পাদকীয়

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

: সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

কৃষক ফসল ফলান, বন্যা ও খরার ভয়কে জয় করেন, আর অপেক্ষা করেন ফসল ঘরে তোলার সময়টার জন্য। কিন্তু এই বহু কাক্সিক্ষত সময়ে যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বজ্রপাতের শিকার হয়ে কৃষকের প্রাণ যায়, তখন তা শুধু একটি পরিবারের নয়, গোটা দেশের জন্যই অশনি সংকেত হয়ে ওঠে।

কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় ধান শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন এক কৃষক। তার স্ত্রী আহত হন। একই দিনে করিমগঞ্জ উপজেলার এক কৃষক ট্রাকে ধান বাড়িতে আনার পথে বজ্রপাতের শিকার হয়ে প্রাণ হারান। অন্যদিকে, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান দুজন।

দেশে বজ্রপাত নির্ণয় ও সতর্কতা ব্যবস্থায় কিছু প্রযুক্তিগত অগ্রগতি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিচ্ছে। তবে তা অধিকাংশ কৃষকের নাগালে নেই। হাওরাঞ্চলের মতো দুর্বল নেটওয়ার্কের জায়গায় তা কার্যকরভাবে পৌঁছায় না। অধিকাংশ কৃষকই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না, ফলে তারা এসব বার্তা পান না।

এছাড়া, বজ্রপাত প্রতিরোধক ব্যবস্থাÑযেমন লাইটনিং অ্যারেস্টরÑগ্রামীণ স্কুল, মসজিদ, খোলা মাঠে নির্মিত নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র বা কৃষক সমবায় অফিসে স্থাপন করা হয়নি। আবার বজ্রপাতের সময় কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়, তা নিয়েও নেই কোনো ব্যাপক প্রচার বা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।

বজ্রপাত থেকে জীবন বাঁচাতে চাইলে প্রথমেই দরকার গণসচেতনতা। বজ্রপাত শুরু হলে খোলা মাঠ, বিল, নদী বা উঁচু গাছপালা থেকে দূরে থাকা, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার না করা, গাছের নিচে না দাঁড়ানো এবং নিরাপদ কংক্রিট ভবনে আশ্রয় নেয়া উচিত। কিন্তু এসব নিয়ম কতজন জানেন? আর যারা জানেন, তারাও অনেক সময় অবহেলা করেন জীবিকার তাগিদে।

এই প্রেক্ষাপটে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বিত ভূমিকা অপরিহার্য। প্রতি উপজেলায় বজ্রপাতপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে নির্দিষ্ট স্থানে লাইটনিং অ্যারেস্টর বসানো, জনগণকে এসএমএস ও লাউডস্পিকারে সতর্কতা জানানো, কৃষকদের হাতে বজ্রপাতে নিরাপত্তাবিষয়ক নির্দেশিকা পৌঁছে দেয়াÑএসব উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

tab

সম্পাদকীয়

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

কৃষক ফসল ফলান, বন্যা ও খরার ভয়কে জয় করেন, আর অপেক্ষা করেন ফসল ঘরে তোলার সময়টার জন্য। কিন্তু এই বহু কাক্সিক্ষত সময়ে যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বজ্রপাতের শিকার হয়ে কৃষকের প্রাণ যায়, তখন তা শুধু একটি পরিবারের নয়, গোটা দেশের জন্যই অশনি সংকেত হয়ে ওঠে।

কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় ধান শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন এক কৃষক। তার স্ত্রী আহত হন। একই দিনে করিমগঞ্জ উপজেলার এক কৃষক ট্রাকে ধান বাড়িতে আনার পথে বজ্রপাতের শিকার হয়ে প্রাণ হারান। অন্যদিকে, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান দুজন।

দেশে বজ্রপাত নির্ণয় ও সতর্কতা ব্যবস্থায় কিছু প্রযুক্তিগত অগ্রগতি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিচ্ছে। তবে তা অধিকাংশ কৃষকের নাগালে নেই। হাওরাঞ্চলের মতো দুর্বল নেটওয়ার্কের জায়গায় তা কার্যকরভাবে পৌঁছায় না। অধিকাংশ কৃষকই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না, ফলে তারা এসব বার্তা পান না।

এছাড়া, বজ্রপাত প্রতিরোধক ব্যবস্থাÑযেমন লাইটনিং অ্যারেস্টরÑগ্রামীণ স্কুল, মসজিদ, খোলা মাঠে নির্মিত নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র বা কৃষক সমবায় অফিসে স্থাপন করা হয়নি। আবার বজ্রপাতের সময় কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়, তা নিয়েও নেই কোনো ব্যাপক প্রচার বা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।

বজ্রপাত থেকে জীবন বাঁচাতে চাইলে প্রথমেই দরকার গণসচেতনতা। বজ্রপাত শুরু হলে খোলা মাঠ, বিল, নদী বা উঁচু গাছপালা থেকে দূরে থাকা, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার না করা, গাছের নিচে না দাঁড়ানো এবং নিরাপদ কংক্রিট ভবনে আশ্রয় নেয়া উচিত। কিন্তু এসব নিয়ম কতজন জানেন? আর যারা জানেন, তারাও অনেক সময় অবহেলা করেন জীবিকার তাগিদে।

এই প্রেক্ষাপটে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বিত ভূমিকা অপরিহার্য। প্রতি উপজেলায় বজ্রপাতপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে নির্দিষ্ট স্থানে লাইটনিং অ্যারেস্টর বসানো, জনগণকে এসএমএস ও লাউডস্পিকারে সতর্কতা জানানো, কৃষকদের হাতে বজ্রপাতে নিরাপত্তাবিষয়ক নির্দেশিকা পৌঁছে দেয়াÑএসব উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।

back to top