alt

সম্পাদকীয়

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

: মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০১৮ সালে প্রশাসনিকভাবে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও সেই অনুযায়ী জনবল কখনোই পাওয়া যায়নি। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও কর্মচারী ছাড়াই চলছে পুরো হাসপাতাল। ১৪ জন কনসালটেন্ট থাকার কথা, আছেন মাত্র ২ জন। ১৯ জন মেডিকেল অফিসারের জায়গায় মাত্র ৩ জন। ইমারজেন্সি বিভাগের জন্য একটিও পদ পূরণ হয়নি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকশিত হয়েছে।

চিকিৎসকের ঘাটতির পাশাপাশি রয়েছে নার্স ও তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর সংকট। ওয়ার্ডবয়, আয়া, পরিছন্নতাকর্মীÑসব ক্ষেত্রেই চিত্র এক। ফলে হাসপাতালের ভিতরে-বাইরে পরিচ্ছন্নতাও বজায় রাখা যাচ্ছে না। এতে করে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা যেমন দুর্ভোগে পড়ছেন, তেমনি চাপে রয়েছেন দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মীরা।

স্বাস্থ্যব্যবস্থার এই স্থবিরতা শুধু কুলিয়ারচরের বিষয় নয়। দেশের বহু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই একই অবস্থা বিরাজ করছে। অনেক হাসপাতালেই নামমাত্র অবকাঠামো ও সরঞ্জাম থাকলেও নেই উপযুক্ত জনবল ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা। এর ফলে রোগীরা বাধ্য হচ্ছেন বেসরকারি ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নিতে। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের আর্থিক বোঝা বাড়ছে।

কুলিয়ারচরের জনগণের জন্য প্রতিদিনের এই ভোগান্তি মূলত একটি দীর্ঘমেয়াদি অবহেলার ফল। জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা, সুষ্ঠু তদারকির অভাব এবং স্থানীয় পর্যায়ে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগহীনতা এই চিত্রকে আরও স্থায়ী করে তুলছে।

স্বাস্থ্যসেবা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। এ দায় এড়ানো যায় না। জনবল ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান কার্যকরভাবে চলতে পারে না। বিশেষ করে, স্বাস্থ্যসেবার মতো স্পর্শকাতর খাতে এমন সংকট নাগরিক জীবনের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে।

আমরা বলতে চাই, যত দ্রুত সম্ভব কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শূন্য পদে জনবল নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এ ধরনের সংকট সমাধানে একটি দীর্ঘমেয়াদি, পরিকল্পিত ও বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেয়া জরুরি। শুধু কুলিয়ারচর নয়, অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও একই রকম অবস্থা বিরাজ করছে কিনা, তা নিরীক্ষা করে সার্বিক পুনর্বিন্যাস জরুরি।

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০১৮ সালে প্রশাসনিকভাবে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও সেই অনুযায়ী জনবল কখনোই পাওয়া যায়নি। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও কর্মচারী ছাড়াই চলছে পুরো হাসপাতাল। ১৪ জন কনসালটেন্ট থাকার কথা, আছেন মাত্র ২ জন। ১৯ জন মেডিকেল অফিসারের জায়গায় মাত্র ৩ জন। ইমারজেন্সি বিভাগের জন্য একটিও পদ পূরণ হয়নি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকশিত হয়েছে।

চিকিৎসকের ঘাটতির পাশাপাশি রয়েছে নার্স ও তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর সংকট। ওয়ার্ডবয়, আয়া, পরিছন্নতাকর্মীÑসব ক্ষেত্রেই চিত্র এক। ফলে হাসপাতালের ভিতরে-বাইরে পরিচ্ছন্নতাও বজায় রাখা যাচ্ছে না। এতে করে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা যেমন দুর্ভোগে পড়ছেন, তেমনি চাপে রয়েছেন দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মীরা।

স্বাস্থ্যব্যবস্থার এই স্থবিরতা শুধু কুলিয়ারচরের বিষয় নয়। দেশের বহু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই একই অবস্থা বিরাজ করছে। অনেক হাসপাতালেই নামমাত্র অবকাঠামো ও সরঞ্জাম থাকলেও নেই উপযুক্ত জনবল ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা। এর ফলে রোগীরা বাধ্য হচ্ছেন বেসরকারি ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নিতে। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের আর্থিক বোঝা বাড়ছে।

কুলিয়ারচরের জনগণের জন্য প্রতিদিনের এই ভোগান্তি মূলত একটি দীর্ঘমেয়াদি অবহেলার ফল। জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা, সুষ্ঠু তদারকির অভাব এবং স্থানীয় পর্যায়ে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগহীনতা এই চিত্রকে আরও স্থায়ী করে তুলছে।

স্বাস্থ্যসেবা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। এ দায় এড়ানো যায় না। জনবল ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান কার্যকরভাবে চলতে পারে না। বিশেষ করে, স্বাস্থ্যসেবার মতো স্পর্শকাতর খাতে এমন সংকট নাগরিক জীবনের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে।

আমরা বলতে চাই, যত দ্রুত সম্ভব কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শূন্য পদে জনবল নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এ ধরনের সংকট সমাধানে একটি দীর্ঘমেয়াদি, পরিকল্পিত ও বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেয়া জরুরি। শুধু কুলিয়ারচর নয়, অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও একই রকম অবস্থা বিরাজ করছে কিনা, তা নিরীক্ষা করে সার্বিক পুনর্বিন্যাস জরুরি।

back to top