alt

সম্পাদকীয়

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

: শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

এসএসসি পরীক্ষার আগেই অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন থমকে যাচ্ছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীন ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ছয় হাজার ৩৮৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। তাদের মধ্যে অন্তত ৪০ শতাংশই বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, যাদের অনুপস্থিতির কারণ জানা গেছে, তাদের প্রায় ৫১ শতাংশ আর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেনি।

তথ্য অনুযায়ী, অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের ৭৬ শতাংশই গ্রামাঞ্চলের। এদের মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীই বেশি। আবার গর্ভধারণজনিত কারণে ২১ জন মেয়ে পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৫১ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় ১৮ বছর হওয়ার আগেই। ফলে স্কুল থেকে ঝরে পড়ার পাশাপাশি কম বয়সে মাতৃত্ব, অপুষ্টি, মাতৃমৃত্যু ও সন্তান মৃত্যুর হারও বেড়ে যায়।

বাল্যবিয়ে শুধু একটি শিশুর ভবিষ্যৎই নষ্ট করে না, দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নের গতিকে বাধাগ্রস্ত করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাল্যবিয়ের প্রধান কারণগুলো হচ্ছে দারিদ্র্য, অভিভাবকের অশিক্ষা ও নিরাপত্তাহীনতা। দেশের অনেক এলাকায় এখনো কন্যাসন্তানকে বোঝা মনে করার মানসিকতা রয়ে গেছে। মেয়েদের পড়াশোনায় বিনিয়োগ না করে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দায়িত্ব শেষ করার মনোভাব রয়েছে অনেক অভিভাবকের মধ্যে।

শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ করা জরুরি। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড যে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে সেটা প্রশংসনীয়। তবে তথ্য সংগ্রহ করে দায় সারলে চলবে না। এর ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের করণীয় নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

বাল্যবিয়ে রোধে বিদ্যমান আইনের বাস্তব প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি। মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা আরও বিস্তৃত ও কার্যকর করতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে কন্যাসন্তানদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা যেতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর সম্মিলিত অংশগ্রহণ ছাড়া এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন করা জরুরি।

খাল দখল-ভরাট বন্ধে কঠোর হোন

কয়রায় টেকসই বাঁধ নির্মাণে বিলম্ব কেন

ফেনীর বন্যা : টেকসই সমাধান জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

tab

সম্পাদকীয়

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

এসএসসি পরীক্ষার আগেই অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন থমকে যাচ্ছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীন ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ছয় হাজার ৩৮৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। তাদের মধ্যে অন্তত ৪০ শতাংশই বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, যাদের অনুপস্থিতির কারণ জানা গেছে, তাদের প্রায় ৫১ শতাংশ আর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেনি।

তথ্য অনুযায়ী, অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের ৭৬ শতাংশই গ্রামাঞ্চলের। এদের মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীই বেশি। আবার গর্ভধারণজনিত কারণে ২১ জন মেয়ে পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৫১ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় ১৮ বছর হওয়ার আগেই। ফলে স্কুল থেকে ঝরে পড়ার পাশাপাশি কম বয়সে মাতৃত্ব, অপুষ্টি, মাতৃমৃত্যু ও সন্তান মৃত্যুর হারও বেড়ে যায়।

বাল্যবিয়ে শুধু একটি শিশুর ভবিষ্যৎই নষ্ট করে না, দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নের গতিকে বাধাগ্রস্ত করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাল্যবিয়ের প্রধান কারণগুলো হচ্ছে দারিদ্র্য, অভিভাবকের অশিক্ষা ও নিরাপত্তাহীনতা। দেশের অনেক এলাকায় এখনো কন্যাসন্তানকে বোঝা মনে করার মানসিকতা রয়ে গেছে। মেয়েদের পড়াশোনায় বিনিয়োগ না করে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দায়িত্ব শেষ করার মনোভাব রয়েছে অনেক অভিভাবকের মধ্যে।

শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ করা জরুরি। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড যে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে সেটা প্রশংসনীয়। তবে তথ্য সংগ্রহ করে দায় সারলে চলবে না। এর ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের করণীয় নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

বাল্যবিয়ে রোধে বিদ্যমান আইনের বাস্তব প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি। মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা আরও বিস্তৃত ও কার্যকর করতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে কন্যাসন্তানদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা যেতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর সম্মিলিত অংশগ্রহণ ছাড়া এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন করা জরুরি।

back to top